ইঞ্জিনে ঢুকিয়ে শরণার্থী পাচার। ছবি সংগৃহীত
জীবনকে বাজি রেখে অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন হাজারো শরনার্থী যুবক। তবে এই বিদেশ যাত্রায় মানবপাচারকীরা অভিনব ও বিপজ্জনক কৌশলকে বেছে নিচ্ছেন।
অবৈধভাবে মরক্কো থেকে স্পেনে যাওয়ার জন্য গাড়ির ইঞ্জিনকে বেছে নেয় চার শরণার্থী যুবক। এই চার যুবকের একজন নিজের জীবন বাজি রেখে গাড়ির ইঞ্জিনের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রাখেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সীমান্ত পুলিশের তল্লাশির সময় ধরা পরে যায় ওই চার যুবক।
এমনি তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ইউরো নিউজ।
সংবাদ মাধ্যম ইউরো নিউজ জানায়, গাড়ির ইঞ্জিনের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে রাখা ওই গাড়িটি স্পেনের সীমান্তে এসে পৌঁছার পর কর্তব্যরত সীমান্ত পুলিশ সদস্য গাড়িটিকে দেখেই সন্দেহ করে। পরে ওই গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম ইউরো নিউজ আরো জানায়, তল্লাশির সময় গাড়িটির ভেতরের সিটে বসা ছিল তিন শরণার্থী যুবক। আর গাড়িটির ‘গেলোর বক্সে’ লুকানো ছিল ২০ বছর বয়সী আরেক যুবক।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করে সীমান্ত পুলিশ। মুহূর্তে ওই ভিডিও বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জীবন বাজি রেখে গাড়ির ইঞ্জিনের ভেতর লুকিয়ে রয়েছে ওই যুবক। তল্লাশির চলানো পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে টেনে বের করছে।
দেশটির সিভিল গার্ডের মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গাড়িটির ভেতর থেকে চার শরণার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যুবকেরা গাড়ির ভেতরে এমনভাবে লুকিয়ে ছিল যে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। ফলে তাদের মৃত্যুও হতে পারতো।