Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইনদিনে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবেদনে পুলিৎজার পেল রয়টার্স

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৪ এএম

ইনদিনে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবেদনে পুলিৎজার পেল রয়টার্স

ছবি: রয়্টার্স

আরাকানের ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে কবর দিয়েছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ গ্রামবাসী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সেই তথ্য উঠে এলে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি হয়েছিল।

সোমবার সেই হত্যাকাণ্ডের তথ্যফাঁসের ঘটনার প্রতিবেদন ও মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়ার একটি আলোকচিত্রে পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

যে ঘটনার জন্য রয়টার্স মার্কিন সাংবাদিকতার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্করটি পেয়েছে, সেটির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি চলছে। ২০০৮ সালের পর থেকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি এ পর্যন্ত সাতবার পুলিৎজার পেয়েছে।

ইনদিনের সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জনসমক্ষে নিয়ে আসার ঘটনায় মূলভূমিকা রাখা দুই সাংবাদিক ৪৯০ দিন ধরে মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টেফেন জে আডলের বলেন, যখন কাজের স্বীকৃতির জন্য সন্তোষ প্রকাশ করা হচ্ছে, তখন আমাদের চেয়ে যাদের নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, তাদের প্রতিই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা উচিত। বিশেষভাবে রোহিঙ্গা ও মধ্য আমেরিকার অভিবাসী সংকট নিয়ে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এলোপাতাড়ি গুলি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে প্রতিবেদনও এবারে  পুলিৎজার জিতেছে। ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস দুটি করে পুরস্কর পেয়েছে।

রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েট প্রেস আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার জিতেছে। ইয়েমেনের নৃশংসতা নিয়ে খবর প্রকাশ করায় এপিকে এ মর্যাদাকর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

রয়টার্সের দুই তরুণ প্রতিবেদক ওয়া লোন এবং কেই সো ও একটি গণকবরের খোঁজ পান। যেটিতে মানুষের হাড়গোড় মাটির ওপর থেকেই দেখা যায়। এর পর হত্যাকারী, প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করেন তারা।

গ্রামবাসীর কাছ থেকে তারা ভয়ঙ্কর তিনটি আলোকচিত্র পান। এতে দেখা যায়, ১০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে বেঁধে হাঁটু গেড়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। তৃতীয় ছবিটিতে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে টুকরো টুকরো করা ও গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া তাদের মরদেহ দেখা গেছে।

এ ছাড়া একটি অগভীর কবরে তাদের একসঙ্গে দাফন করার দৃশ্যও ওই ছবিতে রয়েছে।

কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ওয়া লেন ও কেই সো ও তাদের প্রতিবেদন শেষ করার আগেই গ্রেফতার হন। প্রতিবেদন প্রকাশ বাধা দিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের এই অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম