ট্রাম্পের সঙ্গে বিতণ্ডার পর ব্রিটেনে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন জেলেনস্কি

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯ এএম

হোয়াইট হাউসে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর লন্ডনে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদের এক দিনের মাথায় তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানাল ব্রিটেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জেলেনস্কিকে দেখেই বুকে জড়িয়ে ধরেন।
শনিবার জেলেনস্কির গাড়িবহর ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছালে তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন এবং সেখানে স্টারমার তাকে আলিঙ্গন করেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাসস্থলে প্রবেশের আগে তারা ছবি তোলেন।
সেখানে স্টারমার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বলেন, ‘আপনাকে এখানে, এই ডাউনিং স্ট্রিটে অনেক অনেক স্বাগতম’।
তিনি আরও বলেন, ‘যেমনটি আপনি বাইরে রাস্তায় উল্লাস ধ্বনি শুনছেন, গোটা যুক্তরাজ্যজুড়ে আপনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং যতদিনই লাগুক আমরা আপনার সঙ্গে, ইউক্রেনের সঙ্গে রয়েছি।’
কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘যতদিনই সময় লাগুক না কেন আমরা আপনার এবং ইউক্রেনের সঙ্গে আছি।’
জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ‘(রাস্তায়) আমি অনেক লোককে দেখেছি এবং আমি আপনাকে এবং যুক্তরাজ্যের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই (এই যুদ্ধের শুরু থেকেই) এত ব্যাপক সমর্থনের জন্য।’
মূলত ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের সম্মেলনের আগে লন্ডনে বৈঠক করলেন এই দুই নেতা। সেখানেই জেলেনস্কিকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান স্টারমার।
ওয়াশিংটনে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর লন্ডনে যান জেলেনস্কি।
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি খুশি যে— তার দেশের ‘এমন বন্ধু’ আছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে সহায়তা দিতে ২৮৪ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তি সম্পাদন করেছে যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেন। রাশিয়ার আটকে রাখা সম্পদগুলোর লাভের অর্থ দিয়ে এই ঋণ পরিশোধ করা হবে।
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরে স্টারমার জানান, ইউক্রেনে সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার ভিত্তিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী তারা দু’জনেই। এটি ইউক্রেনের জন্য তো বটেই, ব্রিটেন তথা গোটা ইউরোপের জন্যই জরুরি।