কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রস্তাব ভারতের মন্ত্রিসভায়

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:২১ পিএম

কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সকালে ভারতের মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক হয়েছে। এতে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ফলে, কার্যত নতুন করে কাশ্মীরের ইতিহাস রচনার পথে মোদি সরকার। এ নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি।
দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষনেতা গৃহবন্দি। গ্রেফতারও হয়েছেন কেউ কেউ। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
রাজ্যটির অধিকাংশ এলাকায় ইতিমধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এর পর কী হতে চলেছে কাশ্মীরে? তা নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ।
এ অবস্থায় সোমবার সকালে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শেষ হয়েছে নিরাপত্তাবিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকও। বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা সংসদে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বৈঠকে কি কাশ্মীর নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে? তা নিয়ে দেশজুড়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অন্য রাজ্যকেও নিশানা করতে পারে জঙ্গিরা, এই আশঙ্কা থেকে সব রাজ্যকে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
তা নিয়ে রাজ্যগুলোতে জরুরি বার্তাও পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার।সোমবার মূল বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর দেখা করেন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও।
সোমবার সংসদ শুরু হতেই রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার কথা ঘোষণা করেন অমিত। সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধীরা তুমুল হই হট্টগোল জুড়ে দেন। কয়েক মিনিটের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।
পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে, বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পার্লামেন্টে কাশ্মিরের সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার আগেই অঞ্চলটিতে ব্যাপক সামরিক সমাবেশ করে ভারত।
নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলে গত সপ্তাহে কাশ্মিরে আধা সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনীর এসব বাড়তি সদস্যদের রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর এবং কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে এমনকি গ্রামাঞ্চলেও মোতায়েন করা হয়েছে।