২৬০০ লিটার বুকের দুধ দান করে গিনেস বুকে নাম লেখালেন মার্কিন নারী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের জন্য মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। তবে নানা কারণে অনেক শিশুই সেই মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হন। তাদের সাহায্যে ২৬০০ লিটারের বেশি বুকের দুধ দান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অ্যালিসা ওগলেট্রি নামের এক নারী। যা আবার গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
অবশ্য এর আগেও বুধের দুধ দান করে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ওগলেট্রি ১৫৬৯ লিটার বুধের দুধ দান করেছিলেন। সে সময় যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ছিল। এবার সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন ৩৬ বছর বয়সি এই নারী। এবার তার দুধ দান করার পরিমাণ ২৬৪৫.৫৮ লিটার।
উত্তর টেক্সাসের মায়েদের মিল্ক ব্যাংকের মতে, প্রতি এক লিটার বুকের দুধ ১১টি অভাবগ্রস্ত শিশুকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এই হিসেবে ওগলেট্রির এই অনুদান প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে সাহায্য করেছে।
বুকের দুধ দান করে গিনেস বুকে নাম তুলে ওগলেট্রি বলছেন, ‘আমার একটি মহৎ হৃদয় আছে। কিন্তু দিন শেষে, আমি অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারছি না। আমি ভাল কাজের জন্য সব সময় টাকা দিতে পারি না কারণ আমার একটি পরিবার আছে। কাজেই দুধ দান করা হলো একটি উপায় যার মাধ্যমে আমি সাহায্য করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্রতি আউন্স দুধে তিন জন শিশু বাঁচার তথ্য সঠিক হয়, তবে আমি ৩ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে সাহায্য করেছি। এই রেকর্ডটি মাত্র ৮৯ হাজার আউন্সের মাধ্যমে হয়েছে। তবে আমি প্রায় ৩৭ হাজার টিনি ট্রেজারে করেছি এবং সম্ভবত আরও দু’শত ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের দিয়েছি।'’
মিসেস ওগলেট্রি ২০১০ সালে মায়ের বুকের দুধ দান করা শুরু করেন যখন তিনি তার ছেলে কাইলকে জন্ম দিয়েছিলেন। যার বয়স এখন ১৪। শিশু জন্মদানের পর তিনি আবিষ্কার করেন যে তিনি অস্বাভাবিকভাবে প্রচুর পরিমাণে দুধ তৈরি করছেন। যা দেখে একজন নার্স তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য সংগ্রামরত মায়েদের সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত দুধ দান করার পরামর্শ দেন। বিষয়টি ভালো লাগে ওগলেট্রির। পরবর্তীতে যা দুধ দানে তাকে রেকর্ড গড়তে সাহায্য করেছে।
কাইলের পরে, তিনি তার দুই ছোট ছেলে কেজ (১২) এবং কোরি (৭) এর জন্মের পরও দুধ দান করতে থাকেন। তার এখন চারটি সন্তান রয়েছে। তার বাচ্চারা বোতল থেকে দুধ পান করা বন্ধ করার পরেও পাম্প করা চালিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে ওগলেট্রি বলেন, ‘আমি প্রতি ৩ ঘণ্টা, এমনকি ১৫-৩০ মিনিট পরপর পাম্প করি। পাম্প করার পরে, আমার ফ্রিজার পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার দুধ হিমায়িত করে রাখি। তারপরে, আমি এটিকে মিল্ক ব্যাঙ্কে নিয়ে যাই, যেখানে তারা হিমায়িত দুধকে একটি বিশেষভাবে ক্যালিব্রেট করে পরিমাপ করবে।’
এত বেশি দুধের পরিমাণ কীভাবে সম্ভব সেটা জানিয়ে ওগলেট্রি বলেন, ‘আমি সব সময় প্রচুর পানি পান করেছি। আমি আমার পাম্পিং শিডিউলের সাথে সামঞ্জস্য রেখেছি। আমি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছি। আমি আমার মতো পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি কারণ আমি জানতে চাই যে আমি কতগুলি শিশুকে সাহায্য করব।’