
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৩ এএম
ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্যের প্রতিকার চাই

রাখি আক্তার
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-67d9df9c6ed19.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে বাড়ি ফেরা। কিন্তু এ আনন্দযাত্রাকে অনেকটা বিষাদে রূপান্তরিত করে দূরপাল্লার বাসের অতিরিক্ত ভাড়া। প্রতিবছর ঈদসহ বড় উৎসবগুলোর আগে বাসভাড়া কয়েকগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, যা জনগণের জন্য বিরাট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শহরে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার সময় এ বাড়তি ভাড়ার চাপের মুখে পড়ে। ঈদের ছুটিতে মানুষের ঢল নামে, যা বাসের চাহিদাকে বাড়িয়ে দেয়। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু বাস মালিক সিন্ডিকেট তৈরি করে যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়ায়। ফলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। অথচ ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহণ আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি অথবা জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রশাসনিক দুর্বলতা ও নজরদারির অভাবের কারণে এ নৈরাজ্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে বাস মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ভাড়া বৃদ্ধির এ অনৈতিক চর্চাও অব্যাহত রেখেছে। তাই সমাধান হিসাবে প্রশাসনের কঠোর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যাত্রীদের জন্য অভিযোগ বাক্স বা হটলাইন নম্বর চালু করা এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি বন্ধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। ঈদযাত্রার এ ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে সরকার, প্রশাসন, পরিবহণ মালিক ও যাত্রী-সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সঠিক নীতি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, নিরাপদ ও ন্যায়সংগত পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব।
শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ