সম্রাটের সঙ্গী নির্ধারণে গাণিতিক হিসাব-নিকাশ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৫ এএম

চীনের সম্রাট। ছবি: সংগৃহীত
গণিত বা অংকের শুরুটা হয়েছিল মিসর, মেসোপটেমিয়া ও গ্রিসে। কিন্তু এসব সভ্যতার পতনের সঙ্গে সঙ্গে গণিতের পরের ধাপের অগ্রযাত্রা ঘটে পশ্চিমের দেশগুলোতে।
সেই সময় প্রাচীন চীনে হাজার মাইল দীর্ঘ প্রাচীর নির্মাণ হয় অংকের হিসাবেই।
দেশটিতে অংক এতটাই জরুরি ছিল যে, সাম্রাজ্যের সব কার্যক্রমের ভিত্তি ছিল গণিত বা অংক।
এমনকি গাণিতিক হিসাব-নিকাশের মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হতো সম্রাটের শয্যাসঙ্গীও।
জানা গেছে, ১৫ রাতের ব্যবধানে সম্রাটকে ১২১ নারীর সঙ্গে পালাক্রমে রাতযাপন করতে হবে।
আর এ কারণেই সম্রাটের উপদেষ্টারা নতুন এক গাণিতিক পদ্ধতি বের করেন, যাকে বলা হতো 'জ্যামিতিক ক্রমবৃদ্ধি'।
১২১ নারীর মধ্যে সম্রাজ্ঞী, তিনজন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী, নয় পত্নী, ২৭ উপপত্নী এবং ৮১ দাসী ছিলেন।
প্রতিটি দলের নারীর সংখ্যা তার আগের স্তরের নারীদের তিন গুণ।
ফলে গাণিতিক হিসাব করে সহজেই একটি রোটা বা তালিকা করা হতো যে ১৫ রাতের মধ্যে সম্রাট প্রতিজন নারীর সঙ্গে রাতযাপন করছেন।
প্রথম রাত নির্ধারিত ছিল সম্রাজ্ঞীর জন্য। এর পর পালাক্রমে আসতেন ঊর্ধ্বতন সঙ্গিনী ও পত্নীরা।
উপপত্নীদের তালিকা অনুযায়ী পছন্দ করা হতো, একেক রাতে নয়জন করে।
সর্বশেষ নয় রাতে পালা করে ৮১ দাসীর সঙ্গে রাতযাপন করতেন সম্রাট।
তালিকায় এটা অবশ্যই নিশ্চিত করা হতো যে, মর্যাদায় উচ্চতর অবস্থানে থাকা নারীদের সঙ্গে সম্রাট পূর্ণ-চাঁদের কাছাকাছি সময়ে রাত কাটাবেন।
এর মাধ্যমে সম্রাটের উত্তরাধিকার অর্থাৎ তার সন্তান যেন মর্যাদাশীল নারীর গর্ভে জন্ম নেয় সেটি নিশ্চিত করা হতো।
এভাবে শুধু সম্রাটের শয্যাসঙ্গীই নয়, সাম্রাজ্যের বংশ পরম্পরাও সৃষ্টি হতো গাণিতিক হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী। সূত্র: বিবিসি।