মুলারের প্রতিবেদনে নেই ট্রাম্পের রুশ সংযোগের তথ্য
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০১:২৭ এএম
মার্কিন কংগ্রেসে রোববার উপস্থাপন করা হয়েছে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণার সঙ্গে রুশ সংযোগের তদন্ত প্রতিবেদন।
বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলারের দেয়া ওই প্রতিবেদনে ট্রাম্পের রুশ সংযোগের কোনো তথ্য নেই। খবর বিবিসির।
তবে বিরোধী দলের দাবি, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে তদন্তকাজকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
কংগ্রেসের জন্য প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। অন্যদিকে ট্রাম্পের দাবি, কোনো আঁতাত হয়নি, কোনো অন্তরায় তৈরি করা হয়নি।
ট্রাম্প বরাবর এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দাবি করে এসেছেন। রোববার তিনি বলেন, এটি এ দেশের জন্য লজ্জার যে, এমন একটি ব্যাপার হলো এবং পুরো তদন্তকে তিনি অবৈধ বলে দাবি করেন।
ট্রাম্পের রুশ সংযোগ তদন্তের বিশেষ কৌঁসুলি নিযুক্ত হওয়ার ২২ মাসের মাথায় এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন রবার্ট মুলার।
তবে ইতিমধ্যে ট্রাম্পের সাবেক ছয় ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং কয়েক ডজন রুশ নাগরিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারের তৈরি করা তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো মার্কিন নাগরিক কিংবা ট্রাম্পের প্রচারণা দলের কোনো সদস্য জ্ঞানত রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাত করেছে, এমন প্রমাণ বিশেষ কৌসুলি পাননি।
মূল রিপোর্ট থেকে আরও তথ্য প্রকাশ করা হবে জানিয়ে উইলিয়াম জানিয়েছেন, কিছু বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
ডেমোক্র্যাট দলের নেতারা পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দ্রুত প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। তবে ট্রাম্পের পাশাপাশি রাশিয়াও বরাবরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে তদন্তকারী রবার্ট মুলারের প্রতিবেদন নিয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ৪২০ আইনপ্রণেতা কংগ্রেস ও জনগণের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি উন্মুক্ত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি।