প্রেমিকাকে মেরে স্যুটকেসে ভরে জঙ্গলে ফেলে দিল প্রেমিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
দিল্লির গাজিপুর এলাকায় স্যুটকেসে এক নারীর পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যার রহস্য খুঁজতে গিয়ে পুলিশ ভয়াবহ এক কারণ খুঁজে পেয়েছে। খবর এনডিটিভির।
রোববার স্থানীয় পুলিশ পূর্ব দিল্লির গাজিপুরের একটি নির্জন এলাকায় স্যুটকেস
পড়ে থাকার খবর পায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু
মরদেহটি ছিল পুরোপুরি আগুনে পোড়া। পরবর্তীতে পুলিশ এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে এবং
কারণ খুঁজতে একাধিকবার ওই এলাকায় যায়।
পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক ধনিয়া মিডিয়াকে বলেন, এ
ঘটনার কোনো ক্লু আমাদের কাছে ছিল না। আমাদের কাছে শুধু একটি স্যুটকেস এবং একটি পুড়ে
যাওয়া মরদেহ ছিল। পরে ওই এলাকার আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ তদন্ত করা হয়।
পুলিশ অফিসার আরও জানান, তারা হুন্দাই ভার্না একটি গাড়ির ওপর নজর দেয়।
কারণ স্যুটকেসে মরদেহটি পাওয়ার পর সিসিটিভির ফুটেজে ওই এলাকা থেকে গাড়িটিকে চলে যেতে
দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ গাড়িটির রেজিস্টার নম্বরে যোগাযোগ করে লোনি নামের এক বাসিন্দার
খবর পায়। কিন্তু সে পুলিশকে জানায় গাড়িটি অমিত তাইরি নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি
করা হয়েছে।
পুলিশ ২২ বছর বয়সি অমিত তাইরিকে খুঁজে বের করে এবং তাকে জেল হাজতে নিয়ে
যায়। এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে ওই মরদেহটি ২২ বছর বয়সি তার চাচাতো বোন শিল্পা পান্ডের।
তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, গত এক বছর তারা একসঙ্গে থেকেছেন। কিন্তু শিল্পা তাকে
বিয়ে করতে চাওয়ায় সে রাজি হয়নি।
পরবর্তীতে গত শনিবার রাতে অমিত মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরে এবং শিল্পার সঙ্গে
ঝগড়া হলে সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ ফেলে দেয়ার জন্য গাড়ি চালক ও বন্ধু
অনুজ কুমারকে আনা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহ সুটকেটে ভরে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অনুজকেও
গ্রেফতার করেছে পুলিশ।