রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন জরুরি
দিলীপ কুমার সরকার
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। জাতিগতভাবে দীর্ঘকাল লড়াই-সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহিদের প্রাণ বিসর্জন, লাখ লাখ মা-বোনসহ অনেকের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে এ ডিসেম্বর মাসেই যুদ্ধজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, পেয়েছি একটি জাতীয় পতাকা এবং পেয়েছি একটি জাতীয় সংগীত। স্বাধীনতাপ্রাপ্তির পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্রপরিচালনার দলিল হিসাবে যে সংবিধান আমরা পেয়েছিলাম, তাতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই অঙ্গীকার আজও বাস্তবায়ন হয়নি। কেননা সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ছিল, সেই রাজনৈতিক দলগুলো তাতে সফল হয়নি। কখনো একদলীয় শাসন, কখনো সামরিক শাসন, কখনো কর্তৃত্ববাদী শাসন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, ব্যাপক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। এ কারণেই এ জনপদের মানুষকে মাঝেমধ্যেই ফুঁসে উঠতে দেখা যায়। সাম্প্রতিককালের গণ-অভ্যুত্থান সেই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।
গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে আর যেন কর্তৃত্ববাদী শাসনের উদ্ভব না হয়, নির্বাচনব্যবস্থা যেন পরিশুদ্ধ হয়, গণতন্ত্র যেন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় এবং সর্বোপরি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রে যাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়, সেজন্যই মানুষ রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে। মানুষের এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। গঠিত কমিশনগুলো হলো: নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকারবিষয়ক সংস্কার কমিশন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এ ১১টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এর মধ্যেই সরকারের কাছে তাদের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন পেশ করবে বলে জানা গেছে। অবশিষ্ট পাঁচটি সংস্কার কমিশন পরবর্তীকালে প্রতিবেদন পেশ করবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পেশের পর সরকার রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে বসবে এবং জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই নিজেকে সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করে প্রথমে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন প্রধানদের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন। এ কমিশনই জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির কাজটি করবে বলে জানা গেছে।
তবে জুন ২০২৬-এর মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আভাস ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও আগে সংস্কার, না আগে নির্বাচন, এ বিতর্কের অবসান এখনো হয়নি। কেউ কেউ পুরো সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচনের পক্ষে এবং কেউ কেউ আংশিক সংস্কার করে নির্বাচনের পক্ষে। যারা সব ধরনের সংস্কারের পর নির্বাচনের কথা ভাবছেন, সে ক্ষেত্রে বড় বাধা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কেননা সংবিধানকে সমুন্নত রেখেই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে কিছু সংস্কার করা সম্ভব হলেও যেসব সংস্কারের ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, তা জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে করা সম্ভব নয়। সংগত কারণেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরই তা করতে হবে।
ছয়টি সংস্কার কমিশন কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশের পর ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ যা করতে পারে তা হলো, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা; সবার পরামর্শক্রমে সংস্কারের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিতকরণ; কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে এবং কোনগুলো নির্বাচিত সরকার করবে, তা নির্ধারণ; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখতিয়ারভুক্ত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি; নির্বাচিত সরকার কর্তৃক যেসব সংস্কার করা হবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা, যাতে যে দল সরকার গঠন করবে, তারা যেন সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে এবং বিরোধীদলগুলোও যেন তাতে সমর্থন দিতে বাধ্য থাকে।
আমরা অবগত, ১৯৯০ সালে ১৫, ৭ ও ৫ দলীয় ঐক্যজোট একটি যুক্ত ঘোষণায় (তিন জোটের রূপরেখা) স্বাক্ষর করে। কিন্তু পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠনের পর তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়নি। এনিয়ে বিরোধী দল থেকেও কোনো চাপ সৃষ্টি করা হয়নি। সংগত কারণেই আমাদের দেশের সংস্কারের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ও সংশয় কাজ করছে। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে দল বিজয়ী হবে, তারা কি সরকার গঠনের পর প্রয়োজনীয় সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে?
সংস্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ এমন একটি রাষ্ট্রের কল্পনা করে, যেখানে সুশাসন থাকবে। তাদের স্বপ্ন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হবে দুর্নীতিমুক্ত-আত্মনির্ভরশীল। মানুষের এ আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব, যখন এ দেশের রাজনীতি হবে পরিশুদ্ধ; যখন দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির পরিবর্তে এদেশে চর্চা হবে সুস্থ ধারার জনকল্যাণমুখী রাজনীতি। আর এ ধরনের জনকল্যাণমুখী রাজনীতির জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিতে ব্যাপক সংস্কার।
দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী দলগুলোকে বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের আওতায় আনার বিধান করা হয়েছিল; কিন্তু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ তথা নির্বাচন কমিশনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে অনীহার কারণেই সেই উদ্যোগ আজও সফল হয়নি। নিবন্ধনের শর্ত হিসাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে গণতান্ত্রিক বিধিবিধান থাকা এবং তা যথাযথভাবে অনুসরণ; প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্দিষ্ট একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা এবং প্রতিবছরের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে দাখিল; নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন; গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রার্থী মনোনয়ন, নির্বাচনি ব্যয় হ্রাসের জন্য প্রার্থীদের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধকরণ এবং কমিশন কর্তৃক প্রার্থী পরিচিতি সভা, প্রার্থীদের পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়া ও হলফনামার তথ্য ভোটারদের মাঝে বিতরণ; সরকারি চাকরি থেকে অবসরের ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা; দলীয় সদস্য পদ গ্রহণের মেয়াদ ৩ বছর না হলে মনোনয়নপ্রাপ্তির সুযোগ না থাকা; ছাত্র ও পেশাজীবীদের মধ্যে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রাখা নিষিদ্ধ করা ইত্যাদি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি হলফনামা যাচাই-বাছাই করে অসত্য তথ্য প্রদানকারীর প্রার্থিতা বাতিল করার বিধানও আরপিওতে সন্নিবেশন করা হয়েছিল; কিন্তু এগুলোর কিছু কিছু আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কিছু বদলে ফেলা হয়েছে এবং কিছু বিষয় আরপিওতে থাকলেও যথাযথভাবে তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। অথচ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এ বিধানগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে, এর ইতিবাচক প্রভাব রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবশ্যই পড়ত।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তনের জন্য উল্লিখিত শর্তগুলোই যথেষ্ট নয়। এজন্য আরও প্রয়োজন সংস্কারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণমুখী করা। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, নারীর প্রতি বৈষম্য, পরিচয়ভিত্তিক বিদ্বেষ ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ইত্যাদি পরিহারের উল্লেখ থাকা এবং তা যথাযথভাবে অনুসরণ। একইসঙ্গে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটানো এবং ‘উইনার টেকস অল’ বা বিজয়ীদের সবকিছু করায়ত্ত করার চলমান ব্যবস্থারও অবসান ঘটাতে হবে। সরকার ও সরকারি দল কর্তৃক বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতির অবসান ঘটানোও জরুরি। পাশাপাশি আমাদের রাজনীতিতে বিরাজমান পারস্পরিক বিরোধিতার সংস্কৃতির পরিবর্তে, পারস্পরিক সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় রসিকতা হচ্ছে, নেতা-নেত্রীদের বক্তব্য শুনলে মনে হয়, তারা অনেক বড় গণতন্ত্রী, কিন্তু দলে গণতন্ত্রের কোনো চর্চা নেই। বিশেষ করে বিরোধীদলে থাকলে তারা বড় গণতন্ত্রী হয়ে যায়, আর ক্ষমতাসীন হলে হয়ে যান গণতন্ত্র হরণকারী। অনেক দল আছে, তাদের গঠনতন্ত্রেও গণতান্ত্রিক বিধিবিধান নেই। দলীয় প্রধান ইচ্ছা করলে যে কোনো কমিটি ভেঙে দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে একাই কমিটি ঘোষণাও করতে পারেন। একইসঙ্গে ইচ্ছা করলে কোনো নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারেন এবং আবার ইচ্ছা করলে যে কাউকে কোনো পদের দায়িত্বও দিতে পারেন। এ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্র চর্চার নমুনা।
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা যদি সত্যি সত্যি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিতে সংস্কার আনা বা ইতিবাচক পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। আর এ পরিবর্তনকে টেকসই করতে হলে নাগরিক সমাজকে কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনার মূল দলিল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ’। আর রাষ্ট্রের মালিকদের অগ্রসর অংশই হচ্ছে নাগরিক সমাজ। তাই নাগরিক সমাজকে ‘ওয়াচ ডগ’ বা পাহারাদার হিসাবে চোখ-কান খোলা রেখে দেখতে হবে রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে যার যে দায়িত্ব, তা ঠিকভাবে পালন করছে কি না। পাশাপাশি ‘প্রেসার গ্রুপ’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যার যে কাজ, তা যেন তারা যথাযথভাবে প্রতিপালন করে, সে ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিক সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার। জনগণ যে রাষ্ট্রের মালিক, সে ব্যাপারে অবগত করাসহ তাদের এমনভাবে সচেতন করতে হবে-যাতে জনগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয় এবং তা আদায়ে প্রয়োজনে সংগঠিত ও সোচ্চার হয়। পাশাপাশি জনগণ যেন রাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয় এবং তা মেনে চলে। সবসময় মনে রাখতে হবে, ‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’।
দিলীপ কুমার সরকার : রাজনৈতিক বিশ্লেষক