নিয়োজিত ছিলেন দেশসেবায়: এম রেজাউল করিম চৌধুরী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মো. নুরুল ইসলাম। শুধু যুদ্ধ করেই ক্ষান্ত হননি, যুদ্ধের পর তিনি দেশসেবায় নিয়োজিত হন। একের পর এক শিল্পে বিনিয়োগ করে একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। অগাধ সম্পত্তির মালিক হন। হাজারো মানুষকে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে মহৎপ্রাণ এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
আজকাল অনেকে সম্পদ অর্জন করছেন; কিন্তু সেই সম্পদ-অর্থ বিদেশে পাচার করছেন। সেই খবর আমরা গণমাধ্যমে জানতে পারছি। কিন্তু নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশপ্রেমিক মানুষ। তিনি এক টাকাও বিদেশে পাচার করেননি। এ দেশের মানুষকে বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছেন। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছেন। শুধু শিল্পকারখানা নয়, যুগান্তরের মতো একটি বহুলপ্রচারিত পত্রিকার স্বপ্নদ্রষ্টাও তিনি। জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন যমুনা টিভির মালিকও ছিলেন তিনি। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় তার প্রতিষ্ঠিত এ দুটি গণমাধ্যম কাজ করছে। নুরুল ইসলামের বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। তাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। অগাধ সম্পদের মালিক হলেও তার মধ্যে আত্ম-অহমিকা ছিল না। তিনি কথায় কথায় বলতেন দেশসেবার কথা। বলতেন, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমরা যুদ্ধে গিয়েছি। দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের অনেক সতীর্থ সহযোদ্ধা যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে আসেননি। আমরা ফিরে এসেছি। বেঁচে আছি। এটাই তো অনেক বড় কথা। অর্থ পাচারের বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিলেন নুরুল ইসলাম। বলতেন, দেশ স্বাধীন করেছিলাম কি অর্থ পাচারের জন্য। দেশের টাকা দেশে থাকবে। দেশ উন্নত হবে। এটাই তো আমাদের চাওয়।
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর এই ক্ষণে তার সেই কথাগুলো খুব মনে পড়ছে। আমি আল্লাহর দরবারে মহৎপ্রাণ এ মানুষটির রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন, সেই দোয়া করছি।
মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন