মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ চাইবেন গুইদো
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:১৮ এএম
জুয়ান গুইদো। ছবি: সংগৃহীত
ভেনিজুয়েলার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রয়োজনে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা করার কথা জানিয়েছেন ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদো।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য যা করা প্রয়োজন তিনি তার সব কিছুই করবেন।
তিনি বলেন, আমি ভেনিজুয়েলার চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটাতে চাই। চলমান এই জরুরি অবস্থা কাটাতে সম্ভাব্য সব কিছু করব, যেন সামাজিক ব্যয় কমে ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুইদোকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি দেশটিতে প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করার হুমকি দিয়েছেন।
আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুইদো বলেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য তিনি প্রয়োজনে আমেরিকাকে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমতি দেবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রত্যাখ্যান সত্ত্বেও কলম্বিয়ার ভেনিজুয়েলা সীমান্তবর্তী শহর কাকাতায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণবাহী লরি।
ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদোর অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলায় ত্রাণ পাঠালেও ওই সব ত্রাণ নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি অভিহিত করে সীমান্তেই আটকে দিয়েছে মাদুরো সমর্থিত সেনাবাহিনী।
ওই লরিগুলোতে খাবার ও ওষুধ রয়েছে। কলম্বিয়ান পুলিশ মোটরসাইকেলে করে সেগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে ভেনিজুয়েলা পর্যন্ত নিয়ে যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তাকে ‘অপমানের চেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে মাদুরো বলেন, ভেনিজুয়েলার মানুষ ভিক্ষুক নয়।
এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটে মাদুরোর ওপর ক্ষুব্ধ ভেনিজুয়েলার জনগণ। এ জন্য গত চার বছর ধরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করে আসছেন তারা।
চলমান এ সরকারবিরোধী বিক্ষোভকে পুঁজি করে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুইদো।
২৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএসএর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
চরম রাজনৈতিক অস্থিরতায় এখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভেনিজুয়েলা। রয়েছে মার্কিন আগ্রাসনের ভয়ও।
অন্যদিকে সন্ত্রাস, অপরাধ আর দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র। নিজ বাসভূমিতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত দেখে দেশ ছাড়ছে লাখ লাখ নাগরিক।