
ছবি: সংগৃহীত
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান মহাসড়কটি বন্ধ করে সরকারের নির্দেশনা জারির পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
তিনি বলেন, সর্বশেষ আমি মনে করেছিলাম, আমরা গণতন্ত্রের মধ্যে রয়েছি। কিন্তু এখন যা ঘটছে, তা সামরিক আইন জারির মতোই।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাশ্মীর সংঘাতে কিনারে যাওয়ার পর থেকে ভারতীয় প্রশাসন সমস্ত কাশ্মীরিদের সাজা দিচ্ছে। খবর ডন অনলাইনের।
সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর গাড়ি বহর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এই বিধিনিষেধ বলে রোববার রাজ্যটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সড়কটিতে সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে। আশপাশের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে স্টিল ও রেজর তারের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারত সরকার কাশ্মীরে এ নির্দেশনা জারি করেছিল। আগামী মে মাসের শেষ পর্যন্ত রোব ও বুধবার ওই সড়কের দুইশ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত কেবল সরকারি বাহিনীর যানবাহন চলাচল করবে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক কাশ্মীরি তরুণের আত্মঘাতী বোমা হামলায় একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জওয়ান নিহত হওয়ার জের ধরে এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
হামলার পর থেকেই ওই সড়কে সামরিক যানবাহন চলার সময় বেসামরিক যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। দেশটির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা থেকে রেহাই পেতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় সরকার।
১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের হাত মুক্তি পেতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কাশ্মীরিরা। ২০১৬ সালে ভারত বিরোধী এক জনপ্রিয় কাশ্মীরি নিহত হওয়ার পর থেকেই অঞ্চলটি উত্তাল হয়ে পড়েছে।
সেখানে ভারতীয় সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে ৭০ হাজার লোক ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।