
ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্পের প্রধান আলি আকবর সালেহি। ছবি: আল জাজিরা
ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্পের প্রধান আলি আকবর সালেহি ঘোষণা করেছেন যে, তার দেশ পারমাণবিক প্রযুক্তিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে। দেশটিতে পরমাণু বিজ্ঞান ও শিল্পে এমন অগ্রগতি অর্জন হয়েছে যে, এখন ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ করা সম্ভব। ইরানের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপ ও আমেরিকা এর চেয়ে অনেক কম বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণে সক্ষম।
রোববার রাষ্ট্রীয় এক সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সালেহি এসব কথা বলেন।
সালেহি বলেন, এই ২০ শতাংশ উৎপাদন আগের জ্বালানি উৎপাদনের চেয়ে আলাদা। আমরা তেহরানের পারমাণবিক চুল্লির মতো যে কোনো চুল্লির জ্বালানি সরবরাহ করতে পারি।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য একটি উন্নতমানের পারমাণবিক চুল্লির নকশা তৈরি করা সম্ভব। তবে এ ধরনের ইউরেনিয়াম আহরণের উদ্দেশ্য তিনি ব্যাখ্যা করেননি।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ৮০-৯০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হয়। তবে ২০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিবেচনা করা হয়।
২০১৫ সালে শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে ইরানকে ইউরেনিয়াম আহরণের পরিমাণ বেঁধে দেয়া হয়। চুক্তিতে বলা হয়, ইরান ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পরিমাণ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম আহরণ করতে পারবে। তবে এটি ৩০০ কেজির বেশি হবে না। তেহরান সবসময় পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে।
বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ফলে দেশটি বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাস বিক্রি করার অনুমতি পায়।
জাতিসংঘ পারমাণবিক পরিদর্শকদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইরান চুক্তির নিয়মাবলি মেনে চলতে থাকে।
গত বছরের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সূত্র: আলজাজিরা