সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রধানশিক্ষকের যে চিঠি

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২১ পিএম

সেলুনগুলোতে অনুরোধ করে প্রধানশিক্ষকের সেই চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
চুলকে বিভিন্ন রকম আকার দেয়ার ফ্যাশনে মেতেছে তরুণেরা। দেশি বিদেশি তারকাদের মতো করে হুবহু চুলের ছাট দিচ্ছেন অনেকেই। এসব ফ্যাশনের অধিকাংশই কিম্ভুতকিমাকার।
আর শিক্ষার্থীদের এমন সব কিম্ভুতকিমাকার চুলের ছাটে বিব্রত ও বিরক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাটগাছা এলাকার এক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতোটাই বিরক্ত যে, ছাত্রদের এমন ফ্যাশনে সাড়া না দিতে স্থানীয় সেলুনগোলোতে অনুরোধমূলক চিঠি দিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেলুনে পাঠানো ওই চিঠিটি।
গত ৩১ জানুয়ারির ওই চিঠি নিয়ে রসিকতায় মেতে ওঠে নেট জনতা।
ভাইরাল হয়ে পড়া ওই চিঠিটি লিখেছেন হাটগাছা হরিদাস বিদ্যাপিঠ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. পার্থ সারথি দাস।
শ্রদ্ধেয় সেলুনের কর্মী বন্ধু সম্বোধন করে স্থানীয় নরসুন্দরকে তিনি লিখেছেন, এই বিদ্যালয় আপনাদের। এর শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিনীত অনুরোধ করছি। ছাত্রদের এমন চুল কাটবেন না যা দৃষ্টিকটু ও অছাত্রসুলভ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, অনেকদিন ধরেই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা মাথা ভরা খাড়া খাড়া চুল বা কাকের বাসার মতো চুল কেটে স্কুলে আসছে।
কাউকে দেখা গেছে ঘাড়ের পেছনে টিকটিকির লেজের মতো চুল ছেটে এসেছে।
ছাত্রদের অনেক বোঝানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কোনো কাজ হয়নি দেখে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সেলুনগুলোতে এ চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুধু বিদ্যালয়ে শাসন করলেই চলবে না জানিয়ে হাটগাছা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থসারথি দাস বলেন, আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি। এমন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। সেলুনগুলোকে অনুরোধ করেছি তারা যেন শালীনতা বজায় রেখে কাজ করেন।
প্রধানশিক্ষকের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রদের অভিভাবকরা।