
প্রিন্ট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৩ এএম
কেটি পেরির সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের চার্জ গঠন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম

আরও পড়ুন
ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরির সাবেক স্বামী অভিনেতা ও কমেডিয়ান রাসেল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের একাধিক অভিযোগে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগগুলো ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে চারজন ভিন্ন নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৫০ বছর বয়সি ব্র্যান্ড একটা সময় যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং স্টান্ড-আপ কমেডিয়ান ছিলেন। এছাড়াও তিনি মার্কিন পপ তারকা কেটি পেরির সাবেক স্বামী হিসেবেও পরিচিত।
ব্র্যান্ড ২০২৩ সালে প্রথম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। সেই সময় তিনি দাবি করেন, সমস্ত সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- একটি ধর্ষণের অভিযোগ, একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ, একটি ওর্যাল রেপের অভিযোগ এবং দুটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ।
এসব অভিযোগে তাকে আগামী ২ মে আদালতে প্রথম শুনানির জন্য হাজির হতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাসেল ব্র্যান্ড: মূলধারার মিডিয়া থেকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
২০০০-এর দশকে ব্র্যান্ড ছিলেন ব্রিটিশ টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। তার ব্যতিক্রমী পোশাকশৈলী ও আচার-আচরণের জন্য তিনি আলোচিত ছিলেন। তিনি বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন এবং ‘Get Him to the Greek’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১০ সালে তিনি কেটি পেরিকে বিয়ে করেন। তবে ১৪ মাস পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
২০২০ সালের পর থেকে তিনি মূলধারার মিডিয়া থেকে দূরে সরে গিয়ে মূলত নিজের ইন্টারনেট চ্যানেলে মার্কিন রাজনীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দ্য সানডে টাইমস ও চ্যানেল ৪ ডিসপাচেস এক যৌথ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে চারজন নারী ২০০৬ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন। এর পরেই লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ এ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করে।
তখন ব্র্যান্ড বলেছিলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সেই সময়ের, যখন আমি মূলধারার মিডিয়ায় নিয়মিত ছিলাম, সিনেমা করতাম এবং আমার প্রেমজীবন খুবই বর্ণিল ছিল। কিন্তু আমার সমস্ত সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই হয়েছিল’।
তদন্ত চলমান
ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে এবং যারা এ বিষয়ে প্রভাবিত হয়েছেন বা কোনো তথ্য জানেন, তাদের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি