পেরুতে মাটির তলায় বলি দেয়া ২২৭ শিশুর লাশ। ছবি: এএফপি
পেরুতে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল বলি দেয়া ২২৭টি শিশুর (Sacrificed Children) লাশ! একসঙ্গে এত লাশ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
মাটি খুঁড়তেই উঠে আসছে প্রাচীন চিমু সভ্যতায় বলিপ্রদত্ত অসংখ্য শিশুর লাশ। এত সংখ্যক শিশুর বলিপ্রদত্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনা কখনো ঘটেনি। খবর এএফপি
গত বছরের শেষ থেকে রাজধানী লিমার উত্তরে অবস্থিত হুয়ানচাকোতে খননকার্য চালাচ্ছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে মুখ্য প্রত্নতত্ত্ববিদ ফেরেন ক্যাস্টিল্লো মঙ্গলবার জানান, একসঙ্গে এতগুলি বলিপ্রদত্ত শিশুর দেহের সন্ধান এর আগে পাওয়া যায়নি। এটাই সব থেকে বড় ঘটনা।
তিনি জানান, ১২০০ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে চিমু সভ্যতায় ৪ থেকে ১৪ বছরের শিশু ও বালক-বালিকাদের বলি দেয়ার প্রথা ছিল। ঈশ্বরকে তুষ্ট করতেই এই বলি দেয়া হতো। এল নিনোকে প্রশমিত করতেই এই শিশুদের বলি দেয়া হতো।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এখনও আরও দেহ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানেই খোঁড়া হচ্ছে সেখানেই শিশুর লাশ পাওয়া যাচ্ছে!
জানা গেছে, হুয়ানচাকোতে শিশু বলি দেয়ার প্রথা ছিল প্রাচীনকালে। বলিপ্রদত্ত শিশুদের দেহ এমন ভাবে রাখা, যাতে তাদের মুখ থাকে সমুদ্রের দিকে। সম্ভবত এটা ওই নিষ্ঠুর প্রথারই কোনো নিয়ম। কোনো কোনো শরীরে এখনও চামড়া ও চুলের অস্তিত্ব রয়েছে।
২০১৮ সালের জুনে প্রথমবার এই খনন অঞ্চলের কাছে পাম্পা লা ক্রুজে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ৫৬টি কঙ্কাল পান। তার আগে ওই বছরেরই এপ্রিল মাসে হুয়াচাকুইতোতে ১৪০টি শিশু ও ২০০টি লামার দেহ উদ্ধার হয়।
পেরুর উপকূল থেকে ইকুয়েডর পর্যন্ত বিস্তৃত চিমু সভ্যতা ১৪৭৫ সালে অবলুপ্ত হয়। ইনকা সভ্যতা এই সভ্যতাকে জয় করে নেয়।