Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস কমাতে যে ওষুধ খাবেন নারীরা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২ পিএম

প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস কমাতে যে ওষুধ খাবেন নারীরা

৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ নারী গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ফিল করছেন। এর মূল কারণ ৩৫ বছরের পর নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মা হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যার সমাধানে বাজারে আসছে নতুন ওষুধ। এই ওষুধ খেলে নারীদের বয়স বাড়লেও মা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

সম্প্রতি গবেষকরা দাবি করেছেন রেপামাইসিন এমন একটি ওষুধ, যা বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি নারীদের প্রজনন ক্ষমতা প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম। যদিও বিষয়টি গবেষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

এই ওষুধের কার্যকারিতার জন্য ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। 

গবেষকরা বলেছেন, মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থাতেই নারীদের শরীরে ডিম্বাশয়ে বিশেষ কোষ দ্বারা বেষ্টিত মহিলা গ্যামেটগুলি প্রাথমিক ফলিকল গঠন করে। প্রতিটি ফলিকালে একটি একক ডিম থাকে, যা বয়সন্ধিকালের আগে পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকে। পরবর্তীকালে মাসিক চক্রের সময় একটি প্রভাবশালী ফলিকল ডিম্বানুকে নিষিদ্ধ করার জন্য থাকবে এবং বাকি ফলিকল ডিম্বাশয় দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হবে।

একজন নারীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো মানের কয়েকটি ফলিকল অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু ঠিক সেই সময় মেনোপজ শুরু হয় অনেকের শরীরে। মেনোপজের গড় বয়স ৫১ বছর, যদিও কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে তাই ৪০ বছরও হতে পারে। মেনোপজ সরাসরি প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত করে তাই পিতা মাতা হওয়ার পরিকল্পনা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।

বয়স বাড়লেও ডিম্বাশয় নিষিক্ত হওয়া শেষ না হলে নারীর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি হতে পারে। ঠিক এই কাজটা করতেই সাহায্য করে রেপামাইজিন। এটি হলো এমন একটি ব্যাকটেরিয়া যৌগ, যা কোষগুলিকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এই ওষুধটি মেনোপোজকে বিলম্বিত করে, ফলে বয়স বেড়ে গেলেও গর্ভধারণ করতে কোনও সমস্যা হয় না।

ইঁদুরের পাশাপাশি এই ওষুধটি মানুষের শরীরে একই ভাবে কাজ করে কিনা জানার জন্য গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সি ৫০ জন নারীকে বেছে নেন যাদের পেরিমেনোপজল ছিল।

গবেষণায় তিন সপ্তাহ ধরে ওই নারীরা ওষুধটি খান এবং ফলাফল স্বরূপ দেখা যায় কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই নারীদের ডিম্বাশয়ের বার্ধক্য ২০ শতাংশ কমে গেছে। তবে প্রতিশ্রুতিশীল ফলাফলের জন্য গবেষকরা আগামী দিনে ১ হাজার জন নারীর শরীরে এই পরীক্ষা করে দেখতে চান। গবেষণার ফলাফল যদি সন্তুষ্টিজনক হয় তবেই এই ওষুধটিকে গর্ভধারণ সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।

সূত্র:হিন্দুস্তান টাইমস

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম