ভারতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ, শিক্ষকের পর গেল এবার কলেজছাত্রীর প্রাণ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০১৯, ১২:৪৪ এএম
ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ভারতের অঙ্কিতা, ছবি: সংগৃহীত
ডেঙ্গু রোগ আতঙ্কে ভুগছে বাংলাদেশ। প্রথমে রাজধানী ঢাকায় এর প্রকোপ দেখা দিলেও ইতিমধ্যে জেলা শহর মফস্বল ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু জীবাণুবাহিত মশা।
বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোর, দিনাজপুরেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশ পরিলক্ষিত এখন।
সীমান্ত পেরিয়ে ডেঙ্গু মশা ভারতে প্রবেশ করতে পারে বলে ইতিমধ্যে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানালো, দেশটির পশ্চিমবঙ্গের হাবড়ায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর খবরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন একই এলাকার এক প্রাথমিক শিক্ষক।
জানা গেছে, মৃত ছাত্রীর নাম অঙ্কিতা শিকদার (১৭)। সে হাবড়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রমপুর এলাকার বাসিন্দা এবং হাবড়া চৈতন্য কলেজে ইংরেজিতে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
সংবাদমাধ্যমে অঙ্কিতার পরিবার জানায়, বুধবার কলেজ থেকে ফেরার সময় জ্বর অনুভব করে অঙ্কিতা। নিজেই দোকান থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়ি ফেরার পর থেকে শরীর আরও খারাপ হয়ে যায়। রাত যত বেশি হতে থাকে জ্বর তত বাড়তে থাকে। অঙ্কিতার বাবা অপূর্ব শিকদার প্রথমে এক প্রাইভেট ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।
শুক্রবার রাত থেকে বমি শুরু হয় অঙ্কিতার। শনিবার সকালে প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে ও পরে বারাসাত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয় হয় অঙ্কিতাকে।
প্রাথমিক লক্ষ্মণ দেখে সেখানে ডাক্তাররা জানান, ডেঙ্গু হয়েছে অঙ্কিতার। তবে ততক্ষণে রক্তের প্লাটিলেট সাংঘাতিকভাবে কমে যায় অঙ্কিতার। শেষ রক্ষা হয়নি তার। ডেঙ্গু মশার ছোবলে আক্রান্ত অঙ্কিতার শনিবার রাতে মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বারাসাত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রক্তের প্লাটিলেট সাংঘাতিকভাবে কমে যায় অঙ্কিতার। শুরুতেই তার চিকিৎসা করা গেলে হয়তো রক্ষা করা যেত তাকে। আগে থেকে ডেঙ্গু ধরা না পড়ায় ঠিকভাবে চিকিৎসা করা হয়নি তার।
উল্লেখ্য, অঙ্কিতার আগে বিরা এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ধীমান কান্তি মল্লিকের (৪১) রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর মঙ্গলবার বারাসাতের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন শুক্রবার বিকালে মৃত্যু হয় ওই শিক্ষকের।