আকাশ যুদ্ধের পর এবার পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ভারত

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

আকাশ যুদ্ধের পর এবার পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলার দেশটির ৪৯ জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহতের পর সীমান্তের আকাশ যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান। এ সময় এক ভারতীয় পাইলটকে আটক করে পাকিস্তান। পরে ইমরান খান শান্তির অংশ হিসেবে তাকে মুক্তি দেন।
এরপর সীমান্তে কয়েকবার পাক-ভারত ভারি গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এমন উত্তেজনার মধ্যে এবার সাগরে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বিশাল নৌ-মহড়া করেছে ভারত। দেশটি সমুদ্র উপকূলে অনির্দিষ্টসংখ্যক রণতরির মহড়া চালিয়েছে এবং মোতায়েন করেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির নৌবাহিনী।
রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর এই বিশাল মহড়ায় অংশ নিয়েছে দেশটির বিমানবহনকারী রণতরী ও পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র ১৭ মার্চ এক টুইটবার্তায় এমন মহড়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার তৈরি ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবহনকারী রণতরি আইএনএস ‘বিক্রমাদিত্য’ এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন অন্যান্য নৌযান ও বিমানের সঙ্গে মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
এ নিয়ে ভারতের সামরিক বাহিনীর একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিরোধ, প্রতিহত ও পরাজিত করার লক্ষ্যে এমন নৌ-মহড়া ও রণতরি মোতায়েন করেছে ভারত।
ভারতের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া ট্রপেক্স-২০১৯। ভারত তাদের নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এই যৌথ মহড়া চালিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বলছে, এমন প্রস্তুতি থাকলে তারা যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দেশটি কিছু রণতরি মহড়া চালায়। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদ দাবি করে পাকিস্তান নৌবাহিনী তাদের জলসীমায় একটি ভারতীয় সাবমেরিন চলাচল করতে দেখে এটি ঠেকায়। এ নিয়ে পাকিস্তানের এমন দাবি ভারত ‘প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে দেখছে।