১০৭ বছরের জন্মদিনের কেক কাটছেন লুইজ সিগনোর
সম্পূর্ণ নীরোগ অবস্থায় আপনি কি একশো বছর বাঁচতে চান? তাহলে আপনাকে এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা পালন করা একটু কঠিন। তবে অসম্ভব না।
নীরোগ থেকে শতায়ু হতে হলে ভুলেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন না। এতে অনেকেই রেগে যেতে পারেন। মনে হতে পারে বিয়ের সঙ্গে শতায়ু হওয়ার সম্পর্ক কী? আবার বিজ্ঞানও বলে বিয়ে করলেই নাকি বেশি দিন বাঁচা যায়।
কিন্তু দীর্ঘায়ু জীবনের গোপন চাবিকাঠি যে বিয়ে না করা, তা আমরা বলছি না। এ কথা বলছেন ১০৭ বছর বয়সী মার্কিন নারী লুইজ সিগনোর। তিনি সদ্যই ১০৭ বছরের জন্মদিন পালন করেছেন। আর জন্মদিন পালন করা হয়েছে মহা ধুমধামে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নেচে গেয়ে, খানাপিনা করে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯১২ সালে ম্যানহাটনে জন্মগ্রহণ করেন লুইজ সিগনোর৷ ১৪ বছর বয়সে চলে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
ছোটবেলায় ঘুম থেকে উঠে শরীর চর্চা করতেন লুইজ। নিয়মিত নাচের ক্লাসেও যেতেন তিনি। নিজের কাজ নিজেই করতেন। এভাবেই ১০৭ বছর পার করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১০৭ বছরের জন্মদিনে নিজেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন লুইজ সিগনোর। স্থানীয় একটি হোটেলে ওই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার আত্মীয়, বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। গোলাপি রংয়ের পোশাক এবং মুক্তোর হারে সেজে হাসিমুখেই কেক কাটেন তিনি।
কীভাবে এমন দীর্ঘায়ু হলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বৃদ্ধার স্পষ্ট উচ্চারণ, ‘আমি বিয়ে করিনি৷ আমি মনে করি এটাই আমার ১০৭ বছর বয়সের গোপন চাবিকাঠি৷ এছাড়াও আমি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাই৷ রোজ শরীরচর্চাও করি৷ আমি এখনও প্রতিদিন নাচের ক্লাসে যাই৷ দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পরেও আমিও অল্প ব্যায়াম করি।’
লুইজ সিগনোরের স্বজনরা জানান, বয়স বাড়লেও মনের জোর একইরকম রয়েছে তার। বর্তমান যুগে যখন হাঁটু, পায়ে ব্যথা কিংবা নানা শারীরিক সমস্যায় অনেকেই কাহিল, সেখানে ওই বৃদ্ধা প্রকৃত অর্থেই নীরোগ। পরিমিত জীবনযাপনের কারণে কোনো রোগই বাসা বাঁধতে পারেনি তার শরীরে। এখনও তিনি হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ান৷
তারা জানান, নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটিতে কারও সাহায্য নেন না লুইজ৷ বয়স যে একটা সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়, তাই যেন আরও একবার প্রমাণ করলেন শতোর্ধ্ব বৃদ্ধা।