
প্রিন্ট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
হাঁটুতে বুদ্ধি রেখে চলে যেসব প্রাণী

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ধরুণ বোকার মতো একটা কাজ করে ফেললেন। একটু বেশিই বোকার মতো। বাসার কেউ সেটা দেখলে সবার আগেই বলে উঠবে, ‘বুদ্ধি কি হাঁটুতে রেখে চলিস?’ মানুষ হাঁটুতে নয়, বুদ্ধি মাথায় রেখেই চলে। তবে ওই কথাটি বলা হয় কাউকে প্রচণ্ড বোকা বোঝাতে। কিন্তু এমন কিছু প্রাণী আছে যাদের সত্যিই হাঁটুতে থাকে বুদ্ধি। আর সেই বুদ্ধি দিয়েই তারা টিকে আছে, নিজেকে বাঁচিয়ে নিচ্ছে, খাচ্ছে, জীবনযাপন করছে।
আমাদের আশেপাশে থাকা সেইসব ৪ প্রাণীদের নিয়েই এই লেখা—যাদের বুদ্ধি মাথায় নয়, হাঁটুতে থাকে। কারও আবার একটা নয় কয়েকটা জায়গায় থাকে বুদ্ধি তথা মস্তিষ্ক। এই তালিকায় সবার আগে থাকবে অক্টোপাসের নাম। এই প্রাণীটির আবার বেশি বেশি বুদ্ধি। কম কম করে দুই হালি। অবাক হচ্ছেন, কিভাবে!
অক্টোপাসের মাথায় একটি কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক থাকে। আর আটটি হাতে প্রতিটিরই নিজস্ব একটি করে ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক থাকে। অক্টোপাস স্বাধীনভাবে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অক্টোপাসের মূল মস্তিষ্ক থেকে সরাসরি ইনপুট ছাড়াই তার হাত নাড়াতে পারেন।
দুই নম্বরে আছে জোঁক। রক্তচোষা ক্ষমতার জন্যই নয়, বরং অদ্ভুত স্নায়ুতন্ত্রের জন্যও এই প্রাণীটি বিখ্যাত। ছোট খণ্ডের মতো এই দেহে ছড়িয়ে থাকে ৩২টি মস্তিষ্কের মতো গ্যাংলিয়া বা স্নায়ু কোষের গুচ্ছ। যা তা নড়াচড়া করতে এবং দক্ষতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহায্য করে।
বেশিরভাগ প্রাণীর মতো স্টারফিসের কেন্দ্রীয় মস্তিষ্ক থাকে নেই। পরিবর্তে, তাদের মুখের চারপাশে একটি স্নায়ু বলয় থাকে। প্রতিটি হাতে একটি স্নায়ু জাল থাকে। এই বিকেন্দ্রীভূত স্নায়ু ক্লাস্টারগুলি তাদের চারপাশে কী ঘটছে তা অনুভব করতে সাহায্য করে।
অনেক মাকড়সা, বিশেষ করে ট্যারান্টুলার মতো বৃহৎ মাকড়সার পায়ে গ্যাংলিয়া সহ একটি বিস্তৃত স্নায়ুতন্ত্র থাকে। এই ব্যবস্থা চারপাশে কোনও বিপদ আছে কিনা তা অনুধাবন করতে সাহায্য করে। এমনকি নিঃশব্দে শিকার করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই মস্তিষ্ক। ভাবুন একবার। মাথায় বুদ্ধি না থাকলেও এরা কত দুর্দান্তভাবে চলাফেরা করে!