যে কারণে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টানলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
শেখ হাসিনার গত শাসনামলে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের অসন্তোষ ছিল। এবার আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী-এরকম একটি ফোনালাপ সম্প্রতি ফাঁস হয়।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছেন। বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। এছাড়া তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইঙ্গিত করে বলেন, এটা আমার আমলে ঘটত না। কমলা এবং জো বাইডেন সারা বিশ্বে এবং যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দুদের উপেক্ষা করেছে। ইসরাইল থেকে ইউক্রেন এবং আমাদের নিজস্ব দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত একটি বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আবার শক্তিশালী করবেন এবং এর মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প জানান, হিন্দু মার্কিনিদেরও উগ্র বামপন্থিদের ধর্মবিরোধী এজেন্ডা থেকে রক্ষা করা হবে। তার দল সবার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করবে।
তিনি জানান, কমলা হ্যারিস বিভিন্ন কর দিয়ে ছোট ব্যবসা ধ্বংস করছেন। এর বিপরীতে তিনি কর কমিয়েছেন, প্রবিধান কমিয়েছেন এবং ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতি গড়ে তুলেছেন। তিনি ক্ষমতায় গেলে এটি আবার করা হবে, আগের চেয়ে আরও বড় ও ভালো এবং আমেরিকাকে আবার মহান করবেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন। এছাড়া ভারত এবং ভালো বন্ধু মোদির সঙ্গে অংশীদারিত্বের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলবেন বলেও জানান। তবে, কানাডায় শিখ নেতা হত্যার ব্যাপারে অবশ্য ট্রাম্প কিছুই বলেননি।
এদিকে নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি। এর মধ্যে এক্স-এ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্টে আবারো বাংলাদেশ নিয়ে তার ভাবনার চিত্র ফুটে উঠেছে বলেও অনেকে মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বিশেষ করে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে হিলারি ক্লিনটনসহ ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্ক রয়েছে। এর বিপরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রয়েছে ভারত এবং মোদির সম্পর্ক। আর এসব নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে।
আবার কেউ কেউ মনে করছেন, হিন্দু ভোট টানার জন্যই ট্রাম্প অনেকটা নাটকীয়ভাবে এক্স-এ ওই পোস্ট দিয়েছেন। তার ভয় হচ্ছে, বেশিরভাগ হিন্দু ভোট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমালা হ্যারিসের পক্ষে চলে যেতে পারে। কোনো ভাষ্যকার অবশ্য বলছেন, এর পেছনে লবিস্ট ফার্মসহ পতিতদের হাত থাকলেও থাকতে পারে।