Logo
Logo
×

বাতায়ন

স্বদেশ ভাবনা

বিরোধ মীমাংসার একমাত্র জায়গা আলোচনার টেবিল

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিরোধ মীমাংসার একমাত্র জায়গা আলোচনার টেবিল

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।

নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনার চিন্তাভাবনা কি আপনাদের আছে? সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলার কিছু নেই।

তিনি আরও বলেছেন, তার দল এর আগে ২০১৮-এর নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছে। তবে সে আলোচনায় গৃহীত সমঝোতাগুলোর কতটা বাস্তবায়ন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঘটেছিল এবং সে নির্বাচন কেমন হয়েছিল, সেসব বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, তার দলও সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না। কারণ, অভিজ্ঞতা বলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার যুক্তি থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেছেন, এবার ফয়সালা হবে রাজপথে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দেশ চরম সংঘাতের দিকেই এগোচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা না হলে পরিণতি কী হতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

আশির দশকের শেষদিকে রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া হাত মেলালেও জাতীয় পার্টি সরকারের পদত্যাগ ও বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে দুই নেত্রীর মধ্যকার স্বল্পকালীন সুসম্পর্কের অবসান ঘটে। তাদের মধ্যকার পুরোনো শত্রুতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিরোধী দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ১৯৯৪ সালে মাগুরার একটি উপনির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে। অন্য দুটি বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে আন্দোলন করে। আন্দোলন শুরুর নয় মাসের মধ্যেই জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির এমপিরাও সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।

বিরোধী জোটের দাবি অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর সংবিধান সংশোধনে প্রয়োজন সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন।

সংসদে বিএনপির দুই তৃতীয়াংশ সদস্য না থাকায় বিএনপি সরকার সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে। প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগসহ অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলবর্জিত এ নির্বাচনে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। অতঃপর বিরোধী জোটের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিএনপি সরকার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ওই বছরের মার্চে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে এবং ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়। তাই বাহ্যত অংশগ্রহণমূলক না হলেও ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উপরের বর্ণনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, ক্ষমতাসীন সরকার দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হলে সে সমস্যার সমাধান নিশ্চিত হয়ে পড়ে।

অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষে তৎকালীন সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মেনে নিতে আওয়ামী লীগের আপত্তির কারণে বিএনপি সরকার এ পদে নিয়োগে অন্য ‘অপশনগুলো’ বাদ দিয়ে তাদের মনোনয়নে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে নিজ দায়িত্বসহ প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য চাপ দেয়। ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজ দায়িতের অতিরিক্ত প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল প্রথমে তাকে মেনে নিলেও একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি আনুগত্যের অভিযোগ এনে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে তাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে। আওয়ামী লীগ থেকে ঘোষণা করা হয়, তারা নিজে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত ছোট দলগুলো ২২ জানুয়ারি ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নবম সংসদ নির্বাচন বর্জন করবে। প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করলে রাজনৈতিক সংকট গুরুতর আকার ধারণ করে। তাছাড়া দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে হত্যার বীভৎস দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ জরুরি হয়ে পড়লে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদত্যাগ করে এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন। এ সরকার দু’বছর ক্ষমতায় থাকে।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ায় পর দু’বছর যেতে না যেতেই আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধনের (পঞ্চদশ সংশোধন) মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। বিরোধী দল বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের বিরোধিতা করে এবং তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন (জানুয়ারি ২০১৪) বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল আটটি দল নির্বাচন বর্জন করে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং গুটিকয়েক দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সংসদের মোট আসনের ৫০ শতাংশের বেশি আসনে অর্থাৎ ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবং এতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন না ঘটায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গণতন্ত্রকামী বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে নির্বাচন-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি তার সে প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আওয়ামী লীগের এমন আশ্বাসে বিএনপি ও অন্যসব বিরোধী দল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও সে নির্বাচন মোটেই অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। এ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল-নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্ধারিত দিনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ব্যালট বাক্সে ভোট প্রদান। এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়ে আসছে। মার্চে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘দ্য ২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেছে, নির্বাচনে জালভোট দেওয়া হয়েছে এবং বিরোধীদলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোসহ গুরুতর অনিয়ম হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়ম হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটে। এ নির্বাচনে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে দলটি ১০টি দাবি উত্থাপন করে। এর মধ্যে প্রধান দুটি দাবির একটি হলো সরকারের পদত্যাগ, আর অন্যটি দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। দুই ডজনের বেশি সরকারবিরোধী দল ও জোট এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিএনপি চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুধু দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় নয়, তারা দলের বলয় বাড়াতেও সচেষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির সমর্থক বা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনরত দল বা জোটগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে নানা উদ্যোগ নিতে পারে সরকার এবং অনেক দলকে চাপের পাশাপাশি নানা সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়ে জোট থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হবে। বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের বেরিয়ে আসাকে সরকারের এরূপ একটি প্রচেষ্টার ফল হিসাবে দেখছেন অনেকে।

এই যখন পরিস্থিতি, তখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ৭ মে সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ডসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। যদিও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এ প্রস্তাবের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তথাপি ওবায়দুল কাদেরের প্রস্তাবের মধ্যে একটি বার্তা রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন।

আলোচনাই সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম পন্থা হিসাবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। সমস্যা যত কঠিনই হোক, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে খোলা মন নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসলে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে একটা সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে জনগণের বিশ্বাস। আর আলোচনার মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা না হলে যা হতে পারে তা হলো-এক. দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন; দুই. ওয়ান-ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি। এ দুটির কোনোটিই দেশবাসীর কাম্য নয়।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম