Logo
Logo
×

দৃষ্টিপাত

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন

Icon

সাকী মাহবুব

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীতে ভেজাল মিশ্রণের বিষয়টি বর্তমান সময়ের আলোচিত বিষয়। কিছু ক্ষেত্রে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনার ফলে বেরিয়ে আসছে ভেজাল পণ্যের চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজকাল চালের ওজন বৃদ্ধির জন্য চালের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বালি ও পাথর কুচি। শাকসবজি তরতাজা রাখতে ও ফলমূল পাকাতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। ছোট-বড় বিভিন্ন মাছ সতেজ রাখতে ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে বিক্রেতারা ব্যবহার করছে ফরমালিন। এমনিভাবে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য যেমন, ডাল, গুঁড়া মসলা, ভোজ্য তেল, ঘি ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। বিস্কুট, জুসের মতো শিশুখাদ্যে নির্দ্বিধায় মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম ফ্লেভার। নকল ওষুধ খেয়ে মৃত্যুবরণ করছে অসংখ্য নিষ্পাপ শিশু। এসব রাসায়নিক দ্রব্য মানবদেহের জন্য চরম হুমকি হিসাবে বিবেচিত হয়। ভেজাল মেশানো খাবারের ভিড়ে ভেজালমুক্ত খাবার পাওয়াই এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভেজালবিরোধী অভিযানের ফলে এ প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেলেও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কৃত হয়েছে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর হাজারো অভিনব পদ্ধতি। ফলে ক্রমান্বয়ে লোকজন নানা ধরনের মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অসহনীয় অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত না করলে তা এক সময় বিভীষিকা হিসাবে দেখা দেবে। অথচ বাজার থেকে মানসম্পন্ন খাবার প্রাপ্তির অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে ভেজালমুক্ত খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। এজন্য ভেজালবিরোধী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া গণসচেতনতার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে মানুষ ভেজালমুক্ত এবং নিরাপদ খাবার পাবে।

সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম