এ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী তথা হীরকজয়ন্তী উদযাপন করছে।
১৯৭৩-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস।’
বাঙালির আধুনিককালের ইতিহাস অনুযায়ী কথাটি আক্ষরিক অর্থেই সত্য। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ-এ চারটি নাম সমার্থক। বাঙালি জাতিসত্তাকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রীয় সত্তায় অভিষিক্ত করতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার সুদীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, অসীম ত্যাগ ও অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের জয়যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পরপরই মার্চের ২ তারিখে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ছাত্রলীগ নেতা সামছুল আলম। রাষ্ট্রের অন্যতম ভাষা বাংলার দাবিতে ১১ মার্চ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে প্রদেশব্যাপী হরতাল, সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালিত হয়। রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এটি ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রে প্রথম হরতাল। এদিন হরতাল কর্মসূচিতে পিকেটিং করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্য নেতারা আহত ও গ্রেফতার হন। হরতালে সরকারের নৃশংস ভূমিকার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের আহ্বানে ১২ মার্চ সারা দেশে প্রতিবাদ সভা, ১৩ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট, ১৪ মার্চ সারা বাংলায় হরতাল পালিত হয়। ছাত্রলীগ নেতাদের ডাকে লাগাতার আন্দোলনে টনক নড়ে সরকারের। ১৫ মার্চ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন গভর্নর হাউজে (বর্তমান বাংলা একাডেমির বর্ধমান ভবন) মুসলিম লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকেন। বৈঠক চলাকালে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে ও নেতাদের মুক্তির দাবিতে গভর্নর হাউজের বাইরে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ প্রণীত ও ছাত্রলীগ নেতা বঙ্গবন্ধু অনুমোদিত সাত দফা মেনে নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বরাবর দাবি জানায়। মুখ্যমন্ত্রী সাত দফা দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন এবং সরকারের পক্ষে খাজা নাজিমউদ্দিন ও রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ছাত্রলীগ নেতা কামরুদ্দিন আহমেদ একটি চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। সাত দফা দাবিসংবলিত চুক্তিনামাটি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুসহ গ্রেফতার ছাত্রনেতাদের মুক্তি দেওয়া হয়। শাসকগোষ্ঠী ছাত্রনেতাদের মুক্তি দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজকে আপাত শান্ত করেই মেতে ওঠে নতুন চক্রান্তে। সাত দফা দাবির তিন নম্বর দফায় বলা হয়েছিল, ‘১৯৪৮ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদে বেসরকারি বিল আলোচনার জন্য নির্ধারিত তারিখে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার এবং তাকে পাকিস্তান গণপরিষদে এবং কেন্দ্রীয় চাকরি পরীক্ষা দিতে উর্দুর সমান মর্যাদাদানের নিমিত্তে একটি বিশেষ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।’ আর চার নম্বর দফায় বলা হয়েছিল, ‘পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদে এপ্রিল মাসে একটি প্রস্তাব তোলা হবে, প্রদেশের অফিস-আদালতের ভাষা ইংরেজির স্থলে বাংলা হবে।’ এ দুটি দফা নিয়ে কর্তৃপক্ষের চক্রান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলে। প্রতিবাদে ১৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আইন পরিষদের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে, বঙ্গবন্ধুসহ ১৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন। ১৯ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন এবং ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসমাবেশে ও ২৪ মার্চ কার্জন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দু’স্থানেই দম্ভভরে ঘোষণা দেন, ‘...Urdu only Urdu shall be National and State language of Pakistan and none else...’ । এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতারা গর্জে উঠেছিলেন। সভাস্থলেই তাৎক্ষণিক ‘No’ ‘No’ অর্থাৎ ‘না’ ‘না’ প্রতিবাদধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিল।
’৪৮-এর ১১ মার্চের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, ’৪৯-এ আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক শক্তির ভূমিকা পালন, ’৫০-এ গণতান্ত্রিক যুবলীগ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তৈরি, ’৫২-এর অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলন সংঘটিত করায় ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দেয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত আদর্শ-উদ্দেশ্যর প্রতি অবিচল থেকে ছাত্রলীগ অর্জন করে অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ। যার প্রতিফলন ঘটে ’৫৩তে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে মুসলিম ছাত্রলীগের স্থলে ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ’ নামকরণ করা হয়।
’৬০-এর দশকের শুরুতে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে, বিশেষ করে শরীফ কমিশন ও হামুদুর রহমান কমিশনের শিক্ষানীতি, রবীন্দ্রচর্চা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে, ’৬৪তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা রুখতে ছাত্রলীগ সমমনা সংগঠনগুলোকে নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করে। ’৬৬-তে ছয় দফা দেওয়ার পর আইয়ুব খান অস্ত্রের ভাষা প্রয়োগের হুমকি প্রদান করেন। শুরু হয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ওপর দমননীতি। বঙ্গবন্ধুর ওপর ছয়টি মামলা করে গ্রেফতারি ও হয়রানি ’৬৬-এর এপ্রিল মাসজুড়ে চলতে থাকে এবং ৮ মে রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করে। এরকম চরম দমন-নির্যাতনের ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। ’৬৭-এর ১৭ জানুয়ারি, সেদিন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)’র সহসভাপতি নির্বাচিত হই। তখন ছয় দফার আন্দোলন চলছে। বঙ্গবন্ধু কারাগারে অন্তরীণ। সেদিন রাতেই প্রিয় নেতার কাছ থেকে একটা গোপন পত্র পাই। তিনি লিখেছেন, ‘স্নেহের তোফায়েল, তুই ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, এ ডাকসুর নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি আন্দোলন গড়ে উঠবে।-মুজিব ভাই।’
পঞ্চাশের দশক থেকে বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের লক্ষ্যে গড়ে তোলা সব আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্রলীগের আদর্শ-উদ্দেশ্যতে ছিল বাংলার মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ‘প্রাপ্তবয়স্কদের সর্বজনীন ভোটাধিকার’-এর দাবি। ’৬৯-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা তা অর্জন করি। আমাদের অর্জিত সাফল্যের পথ ধরেই ’৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচন ও ’৭১-এর মহত্তর মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি হয়। ’৭০-এর নির্বাচনে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা এবং ছাত্রসমাজের ১১ দফার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করে। ’৭১-এর ৩ জানুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্সে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথ গ্রহণ করান স্বয়ং বঙ্গবন্ধু। নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন ও শাসনতন্ত্র তৈরির জন্য অধিবেশনে মিলিত হতে না দিয়ে ’৭১-এর ১ মার্চ দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে পূর্বঘোষিত ৩ মার্চ ঢাকায় আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধু ছাত্রনেতাদের ডেকে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেন। নেতার নির্দেশে ছাত্রলীগ ও ডাকসুর সমন্বয়ে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয়। একমাত্র ছাত্রলীগ নেতারাই সব ধরনের ঝুঁকির মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন স্বাধীনতার অমোঘ মন্ত্র-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ আর ৮ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলনের রক্তঝরা দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ৩৫টি ঐতিহাসিক নির্দেশাবলি প্রতিটি বাঙালির কাছে হয়ে উঠেছিল অবশ্য পালনীয়। ২৫ মার্চ কালরাতে নজিরবিহীন গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের সাবেক ও তৎকালীন নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘মুজিব বাহিনী’ তথা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট সংক্ষেপে বিএলএফ। মুজিব বাহিনী গঠন করে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে ৩০ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সুমহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করি।
’৪৮-এর ১১ মার্চের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের যে জয়যাত্রা সূচিত হয়েছিল, ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির মহান ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন, ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচন এবং ’৭১-এ মহত্তর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ পালন করে অগ্রগামী ভূমিকা। এসব মহিমান্বিত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ অর্জন করে গণতান্ত্রিক তথা নিয়মতান্ত্রিক আচরণ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জয় করে নেয় বাংলার মানুষের হৃদয় আর সৃষ্টি করে ইতিহাস। সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি, নিয়মানুবর্তিতা, সংগঠনের আদর্শ-উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ সৃষ্টি করে অসংখ্য বিপ্লবী ও সংস্কৃতিবান নেতাকর্মী।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকজুড়ে ছাত্রলীগ জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে শামিল হয়ে যে রাজনৈতিক আদর্শ ও চেতনা অর্জন করেছিল তা সংরক্ষণ, লালন ও অব্যাহত চর্চা সময়ের দাবি। আজ অতীতের সেই সোনালি দিনগুলোর দিকে যখন ফিরে তাকাই স্মৃতির পাতায় দেখি, সেদিনের ছাত্রলীগ ছিল বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের, মুজিবাদর্শ প্রতিষ্ঠার ভ্যানগার্ড। আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম বলে গর্ববোধ করি। সংগঠনের কর্মী হিসাবে ছাত্রলীগ আমাকে মুজিবাদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার পথই শুধু উন্মুক্ত করে দেয়নি, সেই সঙ্গে দেশসেবার ও দেশ গঠনের মহতী কর্মে আজীবন প্রয়াসী থাকার সুযোগ অবারিত করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আজ একটি কথাই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, এ সংগঠনের অতীত গৌরবময়, এর বর্তমানকে করে তুলতে হবে আরও তাৎপর্যপূর্ণ, আর ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে প্রতিশ্রুতিশীল হিসাবে। ছাত্রসমাজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক নির্লোভ ত্যাগী শক্তি বলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রী মহল তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার নানা ষড়যন্ত্র করেছে। সামরিক শাসকরা মাদক, অস্ত্র আর অর্থ ঢেলে ছাত্রসমাজের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। আমি বিশ্বাস করি, ছাত্রলীগসহ সমমনা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো এ কুৎসিত ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদের রক্ষা করে ছাত্র আন্দোলনের সুমহান ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।
তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
tofailahmed69@gmail.com