তুর্কি হামলা থেকে বাঁচতে এবার বাসারের দারস্থ হলেন কুর্দিরা

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০২:৪৪ পিএম

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের (ওয়াইপিজি) বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, যত দিন পর্যন্ত এলাকাটিতে একটি নিরাপদ অঞ্চল গঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত কুর্দি সন্ত্রাসীদের ওপর চালানো সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। খবর বিবিসির।
এ হামলা থেকে বাঁচতে কুর্দিরা এখন তাদের চিরশত্রু বাশার আল আসাদের সরকারি বাহিনীর দারস্ত হয়েছে।
সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবশিষ্ট সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর পরই কুর্দিদের সঙ্গে সিরীয় সেনাবাহিনীর সমঝোতার কথা জানা গেল।
উত্তর সিরিয়ার কুর্দি নেতৃত্বাধীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমঝোতার অংশ হিসেবে সিরিয়ার সেনাবাহিনী পুরো সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরীয় সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলে তুরস্কের সেনাবাহিনী ও তাদের ভাড়াটে যোদ্ধাদের আগ্রাসন ও দখলকৃত এলাকা উদ্ধারে এসডিএফকে সহযোগিতা করবে।
কুর্দিরা আরও জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের ফলে তুর্কি সেনাবাহিনীর দখলকৃত আফরিনের মতো শহরও মুক্ত করার উপায় বের হবে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া তুরস্কের সামরিক অভিযানের লক্ষ্য হলো- সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে কুর্দি বাহিনীকে সরে যেতে বাধ্য করা।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযান ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমালোচনা করছে।
সিরিয়ায় আইএসবিরোধী লড়াইয়ে পশ্চিমাদের প্রধান মিত্র ছিল কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)।
কিন্তু তুরস্ক কুর্দিদের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের শাখা মনে করে এবং সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার গভীরে কুর্দিদের সরিয়ে সেফজোন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
একই সঙ্গে তুরস্ক সিরীয় শরণার্থীদের ওই সেফজোনে প্রত্যাবাসন করতে চায়। সমালোচকরা বলছেন, এই অভিযানের ফলে কুর্দি জনগণ জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হতে পারেন।
এদিকে রোববার কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের বন্দি করা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিদেশি সদস্যদের অন্তত ৮০০ বন্দি শিবির থেকে পালিয়েছে।
তুরস্কের সামরিক বাহিনী গত বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
২০১৮ সালে দুই মাসের অভিযানের পর তুরস্কের সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা আফরিন থেকে কুর্দিদের পিছু হটতে বাধ্য করে এবং শহরটির দখল নেয়।