Logo
Logo
×

বাতায়ন

শিক্ষা খাতের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে

Icon

ড. আলা উদ্দিন

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শিক্ষা খাতের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে

দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট ও বৈষম্য দূর করতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শিক্ষা কমিশনের গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সফলতায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দেশে বিভিন্ন খাতে (পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন, গণমাধ্যম, নারী, পরিবেশ, সংবিধান ইত্যাদি) সংকট নিরসনে সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা খাতে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। অথচ এ খাতের সংস্কার ছাড়া বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না। ৮ আগস্টের পর এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিক্ষা খাতের সংস্কারের জন্য সবচেয়ে বেশি লেখা ও পরামর্শ প্রকাশিত হয়েছে। কারণ, শিক্ষা শুধু মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্যই নয়, বরং গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি তৈরি, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমাজের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। অথচ অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ অত্যাবশ্যক খাতটিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেবল শিক্ষা খাতের সংস্কার দাবিতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এ আন্দোলন ছিল সমাজের সর্বস্তরে সমতার ভিত্তি স্থাপন এবং বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে। শিক্ষা খাতই শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা এবং সুশাসনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু একটি সুসংগঠিত শিক্ষা কমিশন ছাড়া এ সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়। এ কমিশন সমাজের প্রতিটি স্তরে সমতা, ন্যায্যতা ও নৈতিকতার শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যা শুধু শিক্ষা খাত নয়, বরং সামগ্রিক সমাজব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক হবে।

এদেশের শিক্ষা খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত, যা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করছে কয়েক দশকজুড়ে-বলা যায় স্বাধীনতার পর থেকে। শিক্ষা খাতের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে-আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ, পরীক্ষাভীতি, আধুনিক শিক্ষার অভাব, উপযুক্ত শিক্ষক-উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক ও মানসিক শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা। এদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য এবং শহর ও গ্রামের মধ্যে শিক্ষার সুযোগের পার্থক্য শিক্ষার্থীদের মনোবল ও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিক অবকাঠামো এবং ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতির সুযোগ শহুরে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকলেও গ্রামাঞ্চলে এ সুযোগ প্রায় অনুপস্থিত। এতে শহর ও গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অর্জন ও সামর্থ্যরে পার্থক্য বাড়ছে, যা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য বৃদ্ধি করছে।

শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও পরীক্ষাভীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বড় সমস্যাগুলোর একটি। পরীক্ষাভীতি এবং অতিরিক্ত প্রতিযোগিতার কারণে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পড়াশোনা করতে বাধ্য হচ্ছে, যার ফলে তাদের সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি বিকশিত হওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ, অনেক শিক্ষার্থী চাপ সহ্য করতে না পেরে হতাশায় ভোগে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

দেশের শিক্ষা খাতে নৈতিক ও মানসিক শিক্ষার অভাবও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকট। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং গণতান্ত্রিক চেতনা গড়ে তুলতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। শিক্ষার এ মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দূরে সরে গেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতি ও রাজনীতির প্রভাব শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিকাশের অন্তরায় হিসাবে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যের একচ্ছত্র প্রভাব, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং শিক্ষাদানে অবহেলা-এসব সমস্যার সমাধান ছাড়া শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য অর্জন সম্ভব নয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতা বিকাশে যে বাধাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার জন্য একটি শিক্ষা কমিশন প্রয়োজন।

একটি কার্যকর শিক্ষা কমিশন গঠনের জন্য বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ, প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন স্তরের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে একটি সমন্বিত কাঠামো তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমতা বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে। এ কমিশন শিক্ষার প্রতিটি স্তরে, যেমন-প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বৈষম্য ও অসামঞ্জস্য দূর করার জন্য কাজ করবে।

শিক্ষা কমিশনের প্রধান দায়িত্বগুলোর একটি হলো আধুনিক পাঠ্যক্রম প্রণয়ন। প্রচলিত পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করার পরিবর্তে শুধু পরীক্ষাভিত্তিক প্রতিযোগিতার দিকে মনোযোগী করে তুলছে। এ কারণে একটি কার্যকর পাঠক্রম প্রণয়ন করা দরকার, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সৃজনশীলতা, দায়িত্ববোধ ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। এ পাঠ্যক্রমে বাস্তবমুখী শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উন্নত করা, বিশেষত শিক্ষার আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তির ওপর তাদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা দরকার। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে সক্ষম হবেন এবং শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করতে পারবেন।

কমিশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো শিক্ষার্থীদের মৌলিক নৈতিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার গুরুত্ব দিতে পারলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে গড়ে উঠবে।

এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে যাবতীয় বৈষম্য দূর করে সমতা ও সুযোগের নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ছে। এ সমস্যা দূর করতে শিক্ষা কমিশনকে শিক্ষা খাতে সুষম নীতিমালা তৈরি করতে হবে। সবশেষে, গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নত করা এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। এজন্য কমিশনকে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষা মানুষকে কেবল জ্ঞান দেয় না, বরং সচেতন, মানবিক ও সাম্যের জন্য সংগ্রাম করার প্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আজও শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, যা সমাজে নানা ধরনের বৈষম্য, বেকারত্ব ও অপরাধমূলক প্রবণতার জন্ম দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি নিরসনে শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা সমাজে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করতে পারে, যার মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ পাবে। তাই পরিমাণগত শিক্ষা বা বাজারমুখী শিক্ষার চেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা তথা জ্ঞান সৃজন ও গবেষণামুখী শিক্ষার ওপর অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করা দরকার।

শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেলে শুধু শহরের মানুষই নয়, দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ উন্নত জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া নারীর শিক্ষা নিশ্চিত করা মানে একটি পরিবার তথা পুরো সমাজের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কারণ শিক্ষিত নারী শুধু নিজের উন্নতিই করে না, বরং পরিবারের সদস্যদের শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে কোনো শিক্ষা কমিশন গঠিত না হওয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। এ খাতের সংস্কার ছাড়া অন্যান্য খাতের উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে না, কারণ শিক্ষা এমন একটি খাত, যা মানুষের মূল্যবোধ, চিন্তা-চেতনা, সমাজে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে তোলে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এমন বহু সংকট বিরাজ করছে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সংকটগুলো নিরসনের জন্য একটি কার্যকর শিক্ষা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা খাতে সংস্কারের অভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা, শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব দিন দিন প্রকট হচ্ছে। বর্তমান ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য পড়াশোনায় মনোনিবেশ করছে, যার ফলে তাদের সৃজনশীলতা, যুক্তিবোধ ও চিন্তাশক্তি বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে এমন একটি পাঠক্রম প্রণয়ন করা সম্ভব, যা শিক্ষার্থীদের কেবল জ্ঞান অর্জনেই নয়, বরং নৈতিক ও মানসিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় আরেকটি বড় সংকট হলো শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাজনীতির প্রভাব। এ সমস্যা শিক্ষার মান নিুমুখী করার জন্য দায়ী। একটি শিক্ষা কমিশন এ ধরনের অনিয়ম দূর করতে একটি স্বচ্ছ, ন্যায়সঙ্গত ও মেধাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেও ন্যায্যতা ও সমতা ব্যাহত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ক্ষতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী রাজনীতি মারাত্মকভাবে নেতিবাচক প্রভাব রাখে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য পূরণের ক্ষেত্রে।

এছাড়া শিক্ষা খাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো আর্থ-সামাজিক বৈষম্য। শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে শিক্ষার মান ও সুযোগের পার্থক্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, যা একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা কমিশন এ বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় নীতি ও কৌশল প্রণয়ন করতে পারে, যেমন গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, বৃত্তির ব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।

শিক্ষার মানোন্নয়ন, নৈতিক শিক্ষার প্রচলন এবং সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর শিক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন শিক্ষার প্রতিটি স্তরে নতুন নীতি প্রণয়ন এবং সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। শুধু শিক্ষিত সমাজই প্রকৃত গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শক্ত ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে।

দেশে শিক্ষা খাতে যে সংস্কার প্রয়োজন, তা শুধু পাঠক্রমে পরিবর্তন আনবে না; বরং একটি কার্যকর শিক্ষা কমিশন গঠনের মাধ্যমে শিক্ষার পুরো কাঠামোতে ন্যায়বিচার, নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলা সম্ভব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠার একটি পথ তৈরি করেছে। তবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে শিক্ষা খাতের সংস্কার অপরিহার্য। তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনো সুযোগ ফুরিয়ে যায়নি। দেশের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠন সময়ের দাবি এবং এর মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।

ড. আলা উদ্দিন : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম