Logo
Logo
×

বাতায়ন

দাবদাহের প্রভাব থেকে যেভাবে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব

Icon

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দাবদাহের প্রভাব থেকে যেভাবে মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব

বাতাসে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মৃদু দাবদাহ দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রার সীমা যদি ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে, তাহলে সেটাকে মাঝারি দাবদাহ বলা যেতে পারে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রায় অতি তীব্র দাবদাহ দেখা দিতে পারে। বর্তমানে দেশে মৃদু, মাঝারি ও অতি তীব্র দাবদাহ চলছে। চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহ চলছে। অন্যদিকে ঢাকা, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল অঞ্চলে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশে তাপমাত্রার অনাকাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধিতে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। বায়ুমণ্ডলে যদি এ মাত্রার দাবদাহ চলতে থাকে, তাহলে ২০২৪ সাল উষ্ণতম বছর হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।

বর্তমানে দেশে ৪৫টির বেশি জেলায় দাবদাহ চলছে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি বেড়ে যাচ্ছে। ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত দাবদাহ কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বঙ্গোপসাগর থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রবাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ মানুষ অধীর আগ্রহে বৃষ্টিপাতের অপেক্ষায় রয়েছে। বিদ্যমান জলীয়বাষ্পের ঘনীভবনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও বেড়ে যেতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানের মতে, আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনো’ বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন, যার বাংলা অর্থ ছোট বালক। এল নিনোর প্রভাব ২ থেকে ৪ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। বিজ্ঞানীরা আগেই বলেছিলেন, এল নিনোর প্রভাবে ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে বাতাসের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। উল্লেখ্য, এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুপ্রবাহ দেখা যায়। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এল নিনোর প্রভাবে পৃথিবীর দক্ষিণ থেকে উত্তরে বাতাসের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। আবার কোনো কোনো দেশে অতিবৃষ্টিও দেখা যাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাতাসের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এ চলমান দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে হলে শীতল মৌসুমি বায়ুপ্রবাহে বৃষ্টিপাত অতীব জরুরি। নতুবা বিজ্ঞানীদের ভাষায় বাংলাদেশে দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, জলবায়ু প্যাটার্নের এল নিনো, লা নিনার দিকে উলটে যাওয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের পানি উষ্ণ হয়ে উঠছে। এ এল নিনো ও লা নিনার প্রভাবে সমগ্র বিশ্বেও দাবদাহ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এ দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪ শতাংশের বেশি। তাছাড়া দেশের মোট শ্রমিকের প্রায় ৩৯ শতাংশ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তন্মধ্যে ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। সমগ্র বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ২০২৩ সালের হিসাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত ধানের পরিমাণ ৩৯ মিলিয়ন টনের বেশি। সমগ্র বিশ্বে ধান উৎপাদনে চীন ও ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বছরে ২৫ মিলিয়ন টনের বেশি ধান বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় যোগ হচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ প্রধান খাদ্যশস্য ধান উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপমাত্রার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ববিদ ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান মনে করেন, কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ধান উৎপাদনের জন্য গড়ে ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক বিজ্ঞানী ও উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ববিদ সুইউচি ইউসিডার মতে, ধান বীজের অঙ্কুরোদগম, চারা, মূল ও পাতার বৃদ্ধি, টিলারিং, পেনিক্যাল ও অ্যানথেসিসের জন্য গড়ে ২০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। অন্যদিকে ধান পাকার সময় গড়ে ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। ধান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গড় তাপমাত্রার কম-বেশি হলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ফলন না-ও হতে পারে।

বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দাবদাহ যদি ২ থেকে ৪ বছর বিদ্যমান থাকে, তাহলে তাপমাত্রা সহনশীল ধানের জাতের উদ্ভাবন অতীব জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবিরের সঙ্গে আলোচনায় দেখা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দাবদাহ মোকাবিলায় ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ব্রিতে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট দাবদাহ মোকাবিলায় ঋতুভিত্তিক ধানের জাতের উদ্ভাবনের জন্য গবেষণাও চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশকে খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা করতে পারবে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বিশ্বে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। দেশে গড়ে বছরে ৮ মিলিয়ন টনের বেশি সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। সবজি উৎপাদনের জন্য ১৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রার প্রয়োজন। বর্তমানে তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত দাবদাহে সবজি উৎপাদনও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট তাপমাত্রা সহনশীল সবজির জাত উদ্ভাবন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত গ্রিনহাউজে সবজি উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, ইনল্যান্ড ফিশ ক্যাপচার ও অ্যাকোয়াকালচারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে তৃতীয় ও পঞ্চম। অন্যদিকে ইলিশ উৎপাদনেও বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মৎস্যবিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ আবদুস ছালাম মনে করেন, মৎস্য উৎপাদনে ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। তিনি আরও মনে করেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত কারণে যাতে মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সেই লক্ষ্যে প্রজননের মাধ্যমে উচ্চতাপমাত্রা সহনশীল মাছের জাত উদ্ভাবন অতীব জরুরি। নতুবা মৎস্য উৎপাদন কমে মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ আমিষের অভাব দেখা দিতে পারে। সেই লক্ষ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশে সম্ভব না হলে, হ্যাচারিতে উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল মাছের জাতের উদ্ভাবন অতীব জরুরি। নতুবা প্রচণ্ড দাবদাহে মৎস্য উৎপাদনও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিপুল জনসংখ্যার এ দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ছাগলের দুধ ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ স্থানে রয়েছে। পশু পালনের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন। তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত কারণে সৃষ্ট দাবদাহে পশুর প্রজনন, দুধ উৎপাদন ও বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পশুবিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ শাহ আলম মনে করেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত দাবদাহে পশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। ফলে দুধ ও মাংস উৎপাদন কমে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের সংকট দেখা দিতে পারে।

দেশে এখনো দাবদাহ চলছে। এ দাবদাহে মানবজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তীব্র গরমে মানুষ অস্বস্তিকর জীবনযাপন করছে। জলীয় বাষ্প এক প্রকার গ্রিনহাউজ গ্যাস, যা তাপের তীব্রতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতে পরিণত হয়। ফলে গরমের জন্য দায়ী জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতে পরিণত হলে পৃথিবীপৃষ্ঠের গরমের তীব্রতা কমে যেতে পারে। তাছাড়া আমাদের মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট জলীয় বাষ্প ও স্থলভাগে বিদ্যমান জলীয় বাষ্প একত্রিত হয়ে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতে পরিণত হলেই গরমের তীব্রতা অনেকটা কমে যেতে পারে।

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত, এসি ব্যবহার ও বেশি পরিমাণে পানি সেবন গরমের তীব্রতায় সাময়িক উপশম দিলেও একে দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থাপনা বলা যেতে পারে। বিদ্যমান দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দিকে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে শহরের জলাশয়গুলো পুনরুদ্ধার, গাছ লাগানো, পরিকল্পিত আবাসন নির্মাণ, গাড়ির সংখ্যা কমানো, পরিবেশ আইন অনুযায়ী কলকারখানাগুলো আবাসিক এলাকা থেকে নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর, বর্জ্যরে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা বিদ্যমান দাবদাহ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারবে। নতুবা ভবিষ্যতে দাবদাহ বেড়েই চলবে, যা জনজীবনে অস্বস্তি বাড়াতেই থাকবে।

বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করছে। বিপুল এ জনসংখ্যার দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ব্যাপক চাপ রয়েছে। সেই লক্ষ্যে পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়েই প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো উচিত। নতুবা ভবিষ্যতে মানবসৃষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাসের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি এভাবে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকে, তাহলে তাপমাত্রা সহনশীল খাদ্যশস্য উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল পরিবেশের উন্নয়নের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণও কমাতে হবে। এখনই উপযুক্ত সময় উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ফসলের জাত ও লাইন উন্নয়নের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। যদিও বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল ধানের দু-একটি জাত ২০২৫ সালের মধ্যেই অবমুক্ত করতে যাচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে দাবদাহে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়া থেকে দেশকে রক্ষা করবে বলে আশা করা যায়। অন্যদিকে তাপমাত্রা সহনশীল মৎস্য ও পশুসম্পদ উন্নয়নের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। নতুবা দাবদাহে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ আমিষের অনুপস্থিতি দেখা দিতে পারে। পরিশেষে বলব, তাপমাত্রা সহনশীল খাদ্যশস্যের জাত উন্নয়ন, পরিকল্পিত শহরায়ন, বৃক্ষরোপণ ও জলাশয়গুলোর পুনরুদ্ধারই মানুষকে দাবদাহের প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

mohammad.alam@wsu.edu

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম