পাকিস্তানে পার্লামেন্টের পাশে অখন্ড ভারতের ব্যানার!
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৯, ০৭:০৮ এএম
পাকিস্তানের সংসদের পাশে পাওয়া গেল শতাধিক অখণ্ড ভারতের ব্যানার। ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিল পাশ হওয়ার পরই পাকিস্তানে এই ছবি দেখা গেল।
গত সোমবার ভারতের রাজ্যসভার অধিবেশনে সংবিধানে ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়।
ভারতে এই বিল পাশ হওয়ার পর তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। তারা এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি পাকিস্তানি সৈন্যরা তৈরি আছে বলেও উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।
এর পরই পাকিস্তানের রাস্তায় দেখা যায় সেই ব্যানার। শুধু পাকিস্তানের পার্লামেন্টের কাছেই নয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাড়ির অদূরে, ইসলামাবাদের একাধিক রাস্তায়ও এই ধরনের পোস্টার দেখা যাচ্ছে গত মঙ্গলবার থেকেই। যেখানে ম্যাপের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে কীভাবে গড়ে উঠবে অখণ্ড ভারত।
শুধু তাই নয়, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের একটি ছবি। যেখানে সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি গত সোমবার বলেছিলেন, আজ আমরা জম্মু-কাশ্মীর আদায় করেছি। আগামীকাল আমরা বালোচিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীর দখল করব। এই সরকারের ওপর আমাদের বিশ্বাস রয়েছে এবং আমরা অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন সফল করবই।
পোস্টারের নীচে লেখা আছে, মহাভারত, এ স্টেপ ফরোয়ার্ড। ইসলামাবাদের পুলিশ এসে এই পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে। কিন্তু তার আগেই সেই পোস্টারের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই পোস্টার ঘিরেই এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইসলামাবাদে। কে বা কারা এই ধরনের পোস্টার লাগাল, সেই প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
গত মঙ্গলবার পাকিস্তানি সেনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীরিদের প্রতি দায়বদ্ধতা পূরণে যে কোনও কিছু করতে পাক সেনাবাহিনী প্রস্তুত। এদিন, রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা কমান্ডারদের একটি বিশেষ বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষে পাকিস্তানি সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর বলেন, কাশ্মীরি জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার জন্য যতদূর করতে হয় তার জন্য পাক সেনাবাহিনী প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের দখল নেয়।
১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী সংস্থান (টেম্পোরারি প্রভিশন)। এ অনুচ্ছেদ বলে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিল। সংবিধানের অন্যান্য ধারা অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হতো না।