Logo
Logo
×

ভারত

ভারতে থানায় হবু স্ত্রীসহ বর্বর নির্যাতনের শিকার সেনা কর্মকর্তা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম

ভারতে থানায় হবু স্ত্রীসহ বর্বর নির্যাতনের শিকার সেনা কর্মকর্তা

থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছেন সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও তার হবু স্ত্রী। এ ঘটনায় পূর্ব ভারতের ওড়িশায় থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৫ জন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভুবনেশ্বরের ভরতপুর থানায় সেনা অফিসার ও তার বাগদত্তা স্ত্রীকে মারধর ও যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে নির্যাতিতা জামিন পেয়েছেন। জামিন পাওয়ার পর জেলের ভেতরে কিভাবে তাকে অত্যাচার করা হয়েছিল সেই বর্ণনা দেন নির্যাতিতা। 

পেশায় আইনজীবী ওই নারী একটি রেস্তোরাঁ চালান। তিনি অভিযোগ করেন, থানার ভিতরে ইন্সপেক্টর ইনচার্জসহ চার পুলিশকর্মী তাকে লাথি মারে, টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, ‘ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বর্বরতার সব সীমা অতিক্রম করেছেন। তিনি আমাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন।’ 

একজন নারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও সেনা কর্মকর্তা ও তার হবু স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ ওঠার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। 

নির্যাতিতা ওই নারী অভিযোগ করেন, নিজেদের বাঁচাতে পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা সেই নারী জানান, সেনা অফিসার এবং তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাদের দিকে তেড়ে আসে এবং পথ আটকে মারধর করে। তখন তারা ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন; কিন্তু পুলিশ তাদের সাহায্য না করে অপরাধীদের মতো আচরণ করে।

নির্যাতিতা বলেন, ‘দুই নারী পুলিশ আমাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে ফেলে দেয়। সেখানে একজন পুরুষ অফিসার এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি আমার অন্তর্বাস খুলে বুকে লাথি মারতে থাকে।’ 

তিনি আরও বলেন, সকাল ৬টায় ইন্সপেক্টর ইনচার্জ থানায় এসে আমাকে ধাক্কা দেয়, হুমকি দেয় এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করে। তিনি নিজের প্যান্ট খুলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন।

সেনা কর্মকর্তা জানান, তাকে ভোর ৩টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত লকআপে বেআইনিভাবে আটকে রাখে। তার হবু স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমি তার ৩০ মিনিট ধরে চিৎকার শুনতে পেয়েছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম