যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ৪ জুলাই নির্বাচনে ভূমিধস জয়ের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয় তাকে। এরই মধ্যে কারাবন্দিদের নিয়ে সংকটে পড়েছেন স্টারমার। দেশটির কারাগারগুলো কয়েদিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। পাশাপাশি কারাগার কেন্দ্রিক ব্যয়ও বেড়েছে অনেকটা। বুধবার রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে নতুন বন্দি গ্রহণের মতো অবস্থা না থাকায় কারাগারে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড প্রিজন ব্রিফ ডাটাবেজ অনুসারে, পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে ব্রিটেনের কারাগারে বন্দির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নতুন কারা আইন প্রণয়নে আগের সরকারগুলো ব্যর্থ হওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে কারাগারে উপচে পড়ছে বন্দিরা।
যুক্তরাজ্যের কারাগারে একজনের জন্য নির্মিত কক্ষে দুজন বন্দিকে থাকতে হচ্ছে। এর কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, আগের সরকার কিছু অপরাধীকে মুক্তি দিলেও নতুন বন্দির আগমন ঠেকাতে আদালতে চলা মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব করেছে। এই কারণে বন্দির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কারাগারের গভর্নরদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা প্রিজন গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি টম হুইটলি সতর্ক করেছেন, কারাবন্দি সমস্যার সমাধান দ্রুত পেতে হলে পুলিশের সেল থেকে বন্দিদের কারাগারে স্থানান্তর বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। স্টারমার বলেছেন, কারাবন্দি সমস্যা সৃষ্টির জন্য আগের সরকারগুলো দায়ী। তারা নতুন কারাবন্দি আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে তিনি বলেছেন, সংকটের সমাধান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। তবে রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
৫ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে কারাবন্দির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৪৫৩ জন। বর্তমানে দেশটিতে কারাগারের ধারণক্ষমতা ৮৮ হাজার ৮৬৪ জন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা অনুসারে প্রতি লাখে বন্দির সংখ্যা ১৪৪ জন। এই হারের চেয়ে ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালিতে ২৫ শতাংশ কম। আর জার্মানি ও নেদারল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের অর্ধেক কারাবন্দি রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি লাখে কারাবন্দি ৫৩১ জন। স্টারমার আগে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কারামন্ত্রী হিসাবে জেমস টিম্পসনকে নিয়োগ দিয়েছেন।