Logo
Logo
×

বাতায়ন

মিঠে কড়া সংলাপ

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার চিত্রটি কেমন

Icon

ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সাফল্য ও ব্যর্থতার চিত্রটি কেমন

রাস্তাঘাটের মতো আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা হয় বা হয়েছে কিনা, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বেসুমার অর্থ খরচ করার পর দেশের মানুষের ঘাড়ে অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে; প্রতি বছরই কয়েক দফা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা হলো! অথচ একটু ভেবেচিন্তে দূরদর্শিতার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনে হাত দিতে পারলে অপেক্ষাকৃত কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেসব চিন্তা না করেই পাইকারি হারে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দিয়ে সেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে মাসে শত শত কোটি টাকা বিল প্রদান করা হচ্ছে। আবার ভারতের আদানি গ্রুপ থেকেও উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় করে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় নিঃসন্দেহে বলা যায়, আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা হয় বা হয়েছে।

অন্যদিকে সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ ইত্যাদি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও আমরা সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে আছি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যেখানে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৭৩.৩২ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযোজন করেছে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ তারা ২৩০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করতে চলেছে, সেখানে আমাদের দেশে কত কিলোওয়াট, মেগাওয়াট বা গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালিত হয় বা হচ্ছে সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানতে বা বুঝতে পারছি না। যদিও সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশীয় একটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে সুকুক বন্ড ছেড়ে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তিস্তা প্রজেক্ট নামে একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে প্রকল্পটি চালু করেছে এবং কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনও শুরু হয়েছে। কিন্তু সে কেন্দ্রটি থেকে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে দেশের মানুষের স্বচ্ছ কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। আর যে পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে, তার সর্বাংশই যে প্রকল্পটিতে ব্যয় করা হয়েছে, সে বিষয়টিও প্রশ্নাতীত নয়। কারণ আমাদের দেশের পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অনেক কোম্পানিই তা নয়ছয় করে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারতে ২০.৭ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ৭৩.৩২ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে রাজস্থান, গুজরাট, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যগুলো এগিয়ে আছে। অথচ আমাদের দেশে বিলিয়ন ডলার তো দূরের কথা, সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে এক মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক বিনিয়োগও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বরং আমাদের দেশে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্র যাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, সেসব শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের পুঁজিবাজার থেকে তুলে নিয়ে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফতুর করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ফতুর করে দেওয়া হয়েছে বলার কারণ হলো, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এসব পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন; তাদের মূলধন অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে! দুই বছর আগে যে ক্যাপটিভ পাওয়ার কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়ে প্রতিটি শেয়ার মূল্য পঞ্চাশ টাকার উপরে তুলেছিল এবং তাকে মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি বিবেচনা করে দেশের লাখ লাখ বিনিয়োগকারী সেখানে তাদের অর্থকড়ি বিনিয়োগ করেছিলেন, হঠাৎ করে সেই কোম্পানির মালিকরা তাদের পুঁজিপাট্টা বিদেশে স্থানান্তর করে সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত করে নাগরিকত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সেখানকার সেরা ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন! এ অবস্থায় গত বছর কোম্পানিটি পূর্ববর্তী বছরের ৩৫ শতাংশের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেওয়ায় সেসময়ে প্রতিটি শেয়ারমূল্য ৫০ টাকার ঘর থেকে ৩৪ টাকায় নেমে আসে এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেই মূল্যটিও এতদিন ফ্লোর প্রাইস দিয়ে ঠেকিয়ে রাখায় এবং কোম্পানিটি এ বছর মাত্র ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করায় প্রতিটি শেয়ার মূল্য বর্তমানে ২৪ টাকায় নেমে এসেছে! অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ক্যাপটিভ পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির শেয়ারে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাদের মূলধন অর্ধেকেরও নিচে নেমে গিয়েছে। আর মৌলভিত্তির কোম্পানি বিবেচনায় একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যিনি, তার সব পুঁজি এ বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন, তিনি তার সিডিবিএল শিটটি আমাকে দেখালে দেখতে পেলাম, বর্তমান অবস্থায় তিনি প্রায় ২৫ লাখ টাকা লোকসানে আছেন।

দেশের বিদ্যুতের হালচাল, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এসব নিয়ে লিখতে বসে পুঁজিবাজারের বিষয়টি অবতারণা করার কারণ হলো, সরকার তথা বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় যেসব ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে, সেসব কোম্পানি সরকারের কাছে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করাসহ সময়ে সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে, পুঁজিবাজার থেকেও তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে; এবং অতঃপর এসব কোম্পানি পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসাতে চলেছে। বছর শেষে এসব কোম্পানি নিজেরা হিসাব করে যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে, তাতে করে তাদের কারও কারও ব্যালেন্সশিটে হাজার হাজার কোটি টাকা Reserve and surplus দেখানো হচ্ছে, অথচ ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বছরে লাভ কম দেখিয়ে ডিভিডেন্ডের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কম ঘোষণা করে শেয়ারমূল্য ফেলে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে বছরে বছরে বিনিয়োগকারীদের লাভের অংশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ কেটে রেখে তা রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাস ফান্ডে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। অথচ প্রয়োজনে বা আপদ-বিপদে সেখান থেকে একটি কানাকড়িও ডিভিডেন্ড হিসাবে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, তাহলে এসব কোম্পানির রিজার্ভে রাখা বিশাল পরিমাণ এসব অর্থ কি মালিক বা তাদের উত্তরাধিকারীদের ভোগ দখলের জন্য, নাকি বিদেশে পাচার করার জন্য? কারণ, দুঃসময়ে যদি রিজার্ভের অর্থ থেকে সামান্য কিছু অংশও বিনিয়োগকারীরা না পান, তাহলে সে টাকার মালিক কে বা কারা, সে প্রশ্নটি তো থেকেই যায়। যেমন-উপরোল্লেখিত কোম্পানিটি গতানুগতিক ৩৫ শতাংশের স্থলে গত বছর ২০ শতাংশ এবং এ বছর তা আরও কমিয়ে ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেওয়ায় প্রতিটি শেয়ার মূল্য অস্বভাবিকভাবে কমে গিয়ে অর্ধেকে নেমে এসেছে। অথচ কোম্পানিটির রিজার্ভ অ্যান্ড সারপ্লাসে ২০০০ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকে একটি টাকাও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশে যোগ করা হয়নি। এ বছর রিজার্ভের অর্থ থেকে কিছু অর্থ যোগ করে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারমূল্য অর্ধেকেরও কমে নেমে যেত না এবং বিনিয়োগকারীরাও সর্বস্বান্ত হতেন না। তাই বলছিলাম, সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ যেসব বেসরকারি কোম্পানির হাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দিয়েছে, সেগুলোয় সরকারকে যেমন লোকসান গুনতে হচ্ছে, তেমনি ওইসব কোম্পানি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদেরও প্রতারিত করে চলেছে। ফলে সরকারকেও বারবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝার উপর শাকের আঁটি চাপাতে হচ্ছে এবং কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজার থেকেও অর্থ উত্তোলন করে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের মুখে ফেলে শাঁখের করাতের মতো দেশের অর্থ দুদিক থেকে লুটে নিয়ে কেউ কেউ তা বিদেশে স্থানান্তর করে সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে চলেছেন। এ অবস্থায় আলোচ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সরকারের, দেশের মানুষের এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদেরও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গত ১৪ বছরে বেসরকারি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বসিয়ে রাখা অবস্থাতেও ১ লাখ কোটি টাকার বেশি অর্থ ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে প্রদান করতে হয়েছে। আর এক লাফে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই সরকারকে তথা দেশের মানুষকে এমন লোকসান গুনতে হয়েছে। এ অবস্থায় সরকারকেই এখন এসব বিষয়ে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হতে হবে। সারা পৃথিবীতে যখন সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে; আমেরিকার মতো দেশে যখন তাদের প্রয়োজনের এক-দশমাংশ বিদ্যুৎ wind energy হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, দিনের পর দিন তারা সোলার পাওয়ার বৃদ্ধি করে চলেছে এবং চীন, আমেরিকা, জার্মানি, ভারত, স্পেন, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, ফ্রান্স, কানাডা, ইতালি ইত্যাদি রাষ্ট্র যখন উইন্ডমিল থেকে প্রতি বছর যথাক্রমে ৩৪২, ১৩৯, ৪৪, ৪২, ২৯, ২৬, ১৯, ১৮, ১৪, ১৩ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করে চলেছে, ঠিক সেই সময়ে সেসব দিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে আমাদের দেশে সৌরবিদ্যুৎ এবং বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে খুঁড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। আর সেই সুযোগে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকরা শাঁখের করাতের মতো সরকারের এবং দেশের মানুষের পকেট কেটেই চলেছে; কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন বা সরবরাহ না করেই গত ১৪ বছর তারা এক লাখ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ সরকারের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে; পুঁজিবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে অনেকে বিদেশে সটকে পড়েছে।

এ অবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতাকে পুনঃমূল্যায়ন করে নতুন চিন্তাচেতনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে; নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে এবং এসব কাজে মেধা ও শ্রমের সংযোগ ঘটাতে হবে। এসব ক্ষেত্রে কেউ কোনো অজুহাত সৃষ্টি করতে চাইলে সেসব অজুহাত অগ্রাহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ যে কোনো কাজের সাফল্যের প্রশ্নে অজুহাত একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়; সুতরাং অজুহাত উপেক্ষা করেই সাফল্যের দ্বারে পৌঁছাতে হয়। যেমন বায়ুবিদ্যুতের ক্ষেত্রে বাতাসের গতি, সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে রোদ ইত্যাদি বিষয়ে অনেকে অজুহাত সৃষ্টি করতে পারেন। যদিও আমাদের দেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগসহ অন্যান্য বেশকিছু এলাকায় টারবাইন ঘোরানোর মতো বাতাসের যথেষ্ট গতি আছে। তাছাড়া আজকাল আধুনিকভাবে নির্মিত টারবাইন দ্বারা আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গতিবেগসম্পন্ন বায়ুতেও বায়ুচালিত টারবাইন ঘোরানো সম্ভব। আমেরিকার টেক্সাসের বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণকালে আমি এমন হাজার হাজার টারবাইন কম বাতাসেও ঘুরতে দেখেছি। আর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তো আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই খর রৌদ্রতাপের উপস্থিতি আছে। এ অবস্থায় নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের পশ্চাৎপদতা কাটাতে যে কোনো অজুহাত উপেক্ষা করে সম্মুখপানে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজনে যে, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ বিভাগের ঘাড়ে যেভাবে চেপে বসেছে, তাতে সরকার তথা দেশের মানুষের লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণই বেশি হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম