ব্লাইন্ড ডেট করতে গিয়েছিলেন ৫০ বছর বয়সি লালু চৌবে। তার পর তিনি অপহৃত হয়েছেন বলে ফোন আসে ছেলের কাছে। মুক্তিপণের জন্য টাকা চেয়েছেন। তিন লাখের দাবি জানানো হয়। তবে অপহৃতের পরিবার ততক্ষণে দিয়েছিল এক লাখ টাকা। এরপরই তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এদিকে চৌবে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামে।

ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। সেখানে এক ব্যক্তি ব্লাইন্ড ডেট করতে গিয়ে অপহৃত হয়ে আটকে ছিলেন ঝাঁসির এক জায়গায়। গোটা ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। গ্রেফতার হয়েছেন এক নারীসহ  তিনজন। এই দুঃসাহসিক অপহরণকাণ্ডে মোট তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন। 

জানা গেছে, ললিতপুরের লালু চৌবে নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। তার মুক্তির জন্য তার পরিবারের কাছে অপহরণকারীরা ফোন করে বিপুল অঙ্কের টাকা চায়। সেই টাকাই তিন লাখ টাকা। লালু চৌবের ছেলের কাছে আসে ফোন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের তরফে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। 

পুলিশি তদন্তে নেমে একাধিক টিম তৈরি করে খোঁজ শুরু করে। এদিকে এক কনস্টেবল, ওই লালু চৌবের ছেলে হিসাবে মোটা টাকা নিয়ে যান অপহরণকারীদের কাছে। তারপর সেই কনস্টেবলকে এক অভিযুক্ত অপহরণকারী নিয়ে যায় তাদের ডেরায়। সেই ডেরায় আটকে ছিলেন লালু চৌবে। এরপর আর বেশি সময় কাটেনি। তৎক্ষণাৎ অপহরণকারীদের ধরে নেয় পুলিশ। 

পুলিশি জেরায় জানা গেছে, যাদের টার্গেট করবে বলে ঠিক করত ওই গ্যাং, তাদের ওই নারীকে দিয়ে ফোন করাত। নারীর ফোনের টোপে তারা ফাঁদে পা দিত। এর পর সেই ব্যক্তিকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে বিপুল টাকা লুটে নিত ওই গ্যাং। 

মূলত ঝাঁসিতে দেখা করতে বলে ব্যক্তিদের ব্লাইন্ড ডেট-এ ডাকত ওই নারী। তারপরই চলত লুটের কীর্তি!

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস