ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় মর্টারের গোলায় তিন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ অধিদফতরের এক বিবৃতি এ তথ্য জানিয়েছে। -খবর দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের।
পাক আইএসপিআর বলছে, নিয়ন্ত্রণরেখার রাওয়ালাকট সেক্টরে বিনা উসকানিতে ভারতীয় বাহিনী গোলাবর্ষণ করলে তাদের তিন সেনা নিহত হন।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ রিয়াজ, আজিজুল্লাহ ও শহিদ মানসাব।
এদিকে কাশ্মীর সীমান্ত বরাবর পাক-ভারত গোলাবিনিময়ে এক ভারতীয় সেনা ও এক তরুণী নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পুঞ্চ জেলায় নিজের বাড়িতে মর্টারের বোমা পড়লে ওই তরুণী নিহত হন।
পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ এ রক্তক্ষয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দর বলেন, আজকের গোলাবিনিময়ে তাদের এক সেনা নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
কাশ্মীরের ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২০০৩ সালে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হয়েছে। কিন্তু প্রায়ই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এতে ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে দুই পাশের বেসামরিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন।
এর আগে পুলওয়ামায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, এতে তিন সেনাসহ তাদের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এবার একটি রক্তক্ষয়ী বছর পার করতে যাচ্ছে কাশ্মীর। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সংঘাতে ২১ বেসামরিক লোকসহ ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। তবে গত বছরের একই সময়ে ১১৯ জন নিহত হয়েছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক কাশ্মীরি তরুণের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ জওয়ান নিহত হন। পরে এ নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক পশলা আকাশযুদ্ধও হয়ে গেছে।
এতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক পাইলটকে আটক করার পর শান্তির নিদর্শন হিসেবে তাকে ফেরত পাঠিয়েছে পাকিস্তান।