যে কারণে ভারতীয় নাগরিকের ‘চাঁদে’ হাঁটার ভিডিও ভাইরাল
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:০০ এএম
ছবি: ফেসবুক
মধ্যরাতে গোটা ভারত তাকিয়ে ছিল তাদের সফলতা দেখতে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইসরোর কন্ট্রোলরুমে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপস্থিত হয়ে লাইভ দেখছিলেন। শেষ মুহূর্তে চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ল্যান্ডারটি কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান-২।
তবে ভারতের ব্যর্থ চন্দ্রাভিযানের দুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গেছে, স্পেস স্যুট পরে চাঁদের দেশে হাঁটছেন কেউ।
চাঁদের অভিকর্ষ বল পৃথিবীর তুলনায় ৬ ভাগ কম বলে ধীরে ধীরে এবড়োথেবড়ো মাটিতে পা ফেলছেন সেই নভোচারী। ঠিক যেন ভিডিওকে স্লো মোশনে চালু করা হয়েছে।
ভারতের ব্যর্থ চন্দ্রাভিযানের পর ভিডিওটি ফের ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এমন ভিডিও দেখে সবাই ভাববেন, ভারতের ব্যর্থ চন্দ্রাভিযানের পর এ কোন নভোচারী চাঁদের মাটিতে হাঁটছেন? এ কোন নীল আর্মস্ট্রং।
তবে একটু পরেই চমকে উঠবেন দর্শক। সেই নভোচারীর পাশ কেটে বেরিয়ে গেল একটা অটোরিক্সা!
জানা গেছে, চাঁদ নয়, ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি করুণ দশা রাস্তায় ধারণ করা হয়েছে ভিডিওটি।
চন্দ্রাভিযানের দুদিন আগে করা ভিডিওটি বেশ সাড়া ফেলেছে দেশটির সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পর কলকাতার আনন্দবাজারসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হয়।
সেসব সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, বাদল নানজুনদাস্বামী নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ৫৬ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি পোস্ট করেন।
আসলে অভিনব উপায়ে শহরের রাস্তার বেহাল দশা বেঙ্গালুরু প্রশাসনকে দেখাতে চেয়েছেন বাদল নানজুনদাস্বামী।
তিনি ওই ভিডিও পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যালো বিবিএমপি কমিশনার’।
বিবিএমপি মানে ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা নামের একটি সংস্থা। সংস্থাটির দায়িত্ব শহরের রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার করা। আর তাদের দায়িত্বের অবহেলার কথাই এভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন নানজুনদাস্বামী।
ভাইরাল সেই ভিডিও প্রসঙ্গে নানজুনদাস্বামী জানান, শুধু এই রাস্তাই নয় পর্যটনের শহর বেঙ্গালুরুর নানা জায়গার রাস্তায় এমন গর্ত তৈরি হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এসব রাস্তা সংস্কারের তেমন কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। ফলে ছোটখাটো অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই উপায় না দেখে অ্যাস্ট্রোনটদের মতো পোশাক পরে এমন ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি।
উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে পাঠানো ভারতের নভোযান ঠিক মতো নামতে পারেনি চাঁদের মাটিতে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজের গতিবেগ কমাতে ব্যর্থ হয় চন্দ্রযান ২। ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার। যেখানে ৭ কিমি গতিবেগ থাকার প্রয়োজন ছিল।
ইসরোর চেয়ারম্যান শিবান কে কৌল জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোয়ার কয়েক সেকেন্ড আগেই চন্দ্রায়ণ-২ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ভিডিওটি দেখুন-