Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্পষ্ট ঘটনাধারায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে তর্ক

Icon

হাসান মামুন

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

স্পষ্ট ঘটনাধারায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ নিয়ে তর্ক

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটার বিলোপ কেউ চেয়েছিলেন বলে মনে পড়ে না। তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কোটাই বাতিল করে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’র মাস দুয়েক আগে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হয়েছিল। এর ক’মাস আগে সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যখন কেউই কোটা চায় না, তখন কোনো কোটাই থাকবে না’! এটা ছিল তখনকার আন্দোলনকারীদের ওপর অযথাই দোষ চাপানো। তারা তো চাইছিলেন কোটার সংস্কার। ১০-১৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে বলে তারা মত দিচ্ছিলেন। প্রতিবন্ধী ও ‘আদিবাসী’ কোটা নিয়ে তো কখনোই কারও আপত্তি ছিল না। সে কারণেই কিন্তু ওই একই বক্তৃতায় তাদের জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ গ্রহণের কথাও জানিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এর আগে একই অধিবেশনে দাঁড়িয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে অভিহিতকরণের সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেত্রী। সেটি প্রত্যাহারেরও আওয়াজ ওঠে।

যা হোক, সেই কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ‘বিরক্ত’ হয়েই যে কোটা একেবারে বাতিল করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, সেটা তিনি আমাদের জানান অনেক পরে-২০২৪ সালে, জুলাইয়ের মধ্যভাগে। নতুন করে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর এক ‘সংবাদ সম্মেলনে’ একজন সংবাদকর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন। বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এর একটা প্রেক্ষাপট অবশ্য ছিল। চাকরিপ্রত্যাশী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নামে কয়েকজন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন ২০২১ সালে। তার রায় হয় ২০২৪ সালের জুনে-‘ডামি নির্বাচন’ হয়ে যাওয়ার পর। কোটা বাদ দিয়ে জারিকৃত প্রায় পাঁচ বছর আগেকার পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। তাতে অন্যায্য কোটাব্যবস্থা ফিরে আসার শঙ্কায় এর বিরোধিতাকারীরা নতুন করে নামেন আন্দোলনে। সরকার নিজেদের লোক আর অনুগত আদালত দিয়ে কোটা ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে সন্দেহও তীব্র হয়ে ওঠে। এ কারণে সরকারপক্ষ রায়টির বিরুদ্ধে আপিলে গেলেও আন্দোলনকারীদের অবিশ্বাস কাটেনি। তারা বলতে থাকেন, নির্বাহী বিভাগই বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করুক।

কোটার ন্যায্য সংস্কারের পক্ষে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ রাজপথে নামায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবার মন্তব্য করেন, রাজপথে কিসের আন্দোলন? এতে আপিল বিভাগের ওপর অনাস্থা আরও বাড়ে। হাসিনার টানা তিন মেয়াদের শাসনে বিচার বিভাগের কী অবস্থা হয়েছিল, সেটা তো অজানা ছিল না শিক্ষার্থীদের। এদিকে রাজপথ উত্তপ্ত হচ্ছে দেখেও এ মামলা শুনানির তারিখ ফেলা হয় চার সপ্তাহ পর, ৭ আগস্ট। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন মহল থেকে যথারীতি বলা হতে থাকে, শিক্ষার্থীদের নামে আন্দোলনটি আসলে ‘বিএনপি-জামায়াতের’! কোটা বাতিলের পরিপত্রের পক্ষে সরকার আপিলে গেলেও মাঠে বিপরীত বক্তব্য প্রদান অব্যাহত থাকে। এরই একপর্যায়ে ঘটে ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ শব্দগুচ্ছ উচ্চারণের ঘটনা। এতে বহুদিনের পুঞ্জীভূত ক্রোধের বারুদে গিয়ে পড়ে অগ্নিশলাকা। সে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রাবাসের এক কোণে সৃষ্টি হয় সেই স্লোগান-‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’! অপমানিত হয়ে ব্যঙ্গ করেই যে এটি তোলা হয়েছিল, সেটা বুঝতে কারও কষ্ট হওয়ার কথা নয়। তারপরও ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কায় এতে পরে যুক্ত করা হয়-‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’-এমন স্লোগানও ওঠে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও জেগে ওঠে এসব স্লোগানে।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষমতাসীনদের সুদীর্ঘ কঠোর নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির মর্ম উপলব্ধিতে অক্ষম ছিলেন শেখ হাসিনা গং। তারা দলীয় দুর্বৃত্ত নামিয়ে এটাকে তাই দমনের পথে যান। আমরা জানি, ঢাবি ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর কী ঘটেছিল অতঃপর। নিয়মবহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে সেগুলো থেকে প্রতিবাদকারীদের উচ্ছেদ করতে পুলিশের সঙ্গে পাঠানো হয় বিজিবিকেও। এগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানেই ঘটেছিল, তা বলাই বাহুল্য। এর মধ্যে সংঘাতে প্রাণ ঝরে রংপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রামে। রংপুরে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার বীরোচিত আত্মদানের ভিডিও ফুটেজ দেখে মানুষ তীব্রভাবে আলোড়িত হয়।

এর পরদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে শেখ হাসিনা হারান তার শেষ সুযোগটি। তিনি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনার উল্লেখটুকুও না করে বর্ণনা করেন নিজ ছাত্র সংগঠনের কর্মী এবং অনুগত ভিসিদের ওপর পালটা কী হয়েছে, সেসব ঘটনা। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কথাও জোর দিয়ে বলেন। কিন্তু তিনি কি জানতেন না, এসব কমিশনের ওপর কতটুকু আস্থা রয়েছে মানুষের? সবচেয়ে বড় কথা, তার কি উচিত ছিল না ওইদিনই আন্দোলনকারীদের আলোচনায় ডাকা? প্রধান বিচারপতিকেও তিনি অনুরোধ করতে পারতেন সে রাতেই শুনানির ব্যবস্থা করতে। সেটা না করে তিনি ক্রুদ্ধ শিক্ষার্থীদের বললেন ৭ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। সর্বোচ্চ আদালতে নাকি তাদের ‘হতাশ হতে হবে না’!

সে রাতেই কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছিল উপলব্ধিহীন ও বেপরোয়া সরকারকে প্রতিরোধের পালা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায় সাধারণ মানুষ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। লাঠি ও জলকামানের বদলে তাদের ওপর শুরু থেকেই চালানো হয় গুলি। নির্বিচার গুলিবর্ষণে শুরুতে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বেশি ঘটলেও পরে সর্বস্তরের মানুষ যুক্ত হয় মৃত্যুর মিছিলে। বিরোধী দলের পোড় খাওয়া কর্মীরাও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন আন্দোলনে। এরই মধ্যে চলে ইন্টারনেট বন্ধ করে, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, মোসাহেব দিয়ে একতরফা প্রচার করিয়ে, ছাত্রনেতাদের একাংশকে গুম করে, পরে নিরাপত্তা দেওয়ার নামে গ্রেফতার করে তাদের দিয়ে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি টানার চেষ্টা। তাতে লাভ হয়নি। কারণ আন্দোলনকারীদের অন্য অংশ লুক্কায়িত অবস্থায়ও দিতে থাকেন সেটি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা। ততদিনে আদালত বসিয়ে কোটার নিষ্পত্তি করা হলেও তাতে যুক্ত হয়ে যায় পরিকল্পিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি-যেটা সরকার চাইছিল ধামাচাপা দিতে।

এসবের পেছনে শেখ হাসিনা ছাড়া কে ছিলেন? কোটার বিষয়টি তো জিইয়ে রেখেছিলেন তিনিই। বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখে সেটা নতুন করে সামনে এনে আবারও বিভাজনের খেলা খেলছিলেন। আর ভেবেছিলেন, পিটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিতে পারলেই শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়ে যাবে। তিনি কল্পনাও করতে পারেননি, এর প্রতিক্রিয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে বরং উচ্ছেদ হয়ে যাবে তার ছাত্রলীগ। ভাবতে পারেননি, এক আবু সাঈদের আত্মদান কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ছাত্র-জনতার মাঝে। চিন্তাও করতে পারেননি, আন্দোলন-সংগ্রামের নিয়মিত অভিজ্ঞতার মধ্যে না থাকা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কী বিপুল শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হতে পারে। বরং ভেবেছিলেন, পুলিশের ভয়ংকর চেহারা দেখানো গেলেই পরদিন আর কেউ রাজপথে নামবে না। বাস্তবে তিনি দেখলেন, কারফিউ জারি করে আর সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বরং বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু আর পুলিশ হত্যাও বেড়ে যাচ্ছে বিপুলভাবে।

ততদিনে আন্দোলনটা চলে গিয়েছিল সরকার পতনের দিকে। ছাত্র সমন্বয়করা সে ঘোষণা দেন ৩ আগস্ট শহিদ মিনারে আয়োজিত বিরাট জমায়েত থেকে। সেদিনই হাসিনা পদত্যাগ করতে পারতেন। এর বদলে তিনি নেন আরও রক্ত ঝরানোর পরিকল্পনা। মাঠে নামা সেনাবাহিনী যে শুরু থেকেই রক্ত ঝরাতে গররাজি এবং এর অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা যে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বসে আছেন, সেটাও পারল না তার মনোভাব বদলাতে। পরিণতিতে যা হওয়ার তা-ই হলো। অল্প সময়ের মধ্যে গণভবন ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। বিধিবদ্ধভাবে পদত্যাগের ফুরসৎও নাকি মেলেনি!

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘুরেফিরে একমতদের একাংশ এখন বলার চেষ্টা করছে-শুরু থেকেই এটা ছিল ‘সরকার পতনের আন্দোলন’। এ ‘মহাপরিকল্পনা’ না বুঝেই নাকি তাতে ঝাঁপ দেয় সর্বস্তরের মানুষ। একটি ‘পরিকল্পিত আত্মাহুতির ঘটনা’ ঘটিয়ে মানুষকে খেপিয়ে তুলে পুলিশকে ‘কঠোর হতে বাধ্য করা হয়’! পুলিশের নামে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যার ঘটনা অনেক বাড়িয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল বলেও প্রচার করা হচ্ছে। এর দায় নাকি নিতে হবে আন্দোলনকারীদের।

প্রায় একইভাবে বক্তব্য দিয়ে গণহত্যার দায় এড়ানোর চেষ্টা কিন্তু নিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও। কিন্তু আমরা জানি, গণরায় উপেক্ষা করে চলার প্রবণতা এবং ঘুমন্ত মানুষের ওপর তাদের বর্বরোচিত হামলাই স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলেছিল। ক্যাম্পাসে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা কিন্তু ঘটানো হয় দিনের বেলায় আর পুলিশের উপস্থিতিতে। এর আগে ওবায়দুল কাদেরসহ কারা ‘রাজাকারদের’ শায়েস্তা করার বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেটাও সবার জানা। শায়েস্তাকারীদের ছবিও আসে পরদিনের সংবাদপত্রে। ভালো যে, প্রিন্ট মিডিয়াকে সরকার পুরো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সেনাবাহিনীকেও শেষতক ব্যবহার করতে পারেনি হাসিনা সরকার। এর চেয়ে অনেক কম রক্তপাতের মধ্যেও কিন্তু এরশাদ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছিল সেনাবাহিনী। তিন-তিনটি ভুয়া নির্বাচন করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা দুর্নীতিগ্রস্ত ও নির্যাতনকারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা ছাত্র-জনতাকে কেন রুখতে চাইবে সেনাবাহিনী? তারা তাই শেষ মুহূর্তে দ্রুত প্রস্থানের পথ দেখিয়ে দেন হাসিনাকে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের দিকে যাওয়ার জন্য তো শেখ হাসিনাই দায়ী। ২০১৮ সালেই তিনি এর কাম্য নিষ্পত্তি করে ফেলতে পারতেন আর সেটাই ছিল স্বাভাবিক। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা আর এর ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতিপুতিদের! এটা বহাল রাখতে হবে কেন? এর বিরুদ্ধে আন্দোলনই বা করতে হবে কেন? সরকারের নিজেরই তো এটাকে ন্যায়সঙ্গতভাবে কমিয়ে আনার কথা। ‘বিরক্ত হয়ে’ কিংবা রাগ করে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তও আশ্চর্যজনক। তিনি তো শপথ নিয়েছিলেন রাগ বা অনুরাগের বশবর্তী না হয়ে সরকার পরিচালনার। সুদীর্ঘ শাসনামলে আরও অনেক ক্ষেত্রেই তিনি ভঙ্গ করেছিলেন শপথ। শেষে একটা ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তিনি পালালেন। আজকের দিনে এসব হত্যাকাণ্ড আড়াল করা তো কঠিন। সবকিছুই ধারিত আছে ভিডিও ফুটেজে। তাতে পুলিশ শুধু নয়; তার দলের ‘ফুট সোলজাররাও’ স্পষ্টভাবে চিহ্নিত। জাতিসংঘও স্বাধীনভাবে তদন্ত করে দেখছে জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলী।

এ আন্দোলনে নাছোড় এক নেতৃত্ব ছিল বটে। নতুন ধরনের নেতৃত্ব। নতুন ধারার আন্দোলনও ছিল এটা। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে এ নিয়ে গবেষণা হবে নিশ্চয়ই। অনেক আন্দোলন প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ার পর এ আন্দোলনটি কেন প্রায় অবিশ্বাস্য পরিণতির দিকে গেল, সেটা বিদেশেও রাজনীতিবিজ্ঞানীদের আগ্রহের বিষয় হবে। এ অবস্থায় আমরা যেন এ নিয়ে তর্ক বেশিদিন না চালাই।

হাসান মামুন : সাংবাদিক, বিশ্লেষক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম