
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর খেপিয়ে তুলেছে ভারতকে

মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের আঁতে ঘা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাই এখন রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যা মনে হচ্ছে, তাই করছে ভারত। শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেককে রণসাজে সজ্জিত করছে ভারত। এ কলামটি লেখার সময় অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম, তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করেছে ভারত। এ সুবিধা ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য বাণিজ্য প্রবাহকে বাধাহীন করেছিল। ভারত ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে এ সুবিধাটি প্রদান করেছিল। ১০ এপ্রিল সকালে একশ্রেণির গণমাধ্যমে দেখলাম, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এ সিদ্ধান্তটি নাকি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বোঝা গেল, বাংলাদেশ পালটা ব্যবস্থা নিতে পারে এবং তাতে ক্ষতি ভারতেরই বেশি হবে। সেই আশঙ্কায় আপাতত বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা হবে না, সেটি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে সব ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ ঘোষণাটি এমন একসময়ে এসেছে, যখন ভারত, বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্ববর্তী সার্কুলারে ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন (LCS) ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের পর সম্পর্কে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তার সর্বশেষ পর্যায় হলো ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা। এরপর বাংলাদেশের পক্ষে করণীয় একটিই। সেটি হলো ভারতকে প্রদত্ত বহুমুখী করিডর সুবিধা বাংলাদেশ কর্তৃক বাতিল করা। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট বলতে কী বোঝায়, সেটি পাঠকের জানা দরকার। একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামালগুলো ওই দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দেওয়া। ট্রান্সশিপমেন্ট স্থলবন্দর দিয়েও করা যায় এবং এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু ভারত কেন হঠাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে এমন বেপরোয়া আচরণ করছে? এটি বুঝতে হলে আমাদের ড. ইউনূসের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের চিন্তাধারা জানতে হবে। এ চিন্তাধারা তিনি বর্ণনা করেছেন তার অতি সাম্প্রতিক চীন সফরে।
এ চিন্তাধারা হলো, একটি প্রস্তাবিত উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। এ জোটের সদস্য হবে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, ভারতের সেভেন সিস্টার্স এবং উদীয়মান আরাকান স্টেট। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ড. ইউনূস তার এ অর্থনৈতিক ভিশন পরিষ্কার করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের দুই পাশে রয়েছে দুটি বৃহৎ শক্তি। একটি ভারত, আরেকটি চীন। ড. ইউনূসের মতে, এ দুটি বড় দেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন করলে বাংলাদেশও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রগতির মহাসড়কে উঠবে। তার এ ধারণার পক্ষে তিনি নিুোক্ত তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন।
তার মতে, নেপালের রয়েছে অফুরন্ত এনার্জি বা জ্বালানি সম্পদ। আমরা নেপাল থেকে বিপুল পরিমাণে এনার্জি আমদানি করতে চাই। নেপালও সেটি রপ্তানি করতে চায়। কিন্তু উভয়ের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও স্থলবেষ্টিত হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। অনুরূপভাবে ভুটানও আমাদের কাছে এনার্জিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করতে পারে। আমরাও তাদের কাছ থেকে সেগুলো নিতে আগ্রহী। কিন্তু নেপাল ও ভুটান উভয় দেশই ল্যান্ডলকড, অর্থাৎ স্থলবেষ্টিত। বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য যে সমুদ্রপথ প্রয়োজন, সেটি তাদের নেই। অন্য কথায়, তাদের লাগোয়া কোনো সমুদ্র নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করা তথা পণ্য পরিবহণের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজন ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ব্যবহার করা। এ শিলিগুড়ি করিডরেরই অপর নাম চিকেনস নেক।
অনুরূপ অবস্থা ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যেরও। এ সাত রাজ্যকে বলা হয় সেভেন সিস্টার্স। তারাও ল্যান্ডলকড। তাদেরও সমুদ্রে প্রবেশ করার জন্য কোনো অ্যাকসেস বা পথ নেই। সমুদ্রে অ্যাকসেস না থাকলে কোনো দেশ বা অঞ্চল তার অপটিমাম (সর্বোচ্চ) ক্যাপাসিটি অনুযায়ী বৈদেশিক বাণিজ্য করতে পারে না। ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় এ সাত রাজ্য বেশ অনুন্নত। সবাই জানেন, এদের অবস্থান এমন অদ্ভুত, ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ এ সেভেন সিস্টার্সে পণ্য পরিবহণ করতে হলে অনেক ঘুরে বাংলাদেশের মাথার ওপরে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডর হয়ে তারপর তাদের দক্ষিণে নামতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতা থেকে কোনো পণ্য পরিবহণ করতে হলে তাকে লম্বা ঘুর পথে সেভেন সিস্টার্সে যেতে হয়। এভাবে শিলিগুড়ি করিডর হয়ে পূর্বাঞ্চলে যেতে সময় ব্যয় হয় ১৬/১৭ ঘণ্টা। পাড়ি দিতে হয় ১৪০০ থেকে ১৬০০ মাইল পথ। এর ফলে অবধারিতভাবে খরচও অনেক বেড়ে যায়।
২.
নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সের সমুদ্রে গমনের একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ হয়েই তারা বঙ্গোপসাগরে যেতে পারে। সেজন্যই গণচীনে ড. ইউনূস বলেছেন, এ অঞ্চলে সমুদ্রের অভিভাবক হলো বাংলাদেশ। এসব রাষ্ট্রকে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহণ করতে বা বাংলাদেশের পণ্য ওইসব দেশে বা সেভেন সিস্টার্সে পাঠাতে হলে ব্যবহার করতে হবে ওই চিকেন নেক। মাত্র ২২ কিলোমিটার চওড়া এ ভারতীয় ভূখণ্ডটি অনেক সরু এবং দেখতে অনেকটা মুরগির গলার মতো। তাই এর নাম হয়েছে চিকেন নেক। ড. ইউনূস বেইজিংয়ে আরও বলেছেন, চীন যদি তার কিছু শিল্পকারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট (স্থানান্তর) করে অথবা বাংলাদেশে যদি বিপুলসংখ্যায় শিল্পকারখানা স্থাপন করে, তাহলে ওইসব শিল্পকারখানার পণ্য শুধু বাংলাদেশকে নয়, নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সে অনেক কম মূল্যে পরিবহণ করা সম্ভব হবে।
ড. ইউনূসের এ কথাটিই ভারতের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে। মনে হচ্ছে, তার গায়ে বিচ্ছুটি কামড় দিয়েছে। এ বিচ্ছুটি হলো বাংলাদেশ। ভারত ড. ইউনূসের এ সহজসরল অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রস্তাবের পেছনেও পাচ্ছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। তারা মনে করছে, বাংলাদেশ এখানে চীনের প্রক্সি হিসাবে কাজ করছে। আর চীনের নজর রয়েছে চিকেন নেকের ওপর। যদি কোনো কারণে চিকেন নেক অন্যের দখলে চলে যায়, তাহলে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল তার পূর্বাঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ ভয়ে ভারত চিকেন নেককে অকস্মাৎ রণসাজে সজ্জিত করছে। ভারতের বহুল প্রচারিত ইন্ডিয়া টুডেসহ একাধিক গণমাধ্যমে তাদের এ সমরসজ্জের কথা বলা হয়েছে।
আমরা শুরুতে বলেছি, ড. ইউনূস ভারতের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছেন। ভারত রজ্জুকে সর্প বলে ভ্রম করেছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামনে ড. ইউনূস তার এ ভিশন উন্মোচন করার সঙ্গে সঙ্গেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে ভারত। মুহূর্ত বিলম্ব না করে তৎক্ষণাৎ ভারত চিকেন নেকে বিপুল সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। সেসব সমর সম্ভার তারা চিকেন নেকে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অত্যাধুনিক ফরাসি রাফায়েল জঙ্গিবিমান, রুশ নির্মিত মিগ-২৯ জঙ্গিবিমান, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অর্থাৎ সারফেস টু এয়ার মিসাইল, সর্বাধুনিক রুম ক্ষেপণাস্ত্র-৪০০, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি সর্বাধুনিক ডেডলি সমরাস্ত্র। বিদেশি গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ড. ইউনূসের বেইজিং পৌঁছার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই এ সমরশক্তি মোতায়েন শুরু হয়েছে।
৩.
চিকেন নেকে অস্ত্র ও সৈন্য মোতায়েনের পর এবার ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল। তাহলে আমরা তাকে করিডর সুবিধা দেব কেন? সেই পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই সাবেক পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশের কাছে ভারতের চাহিদা ছিল দুটি। একটি হলো করিডর। বাংলাদেশের ভারতপ্রেমীরা এটিকে করিডর না বলে ট্রানজিট বলে। এটি কোনো অবস্থাতেই ট্রানজিট নয়। ট্রানজিট হলো এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া বা সেখান থেকে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো দ্বিতীয় বা তৃতীয় দেশে যাওয়া হচ্ছে না। ভারতের এক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের অপর অঞ্চলে যাওয়া। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতা বা আগরতলা থেকে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে (সেটা রেলপথ, স্থলপথ বা নৌপথ) ভারতের সেভেন সিস্টার্সে যাওয়া। আর দ্বিতীয়টি হলো, সেভেন সিস্টার্সের স্বাধীনতাসংগ্রাম দমনে ভারতের পাশে থাকা।
কলকাতা থেকে কোনো পণ্য পরিবহণ করতে হলে তাকে লম্বা ঘুর পথে সেভেন সিস্টার্সে যেতে হয়। এভাবে শিলিগুড়ি করিডর হয়ে পূর্বাঞ্চলে যেতে সময় ব্যয় হয় ১৬/১৭ ঘণ্টা। পথ পাড়ি দিতে হয় ১৪০০ থেকে ১৬০০ মাইল। এর ফলে অবধারিতভাবে খরচও অনেক বেড়ে যায়। এজন্যই পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার বাংলাদেশের (সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের) বুকের ওপর দিয়ে করিডর চেয়ে আসছে। পাকিস্তানের পুরো ২৪ বছর তারা ভারতকে সেই করিডর দেয়নি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ভারতকে করিডর দেওয়ার বিপক্ষে জনমত গড়ে ওঠে। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বুকের রক্ত ঢেলে দেব, তবুও ভারতকে করিডর দেব না। ২০০৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত ভারতকে এ করিডর দিতে কেউ সাহস পায়নি। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইন্দো-মার্কিন যৌথ পরিকল্পনায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনার পর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের বহুলপ্রতীক্ষিত সাধনার ফল করিডর ভারতকে দেওয়া হয়। অবশ্য ২০১৮ সালের অক্টোবরের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভারতে করিডরের ট্রায়াল রান চলছিল। ২৫ অক্টোবর সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়।
৪.
শেখ হাসিনা ভারতকে সর্বস্ব দিয়েছেন। আসামের স্বাধীনতাকামী নেতা অনুপ চেটিয়াসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতাদের ধরে ভারতীয় বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামকে ব্রুট মিলিটারি শক্তি দিয়ে দমন করায় শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে ভারতকে সাহায্য করেছেন। এছাড়া একটি নয়, দুটি নয়, অনেক অর্থাৎ বহুমুখী করিডর দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের একটি উপনিবেশ বানিয়েছেন। বিনিময়ে তিস্তা থেকে ১ বালতি পানিও আনতে পারেননি। উপরন্তু ফেনী নদীর পানি ভারতকে দিয়েছে।
ভারত অতীতে বলেছিল, ভারতবিরোধী কাজে বাংলার মাটি যেন ব্যবহৃত না হয়। আজ বাংলাদেশের বজ্রকণ্ঠে বলার সময় এসেছে, ভারতের মাটি যেন বাংলাদেশবিরোধী কাজে ব্যবহৃত না হয়। শুধু তাই নয়, এসব করিডর বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ভার্নারেবল। তাদের মালগাড়িতে যে যুদ্ধাস্ত্র পরিবাহিত হচ্ছে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে অসংখ্য চুক্তি করেছেন। এগুলোর কোনোটিই তার রাবারস্ট্যাম্প পার্লামেন্টে পর্যন্ত উত্থাপন করেননি।
আজ বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার উষালগ্নে সময় এসেছে প্রতিটি চুক্তি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা। যেসব চুক্তি দেশবিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক অথবা বাংলাদেশের স্বাধীন সত্তার প্রতি অপমানজনক, সেই ধরনের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা দেখছি, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের গোলামির নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। তাই মাত্র ৮ মাস সময়ের মধ্যে দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে ড. ইউনূস একজন ক্যারিশমাটিক নেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। জনগণের আশা, শেখ হাসিনার আমলে অতি সংগোপনে সম্পাদিত সব ধরনের অধীনতামূলক চুক্তি বাতিল করা হোক।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক
journalist15@gmail.com