সংযুক্ত আরব আমিরাতে পোপ ফ্রান্সিস। ছবি: সংগৃহীত
আরব আমিরাতের পর এবার প্রথমবারের মতো ইরাক সফরে যাচ্ছেন খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস।
আগামী বছরের যে কোনো সময় যুদ্ধবিধস্ত দেশটিতে এ সফর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পোপ নিজেই। সে হিসেবে ইরাকে এটিই হবে খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতার প্রথম সফর।
সোমবার মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য এলাকায় খ্রিস্টানদের সহায়তা করা কয়েকটি দাতব্য সংস্থার সদস্যদের সামনে বক্তব্য দেয়ার সময় পোপ ইরাক সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পোপ বলেন, যখনই আমি ইরাকের কথা ভাবি তখন আমার চিন্তা বেড়ে যায়। আগামী বছরই সেখানে আমার যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
যুদ্ধ আর সংঘাতের কারণে ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে খ্রিস্টানদের পালিয়ে যাওয়ার খবর আসছে। আই এস সদস্যরা ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করে নেয়ার পর দেশটিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে দাবি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের।
যদিও কয়েকমাস আগে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহযুদ্ধের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপকে দায়ী করেছিলেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
সান কার্লো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে দেয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, ধনী রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র বিক্রির জন্য যুদ্ধকে উৎসাহিত করছে। যুদ্ধের ফলে প্রতিদিন অগণিত শিশু মারা যাচ্ছে। হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এর পূর্ণ দায়ভার ইউরোপ আমেরিকার ওপরই বর্তায়।
এ কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, অস্ত্র বিক্রির জন্য তারা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে রেখেছে। এসব দেশ অস্ত্র উৎপাদন ও বিক্রি করায় অসংখ্য শিশুর মৃত্যু ও পরিবার নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।
ইরাকে ক্যাথলিক এবং অর্থডক্স খ্রিস্টানদের অনেক চার্চ আছে। সাবেক পোপ জন পল ২০০০ সালে একবার ইরাকের প্রাচীন উর নগরী ভ্রমণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি আর যেতে পারেননি।