Logo
Logo
×

ভারত

‘উনি কখন হাসেন আর কখন কাঁদেন...’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম

‘উনি কখন হাসেন আর কখন কাঁদেন...’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সোমবার নবান্নের বৈঠকে অনেক সময় বিরক্ত হতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি ওনার কোনো কথার উত্তর দেব না। উনি কখন হাসেন, কখন কাঁদেন বলতে পারব না।’

এরপর বিমানবন্দরে ঢুকে যান শুভেন্দু অধিকারী। 

এদিকে সোমবার ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক চলে নবান্নের সভাঘরে। বৈঠকে যখন প্রায় ২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, তখন একটা সময় বিরক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আর কত কথা বলবে বাবা?’ 

তিনি বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া ছিল। সেটা ২ ঘণ্টা হয়ে গেল। একটা পরিবার আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। সেটা তোমরা বোঝ। বার বার মোবাইল দেখা শুরু করেন মমতা। 

এদিকে সোমবারের বৈঠকে পয়েন্ট ধরে ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরেন। কার্যত রাজ্য সরকার যখন একাধিক বিষয়কে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তখন পালটা জুনিয়র ডাক্তাররা টক্কর দেন।

সোমবার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। গোপাল গান্ধী এসেছিলেন। মহাশ্বেতা দেবীসহ অন্যরা এসেছিলেন। তোমাদের আমরা ভালোবাসি, আমি অনেক আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। তোমরা তোমাদের কথা মন খুলে বলার সুযোগ পেয়েছ। আমার জন্য কেউ কিছু করেনি। আমাকে খালি বলেছিল প্রত্যাহার কর। আর কিছু বলেনি।

এদিকে র্যাগিং প্রসঙ্গে বৈঠকে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, কলেজে কাউকে র্যাগিং করা হলো তবে সেটা কারা দেখবে? অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি নাকি স্টেট লেভেল টাস্কফোর্স? 

সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কলেজে তো অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি আছে। তারা দেখবে। তখন জুনিয়র ডাক্তার বলেন, আসলে কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে। কলেজে যে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ছিল সেগুলো আদৌ কার্যকরি নয়। কারণ সেগুলো নামে আছে কিন্তু সেখানে যারা রয়েছেন তারা পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সেই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম