Logo
Logo
×

বাতায়ন

দেশপ্রেমের চশমা

চারিদিকে সর্বনাশ তার মধ্যে প্রশ্নফাঁস!

Icon

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চারিদিকে সর্বনাশ তার মধ্যে প্রশ্নফাঁস!

পিএসসির প্রশ্নফাঁসে জড়িত গাড়িচালক আবেদ আলী। ফাইল ছবি

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের উন্নয়নের বুলি এবং ব্যাপক দুর্নীতি বৃদ্ধির মধ্যে দেশ এক রাজনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। দেশ সংকটে থাকলে নাগরিক জীবনে এর প্রভাব পড়ে। একদিকে নিত্যপণ্যের অব্যাহত সিন্ডিকেটবাজি রোধে ব্যর্থতায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে, অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিন অসৎ দুর্নীতিবাজ আমলা, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অবৈধভাবে উপার্জিত বিত্ত-বৈভবের খবর দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। সরকার স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় না এলে সমাজের প্রতিটি স্তরে নৈতিকতার স্খলন ঘটা স্বাভাবিক। গত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনসহ সর্বত্র বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। যদি কোনো দল প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে ভর করে ক্ষমতাসীন হয়, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিলেও তার পক্ষে প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান সম্ভব হয় না।

এজন্য সরকারঘনিষ্ঠ বড় বড় আমলা, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একজন আমলা, একজন পুলিশ বাহিনীর সদস্য কত টাকা বেতন পান, তা অজানা নয়। সৎভাবে দায়িত্ব পালন করলে তাদের পক্ষে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া অসম্ভব। অথচ, এরা যে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তা সরকারের গোচরে ছিল। অজানা ছিল না বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার। সরকারি দল নির্বাচনে এদের অবৈধ সহযোগিতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে বিধায় এতদিন এদের কিছু বলেনি বলে ধরে নেওয়া যায়। এদের দুর্নীতি দেখেও না দেখার ভান করেছে। আর দুর্নীতি এমনই সামাজিক ব্যাধি যে, একে কঠোরভাবে বাধা না দিলে এ ব্যাধি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমনই হয়েছে। বাধা না পেয়ে এ ব্যাধি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনসহ সমাজের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি সরকারি অফিসেই দুর্নীতিবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেবা নিতে গেলে ঘুস না দিয়ে কাজ হচ্ছে না। কাস্টমস, পুলিশ, কর, পাসপোর্ট, বিআরটিএর দুর্নীতির কথা সবাই জানেন। এর সঙ্গে এখন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ এমন কোনো বিভাগ নেই, যেখানে ঘুস না দিয়ে সরকারি সেবা পাওয়া যায়।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি পদে যারা ঘুস দিয়ে চাকরিতে ঢুকছেন, তাদের কাছ থেকে সেবাগ্রহীতারা কেমন করে প্রত্যাশিত সেবা পাবেন? যে টাকা দিয়ে তারা চাকরিতে ঢুকেছেন, তারা তো সে টাকা তুলতে চাইবেন। যে শিক্ষা বিভাগ ষাটের দশকেও অনেকটাই দুর্নীতিমুক্ত ছিল, সে বিভাগে এখন পদে পদে দুর্নীতি, ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি, পিয়ন থেকে শিক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হতে চাইলেও টাকা না দিয়ে হওয়া যাচ্ছে না। কত টাকা ঘুস দিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন প্রভাষক নিয়োগ পাচ্ছেন, সে বিষয়টি এবং টাকার অঙ্ক টিআইবির এক গবেষণা প্রতিবেদনে ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি বা সরকারের এ নিয়োগ দুর্নীতি বন্ধ করা নিয়ে উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। ফলে টাকা দিয়ে যারা শিক্ষক হয়েছেন, তারা শিক্ষার্থীদের সেবাদানের পরিবর্তে প্রদত্ত অর্থ উদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছেন। এ কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান কমে গেছে। যে কারণে ২০ বছর আগেও মালয়েশিয়া থেকে ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশে লেখাপড়া করতে আসত; আর এখন বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সমাজ ও প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে। কারণ, সব সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা তো শিক্ষাঙ্গনের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তারপর কর্মস্থলে যোগ দেন।

নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার ক্ষমতাসীন না হওয়ায় জাতীয় জীবনের সব দিক দিয়ে সর্বনাশ নেমে এসেছে। একমাত্র সরকারই পারে কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে দেশকে গণতান্ত্রিক ট্রাকে উঠাতে। পরপর কয়েকবার অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হওয়ায় সর্বত্র নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। নিজে সিগারেট খেয়ে পুত্রকে ধূমপানের অপকারিতা বোঝাতে চাইলে সে প্রচেষ্টা সফল হয় না। তেমনি সরকার অগ্রহণযোগ্য ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়ে, দুর্নীতিকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে হঠাৎ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সফল হতে পারবে না। সরকার দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ নিয়ে নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বিপদে আছে। কারণ, যারা সরকারকে অনৈতকভাবে সমর্থন দিয়েছে, তাদের দুর্নীতির শাস্তি দিতে হলে আমলা ও পোশাকধারী বাহিনীর একটা বড় অংশকে শাস্তি দিতে হবে। আর এসব দুর্নীতিকারী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় এমন কাজ করেছেন। ফলে কান টানলে মাথা আসার মতো দুর্নীতিবাজ আমলাদের ডিএনএ পরীক্ষায় যে রাজনৈতিক নেতাদের নাম আসবে, তাদের শাস্তি দিলে সরকারের অস্তিত্ব ধরে রাখা কঠিন হবে বলে অনেকের মনে হতে পারে।

রাজনৈতিক ও নির্বাচনি দুর্নীতির প্রসঙ্গ না টেনে কোটা সংস্কার ও প্রশ্নফাঁসের বিষয় দুটির উদাহরণ দেওয়া যাক। কোটা সংস্কারের বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও আদালতের মাধ্যমে সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে। ব্যাপারটি যে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারবেন না, এমনটা মনে করা বোকামি। সরকার কোটা নিয়ে স্ববিরোধী কাজ করছে। সরকার প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। আবার অন্যদিকে মেধা ও যোগ্যতাকে ছাড় দিয়ে তুলনামূলকভাবে কম যোগ্যদের কোটায় চাকরি দিতে চাইছে। মেধার মূল্যায়ন ছাড়া প্রায় অর্ধেক সরকারি ক্যাডারভুক্ত পদে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা প্রশাসনিক পেশাদারিত্ব সৃষ্টির দিক থেকে সমর্থনযোগ্য নয়। এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দ্বিবিধ ক্ষতি হবে। প্রথমত, প্রশাসন অযোগ্য কর্মকর্তায় ভরে উঠবে; দ্বিতীয়ত, লাখ লাখ বেকার শিক্ষার্থীর মধ্যে চাকরি না পাওয়ার হতাশা গভীর হবে। লেখাপড়ায় উৎসাহ হারিয়ে বেকারত্বের যন্ত্রণায় অনেকে বিপথে পরিচালিত হবেন। ব্রেইন ড্রেন বাড়বে।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কোটার কথা ধরা যাক। দেশের বিপদে যারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদেরকে যতটা সম্মান ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায়, তা অবশ্যই দেওয়া উচিত। এতে কেউ আপত্তি করবেন না। কিন্তু একজন ধার্মিক ও সৎ লোকের তিন ছেলের মধ্যে সবাই সৎ না হয়ে একজন যে মাদকাসক্ত, চোরাকারবারি বা সন্ত্রাসী হবেন না, এমন গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। একইভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে সবাই যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন হবেন, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব কি? বিপথগামী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতিপুতির মধ্যে কেউ তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীও হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাকে কোটা সুবিধা দেওয়া সমীচীন হবে কি? কোটা সুবিধা দেওয়ার আগে তো এসব বিষয় পরীক্ষা করা হচ্ছে না। সরকার বা পিএসসি এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলে না কেন?

আবেদ আলীগং এবং সরকারি পদে প্রশ্নফাঁসকারীর ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়। প্রশ্নফাঁস তো বহু বছর থেকে চলে আসছে। এরশাদ সরকারের সময় ১০ম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় ওই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। পুরোনো ঘটনা হলেও প্রশ্নফাঁসের সমস্যাটি মহাজোট সরকারামল থেকে প্রায় নৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়ায়। এ সময় পিএসসি, জেএসসি, এইচএসসি, অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাসহ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, ব্যাংক কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা এবং বিসিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এসব ঘটনার পর তদন্তের জন্য গতানুগতিকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় এবং এক পর্যায়ে তা চাপা পড়ে যায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীরা আশকারা পেয়ে আবার এ ব্যবসায় জড়িত হয়েছে।

২০০৯-এ জানুয়ারিতে মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হলে ২০১০ সালে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এ প্রশ্ন ফাঁসকারীরা প্রতি চাকরিপ্রার্থীর কাছে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকায় প্রশ্ন বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা কামান। এ ঘটনায় জড়িত ১৬৭ জনকে রংপুর পুলিশ গ্রেফতার করে ৬৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছিল। ২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের কারণে স্থগিত হয়। ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা দরে বিক্রি করা এ প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের মধ্যে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কিছুসংখ্যক নেতা, কিছু বিজিপ্রেস কর্মকর্তা এবং জনৈক পিএসসি কর্মকর্তা জড়িত ছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থা সন্দেহ করেছিল। মধ্য-২০১৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে কর্তৃপক্ষ ওই পরীক্ষা বাতিল করে। একই বছর একই কারণে বাতিল করা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা।

২০১৩ সালের এপ্রিলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ ঘটনা স্বীকার করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০১৪ সালের এপিলে ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে ওই পরীক্ষা স্থগিত হয়। ২০১৫ সালে মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী থেকে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে র‌্যাব ২১ জনকে গ্রেফতার করে মামলা করে। তবে তাদের একজনকেও শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে ৭০টি মামলা হলেও শাস্তির নমুনা নেই। এ কারণে বিনা পুঁজির এ লাভজনক ব্যবসায় প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র বারবার জড়িত হয়েছে এবং সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। ২০১৪-২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ফ্রডদেরও শাস্তিপ্রদান করা সম্ভব হয়নি। আজকের আবেদ আলী বা খলিলুর রহমানের বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকা এরই ধারাবাহিকতা। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিলে সে দুর্নীতি সর্বক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে। সাংবিধানিক সংস্কার করে রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচনি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে ক্রমান্বয়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে সমাজ ও প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : সাবেক সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম