Logo
Logo
×

বাতায়ন

পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি

Icon

নূরে আলম সিদ্দিকী

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি

এই মহাবিশ্বে আমাদের সৌরজগতের অন্তর্গত পৃথিবী নামক গ্রহটিই প্রাণীদের বসবাসের জন্য অনুকূল একমাত্র গ্রহ। আধুনিক মানবসভ্যতা এখন পর্যন্ত তাই জানতে পেরেছে। তবে এ অসীম এবং ক্রমসম্প্রসারণশীল এ মহাবিশ্বের অধীনে লক্ষ কোটি অন্যান্য সৌরজগতে অন্য অনেক গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। কিন্তু সেই কল্পনা এখনো বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি আর চলচ্চিত্রের মাঝেই সীমাবদ্ধ।

মানব জাতি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের মাধ্যমে আজকের এ ইলেক্ট্রমেকানিক্যাল এবং সুপারসনিক সভ্যতায় পৌঁছেছে। একদা পুরোনো পাথর, নতুন পাথর, লৌহ ও ব্রোঞ্জযুগে আমাদের এ গ্রহটি হিংস্র বন্যপ্রাণী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। প্রায় তিন হাজার বছর ধরে মানবসভ্যতার উন্নয়ন যতটা ব্যাপকতা ও সর্বজনীনতা পেয়েছে, এর আগে ততটা ছিল না; বিশেষ করে সপ্তম শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইরান, স্পেন, মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়াজুড়ে আজকের আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল, যা সপ্তদশ শতাব্দীতে কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি আবিষ্কারের মাধ্যমে ইউরোপীয় রেনেসাঁ এবং পরিণতিতে আধুনিক শিল্পবিপ্লব ব্যাপক গতি লাভ করে।

আমরা জানি, হাইড্রোকার্বন ডিপোজিট, যেমন-পেট্রোলিয়াম, কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎস হচ্ছে শত শত বছর ধরে ভূগর্ভে সঞ্চিত প্রাণী ও উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশ। জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা সৃষ্ট কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রধানতম কারণ হিসাবে বিবেচিত এবং প্রমাণিত। অথচ সেই সস্তা আর নোংরা জীবশ্ম জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন ও বেপরোয়া ব্যবহার বেড়েই চলেছে, যা আমাদের এ সবুজ গ্রহকে উষ্ণ করে তুলছে; জলবায়ু আর বায়ুমণ্ডল বৈরীভাবাপন্ন হয়ে উঠছে; সমগ্র পৃথিবীতে আকস্মিক বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অস্বাভাবিক ও অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে চলছে।

সম্পদের প্রতি মানুষের সীমাহীন লোভ, জীবশ্ম জ্বালানির বেপরোয়া ব্যবহার, ব্যাপক নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, বনভূমি ধ্বংস প্রভৃতি আমাদের এ পৃথিবীকে জীবন ধারণের অনুপযোগী করে তুলছে। তা ছাড়া, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এর ভূগর্ভস্থ রিজার্ভও খুব শিগগির শেষ হয়ে যাবে। এমনই বাস্তবতায় এ পৃথিবীতে আধুনিক মানবসভ্যতার অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য বিকল্প জ্বালানি আবিষ্কারের কোনো বিকল্প নেই।

অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, বর্তমান বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে সমুদ্রসমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, মেরু অঞ্চলের বরফের ক্যাপ এবং হিমবাহের গলে যাওয়া, খরা, তাপ ও শৈত্যপ্রবাহ, এল-নিনো ও লা-নিনার কারণে সৃষ্ট অস্বাভাবিক বায়ুপ্রবাহের কারণে দক্ষিণ আমেরিকা আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অতিবৃষ্টি, খরা প্রভৃতি দেখা দিচ্ছে। যদি এ প্রবণতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৫.৪ থেকে ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে এবং সমদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা কমপক্ষে ২.৩ মিটার (৭.৫ ফুট) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধির আরেকটি প্রভাব হিসাবে ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগগুলো এমন এলাকায় ফিরে আসছে, যেখানে এ রোগটি আগেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পৃথিবীতে মোট বার্ষিক গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ২১ শতাংশ আসে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে, ২১ শতাংশ পরিবহণ থেকে, ১৩ শতাংশ কৃষি উপজাত থেকে, ১০ শতাংশ ভূমির ব্যবহার ও গাছপালার মতো অর্গানিক উপাদানগুলো পোড়ানো থেকে, ১১ শতাংশ গৃহস্থালির রান্নাবান্না এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি থেকে এবং ২৪ শতাংশ অন্যান্য উৎস থেকে আসে।

অতীতে জ্বালানি শক্তির ব্যবহার (প্রধানত জীবাশ্ম জ্বালানি) এবং একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈকি উন্নয়নের অধিকতর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ছিল। এ কারণে এতকাল অনেক দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির অধিকতর ব্যবহার রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহ বোধ করেনি। তবে আজকাল এই প্রত্যক্ষ সম্পর্ক অনেক দেশের ক্ষেত্রে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ জার্মানির কথা বলা যায়, যেখানে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রাকৃতিকভাবে প্রতিস্থাপিত হয় এবং আবার ব্যবহার করা যায়। যেমন-অক্সিজেন, স্বচ্ছ পানি, সৌরশক্তি ইত্যাদি। এ ছাড়া কাঠ, কাগজ, বৃক্ষ-লতা থেকে প্রাপ্ত নানা ধরনের অর্গানিক উপাদান, চামড়া প্রভৃতিকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সৌরশক্তি, বায়ুুশক্তি, বিভিন্ন খাদ্যশস্য, তৈলবীজ, প্রাণিজ বর্জ্য প্রভৃতির মাধ্যমে কিছু সহজ ও সস্তা প্রক্রিয়ায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন করা যেতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, ধানের কুঁড়া বায়ুগ্যাস তৈরির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে; সৌরশক্তি ব্যাটারি চার্জ করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে; বিদ্যুৎ তৈরি করতে সৌরকোষের মাধ্যমে সংগৃহীত শক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে; অথবা এর মাধ্যমে শীতপ্রধান দেশে ভবন গরম করার জন্য পরোক্ষভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে; সয়াবিন তেল এবং অ্যালকোহল বায়ুডিজেল তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। এ ছাড়া আরও অনেক জানা-অজানা উপাদান পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো বর্তমান বিশ্বের বিদ্যুতের ২৬ শতাংশ তৈরি করে। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি বিশ্বব্যাপী শক্তির উৎসের প্রায় ৩০ শতাংশ হবে। ইতোমধ্যে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ছাড়িয়ে গেছে। পারমাণবিক শক্তির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির বৃহত্তম উৎস হিসাবে জীবাশ্ম জ্বালানি কয়লার পরেই দ্বিতীয়। যদিও জলবায়ু সম্মেলন প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়; তবে ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৃহত্তম সম্মেলনটি বিশেষভাবে বিশ্ব নেতাদের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার জন্য একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছিল।

অনেক পর্যবেক্ষক ও বিশ্বনেতা একে ঐতিহাসিক, যুগান্তকারী, সর্বজনীন এবং উচ্চাভিলাষী চুক্তি বলে অভিহিত করেছেন। সেই সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত ঘোষণাগুলোর মধ্যে ছিল-এই শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্র্ধে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন অর্ধেক করা, বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমিত করার পাশাপাশি এটি হ্রাস করার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা, প্রতি পাঁচ বছরে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা, ২০২০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল প্রতিষ্ঠা করা এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আরও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। দুর্ভাগ্যবশত সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মতে, ২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত জলবায়ু তহবিলে মাত্র ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

১৯৯৭ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত কিয়োটো জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে অনেক দেশই একমত হয়েছিল-তারা ২০১২ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৯৯০ সালের মাত্রায় নামিয়ে আনবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশ কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। কিয়োটো কনফারেন্সে অনেক ধনী ও উন্নয়নশীল দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন পরিণতি অনুভব করতে পারেনি; কিন্তু গত কয়েক বছরে কার্বন নির্গমন এবং পরে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-আকস্মিক বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধস, ভূমিকম্প, তাপ প্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ প্রভৃতির প্রভাবে অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এ কারণেই ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হ্রাসে ওইসব দেশ প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নির্গমন কমাতে একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধ্য হয়েছিল।

২০২১ সালে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৬-এ বিভিন্ন দেশের বেসরকারি খাত এবং স্থানীয় সরকারগুলো এক গুচ্ছ নতুন প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন থেকে বিশ্বনেতারা এখনো অনেক দূরে রয়েছেন। তবুও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সেসব প্রতিশ্রুতির কথা সবাইকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যেখানে বলা হয়েছিল-বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অথচ এর বাস্তবায়ন এখনো চোখে পড়ার মতো নয়। সম্প্রতি মিসরে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৭-এ বিশ্বনেতারা ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল গঠন করতে আগের দেওয়া অঙ্গীকার আবারও ব্যক্ত করেছেন, যেখানে কার্বন নিঃসরণ সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং কপ-২৬-এ দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকারও অন্তর্ভুক্ত আছে।

আমরা খুব আশাবাদী হতে পারি যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের ভূমিকাকে আরও উচ্চে তুলে ধরেছেন। জো বাইডেন ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ৫০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা ২০০৫ সালের স্তরের নিচে এবং যেটি ২০৩৫ সালের মধ্যে ১০০ শতাংশ কার্বন দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের খুব কাছাকাছি।

বাস্তবতা যাই হোক না কেন, পৃথিবীর সব শক্তিশালী ও প্রভাবশালী দেশগুলোকে পরিবেশ দূষণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের নির্বুদ্ধিতা ও অর্বাচিনতার বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে হবে। মানবসভ্যতাকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য এবং একইসঙ্গে এ সবুজ গ্রহকে প্রাণিজগতের বসবাসের জন্য অনুকূল রাখতে কার্বন ও অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ অবশ্যই একটা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না পৃথিবীর মতো অন্য কোনো অনুকূল গ্রহ আবিষ্কৃত হয়। তবে এই দৃশ্যকল্প বাস্তবায়নের জন্য শক্তির উৎস হিসাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ক্রমাগত কমিয়ে এনে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আজকের পৃথিবী সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলছে।

নূরে আলম সিদ্দিকী : পরিবেশবিষয়ক লেখক

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম