জাকির নায়েককে ফেরাতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
এবার জাকির নায়েককে দেশে ফেরাতে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।এ জন্য জাকিরের মালয়েশিয়ার ঠিকানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
২০১৬ সালের অর্থ পাচার মামলায় দেশটির বিশেষ আদালত গত বুধবার তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নথির সূত্রে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েকের সাম্প্রতিক বিতর্কিত পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চায় ভারত। এজন্য জাকিরের মালয়েশিয়ার ঠিকানায় পরোয়ানার নথি পাঠানোর আদেশ দিয়েছে দেশটির বিশেষ আদালত।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হিন্দু সম্প্রদায় ও চীনা নাগরিকদের নিয়ে মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন জাকির নায়েক।
প্রায় তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। সেখানে তাকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের বক্তব্যের কারণে তাকে মালয়েশিয়া থেকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবি উঠেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে তার বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জাকির নায়েককে দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও তৎপর হয়েছে দিল্লি।
ভারতীয় বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরোয়ানাটি তার মালয়েশিয়ার ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
এর আগে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন জাকির নায়েক। তবে আবেদনে তার উপস্থিত হতে না পারার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না থাকায় ওই আবেদন খারিজ করে আদালত। পরে তাকে আদালতে হাজির করতে ওই জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেন বিচারক পিপি রাজবৈদ্য।
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, ডা. জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুরোধ করেননি।
৬ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের সম্মলেনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের মধ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে দাবি করেন, মাহাথিরের কাছে জাকির নায়েককে ফেরত চেয়েছেন মোদি। এ ব্যাপারে দুই দেশই একমত হয়েছে যে, যেহেতু এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই দুই দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
তবে ভারতের এমন দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।