
গাড়ি, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ তৈরি করতে সেমিকন্ডাক্টর চিপের প্রয়োজন হয়। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে এর উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ভারত এখন পর্যন্ত সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে যায়নি। এতে সমস্যায় পড়েছে দেশটির শিল্পমহল। কারণ চীন, তাইওয়ান, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তা আমদানি করতে হয়।
ভারত এবং থাইল্যান্ড পূর্ণাঙ্গভাবে সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদনে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দেশ দুটি বিনিয়োগও করছে। এটি এশিয়ার শিল্প মানচিত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। খবর নিক্কাই এশিয়ার।
জুলাইয়ের শেষদিকে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি উদ্বোধনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বব্যাপী চিপ শিল্পের বিষয়ে তার দেশের শক্তির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের বিশ্বস্ত অংশীদার কে হতে পারে? যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদে জড়িত। ভারত এ সুবিধাটি নিতে চাইছে।
মোদি সরকার গার্হস্থ্য সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদনের জন্য ২০২১ সালে ৭৬০ বিলিয়ন রুপির বিল পাশ করে।
জুনে মার্কিন চিপমেকার মাইক্রোন টেকনোলজি জানায়, ভারতের গুজরাট প্রদেশে একটি কারখানা তৈরি করবে। যারা আগামী বছর উৎপাদনে যাবে।
আরও জানা যায়, কর্ণাটকে তাইওয়ানের হোন হাই শিল্প বা ফক্সকন এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করতে মার্কিন চিপমেকিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
জুলাইয়ে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংবাদমাধ্যম নিক্কাই এশিয়াকে বলেন, ভারতে সেমিকন্ডাক্টর এবং স্থানীয় শিল্পের বিকাশের পরিকল্পনা করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের অবশ্যই কয়েকটি প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করতে হবে; যাতে পরবর্তী প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যবহার করা যায়।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষিত সেমিকন্ডাক্টর-ডিজাইনিং ইঞ্জিনিয়ারদের ভারতের সম্পদ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।