
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির প্রকাশ

ড. মো. সাহাবুল হক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
জনরোষে ক্ষমতা হারানোর মাত্র ২৪ দিন আগে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিং গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ওই সফরে সাতটি ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২১টি সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করা হয়। তিন দিনের সফর শেষ হওয়ার একদিন আগেই শেখ হাসিনা তার প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
এর আগেও শেখ হাসিনা চারবার চীন সফর করেছেন। এরকম আগে আর ঘটেনি। একটি দেশের রাষ্ট্রীয় সফরের ক্ষেত্রে এটি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। কারণ সফরের সবকিছু অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। দুপক্ষের কেউই ইচ্ছা করলে সফরসূচি বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে উভয়েরই সম্মতি দরকার হয় এবং সুনির্দিষ্ট কারণ ও ব্যাখ্যা দিতে হয়। ঢাকার গণমাধ্যমগুলো ওই সময় প্রতিবেদন প্রকাশ করে, ‘চীন থেকে একদিন আগেই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী।’ কিন্তু কী কারণে শেখ হাসিনা একদিন আগে দেশে ফিরে এসেছিলেন এর সঠিক কোনো বিশ্লেষণ ওই সময় গণমাধ্যমে আসেনি। এ নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্যও করেনি।
শেখ হাসিনা চীনের কাছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ এবং অনুদান সহায়তা চেয়েছিলেন, কিন্তু চীন মাত্র ১ বিলিয়ন ইউয়ান দেওয়ার প্রতিশ্রুত দিয়েছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পর্যাপ্ত সময় দেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়। এছাড়া শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সঙ্গে দেখাও করেননি। ইকনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা মেয়ের চোখের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে নির্ধারিত রাষ্ট্রীয় সফরের একদিন আগেই ঢাকা ফিরে আসেন।
২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ভূতুড়ে ভোটের মাধ্যমে একপক্ষীয় জয়লাভ করার পর শেখ হাসিনার চীন সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি ভারতের লোকসভা নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আগে ভারত যাবেন এবং তারপর চীন যাবেন। ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ৯ জুন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দিল্লিতে অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে শেখ হাসিনা সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানের পর মাত্র ১১ দিনের মাথায় ২১-২২ জুন শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যান। এর কিছুদিন পর অর্থাৎ ৮ জুলাই শেখ হাসিনা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যান এবং সফর শেষ হওয়ার একদিন আগেই তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন। এ সফরের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। এর কয়েক সপ্তাহ পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন।
বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের অতিরিক্ত ভারতপ্রীতি এবং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ভারতকে যা দিয়েছি, ভারত সারা জীবন তা মনে রাখবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, আবার কখনো বলেছেন রক্তের সম্পর্ক। চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বলেছেন বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এভাবে ভারত ও চীনের সঙ্গে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলেছিলেন শেখ হাসিনা সরকার। অস্বীকার করার অবকাশ নেই, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট হওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের যে দায় রয়েছে, ভারত কোনোভাবেই তা অস্বীকার করতে পারবে না। এ নিয়ে গবেষণা হলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এটা স্পষ্ট, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের পতন ঘটে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চীন সফর করেন। তিনি মূলত সেদেশের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে যোগ দিতেই সেখানে গিয়েছিলেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৭ মার্চ এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেন। ২৮ মার্চ তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সভা করেন। বোয়াও সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য এশিয়ার নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে বাংলাদেশের বেশকিছু বড় অর্জন রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে; যা বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পর দুই বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়েছেন, এটি ড. ইউনূস সরকারের জন্য একটি সুখবর।
চীন সরকার ও সেদেশের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। এছাড়া দেশটির ৩০টি কোম্পানি চট্টগ্রামের অনোয়ারায় চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ, বহুল প্রতিশ্রুত তিস্তা প্রকল্পে সহায়তাসহ বাংলাদেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছে বাংলাদেশ। এ বছরের জুন থেকে বাংলাদেশ চীনে আম রপ্তানি শুরু করবে। এ সফরে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যসেবা খাত। চীনের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদের হার ১-২ শতাংশ হ্রাস করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চীনের তৈরি পোশাক কারখানা, বৈদ্যুতিক যানবাহন, হালকা যন্ত্রপাতি, উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিকস, চিপ উৎপাদন এবং সৌর প্যানেল শিল্প বাংলাদেশে হস্তান্তর সহজ করতে বেইজিংয়ের সহায়তা চেয়েছে। এ বিষয়ে চীন ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেছে। এটি যদি সম্ভব হয়, তাহলে বাংলাদেশে চীনের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হবে। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরে বাংলাদেশ এক চীননীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। চীনের সঙ্গে অন্য যে কোনো দেশের সম্পর্ক গড়ার এবং রক্ষায় চীনের এক চীননীতিকে সমর্থন করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে চীন অনেক রক্ষণশীল।
চীন সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, যেগুলো সেভেন সিস্টার্স হিসাবে পরিচিত-তা নিয়ে কথা বলেছেন। ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ীদের এক সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, ভারতের সাতটি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, যা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত, তা স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে কোনো অ্যাকসেস নেই। আমরাই এ গোটা অঞ্চলে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। তিনি আরও বলেছিলেন, এটি একটি বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। এটি চীনের অর্থনীতির প্রসারের একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, যেখানে তারা পণ্য তৈরি করতে পারে, বিপণন করতে পারে...চীনে পণ্য নিয়ে এসে সারা বিশ্বে তা বিক্রি করতে পারে।
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশে কথা বলা ছিল এক ধরনের ট্যাবুর মতো। মনে হতো এটি নিয়ে কথা বললে ভারতের বিপক্ষে চলে যাবে এবং ভারত নাখোশ হবে। প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যে অনেকটা সাপের লেজে আঘাত করার মতো অবস্থা হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেদেশের মিডিয়াগুলো ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে নেতিবাচক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু করেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো মোটেই ল্যান্ড লকড নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘(ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড) ত্রিদেশীয় হাইওয়ের কাজ যখন শেষ হবে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তা একেবারে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত যুক্ত করবে, যা হবে একটি গেম চেঞ্জার’ (বিবিসি বাংলা, ৩ এপ্রিল, ২০২৫)। এর অর্থ এ অঞ্চলকে নিয়ে ভারতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। ড. ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যেটি বলেছেন, সেটি কানেক্টিভিটি নিয়ে বলেছেন। ড. ইউনূসের বক্তব্যকে ভুল বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ড. খলিলুর রহমান যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেভেন সিস্টার্স, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ নিয়ে কানেক্টিভিটি তৈরি করতে পারলে এবং চীন যদি সেখানে বিনিয়োগ করে এবং এ অঞ্চলকে ম্যানুফাকচারিং হাব হিসাবে তৈরি করতে পারে, তাহলে কয়েক দশকের মধ্যে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পরে বিমসটেকের সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূস এবং নরেন্দ্র মোদি এক সভায় মিলিত হন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই এ দুই সরকারপ্রধানের প্রথম সাক্ষাৎ। সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূ-রাজনৈতিক এ বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ। একইসঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশ যে অন্য অনেক দেশ থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে, সেটি বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট করা। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ যে স্বাধীনভাবে তার মতামত ব্যক্ত করার সাহস সঞ্চার করেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে কী স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্ক গড়বে, এটি একান্তই বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৫০-এর দশকে চীনের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট-পরবর্তী চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক গড়ে তোলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার হাত ধরেই আধুনিক চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল। এ বছরই পালিত হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে দুই দেশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের আগামী দিনের স্বরূপ কেমন হবে তা ইতোমধ্যেই অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে এ সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ড. মো. সাহাবুল হক : অধ্যাপক, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট