ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন ও শুল্ক বাধা
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নিয়ে যা বলল ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করেছেন একাধিক নির্বাহী আদেশে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুমকিও দিয়েছে। এই অবৈধ অভিবাসন অথবা বাড়তি শুল্ক চাপানোর কোনটিই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি করবে না বলে বিশ্বাস নয়াদিল্লির।
শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তিনি জানান, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এবং
অবৈধ অভিবাসন—এই দুটি বিষয়কে একই অবস্থান থেকে দেখা ঠিক নয়।
জয়সওয়াল বলেছেন, ‘আগেও এটা জানিয়েছি, ভারত অবৈধ
অভিবাসনের বিরুদ্ধে। বিশেষত এগুলো নানা ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কেবলমাত্র
আমেরিকাই নয়, বিশ্বের অন্য কোথাও যদি ভারতীয় নাগরিক থেকে থাকেন যাদের সেই দেশে ভিসার
মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথবা কাগজপত্র সঠিক নেই, তবে আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব। তবে পুরো
বিষয়টি এবং তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি আমাদের দিতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের
প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরে। প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব এবং পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে
যেতে চাওয়া শিক্ষার্থীরা আরও যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তন এবং তাদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় ভারতের
বাণিজ্য ও শিল্প সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে কি? জয়সওয়াল দিয়েছেন কৌশলী উত্তর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন ও বাণিজ্য দুটি পৃথক বিষয়। অবৈধ অভিবাসন নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি ও অবস্থান খুবই পরিষ্কার। বাণিজ্য প্রসঙ্গে এটাই বলতে হয় যে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বহুস্তরীয় ও বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৩ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রেকর্ডমাত্রা ছুঁয়েছিল। বহু ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে রয়েছে যার মাধ্যমে বাণিজ্য শুল্কের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কথাবার্তা চলতে থাকে দুদেশের।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থারও
কোনও অভাব নেই। সে দেশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন,
ভারত এবং আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রশ্নে আরও সাহসী হয়ে উঠবে আগামী দিনে।’