
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেছেন। এ শুল্কনীতি অনুযায়ী, ৬০টির মতো দেশ ও অঞ্চলের ওপর বাড়তি শুল্ক (রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ) আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এসব দেশ ও অঞ্চলগুলোর একটি। নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে ৯ এপ্রিল থেকে। তবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষিত মার্কিন শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য ভয়ানক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য, বিশেষ করে পাদুকা ও ওষুধ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। তবে প্রধান রপ্তানি পণ্যটি হলো পোশাক। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে উৎপাদিত পোশাকসামগ্রীর অন্যতম প্রধান গন্তব্যস্থল। প্রাথমিক হিসাব থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৭ শতাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই পরিমাণ শুল্ক পরিশোধ করে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ করার পর এগুলোর চাহিদা হ্রাস পাবে। কারণ, বর্ধিত শুল্কের ফলে এসব পণ্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পাবে। পোশাক পণ্যের বিষয়টি বড় উদ্বেগের কারণ। কারণ, বাংলাদেশে এ শিল্পকে কেন্দ্র করে বহু শ্রমিক, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এ পণ্যের চাহিদা পড়ে গেলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মারাত্মক বেকারত্ব ঝুঁকিতে পড়তে পারে। পরিস্থিতি যে কী রকম ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, তা বোঝা যায় ৮ এপ্রিলের একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে। ঢাকার সাভারের এসেন্সর ফুড ওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টস নামের প্রতিষ্ঠান চলতি সপ্তাহে তিন লাখ ডলারের চামড়ার ব্যাগ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে জাহাজীকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত রোববার সকালে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য জাহাজীকরণ না করতে নির্দেশনা পায় প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের চামড়া পণ্য রপ্তানি করে বলে জানা গেছে। তাদের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। আরও কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে চলমান ক্রয়াদেশের পণ্য সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা পেয়েছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড় চেয়েছে বলেও জানা গেছে। তৈরি পোশাক ও চামড়া খাতের কয়েকজন রপ্তানিকারক দৈনিকটিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশ স্থগিত কিংবা মূল্যছাড় দাবির সংখ্যা এখনো তুলনামূলক কম। তবে দু-একদিনের মধ্যে অনেক ক্রেতা তাদের চলমান ক্রয়াদেশ নিয়ে নির্দেশনা দিতে পারে।
ক্রেতারা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, জানতে চাইলে বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি রুবানা হক দৈনিকটিকে বলেছেন, ‘রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারছি, যুক্তরাষ্ট্রের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট ও গ্যাপ বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের ৩৭ শতাংশ শুল্ক বহন করতে বলেছে। ক্রয়াদেশ স্থগিত করার নির্দেশনাও আসছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন। ২ এপ্রিল নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বিশ্বের সব আমদানিকারক দেশের ওপর গড়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন। পাশাপাশি বেশকিছু দেশের জন্য বাড়তি শুল্কারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানে যথাক্রমে ২৬ ও ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া ভিয়েতনামের পণ্যে ৪৬ শতাংশ শুল্কারোপ হয়েছে। চীনে পালটা শুল্কসহ মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কারোপের বিষয়টি ৩ মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চিঠিটি সোমবার পাঠানো হয়েছে। এতে অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোসহ নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন ও আলোচনার জন্য সময় দেওয়ার অনুরোধ জানান। মোটা দাগে বলা যায়, অধ্যাপক ইউনূস যেসব পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ঘাটতি হ্রাস করা। এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে পালটা শুল্কের চাপ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং সম্ভবত বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরে রাখা সম্ভব হবে। এখন দেখার বিষয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রার্থিত ৩ মাস সময়ের প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কীভাবে সাড়া দেন। ৩ মাস সময় প্রয়োজন হবে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যগুলোর পুনর্বিন্যাস এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির পরিমাণ ও পণ্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে। যার ফলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পাবে এবং এর ফলে শুল্কায়নের হারও হ্রাস পাবে।
ট্রাম্পকে দেওয়া চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশে শুল্ক সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছেন। চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস লিখেছেন, ‘আমরা আগামী প্রান্তিকের মধ্যে আমাদের পরিকল্পনা অনুসারে কাজ শেষ করব। এসব কর্মকাণ্ডের বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শক সভার জন্য দয়া করে প্রয়োজনীয় সময় দেবেন। তাই আমি আপনাকে অনুরোধ করতে চাই, বাংলাদেশের ওপর পালটা শুল্কারোপের কার্যকারিতা ৩ মাসের জন্য স্থগিত করুন। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, আপনি আমাদের অনুরোধ রাখবেন।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এজেন্ডায় বাংলাদেশ পুরোপুরি সহায়তা করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। এ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। আমাদের প্রধান কর্মপন্থা হলো-তুলা, গম, ভুট্টা, সয়াবিনসহ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য আমদানি বৃদ্ধি করা, যা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকের আয় ও জীবনযাত্রায় ভূমিকা রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজারের প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে বন্ডেড ওয়্যার হাউজ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করছি, যা পুরোপুরি শুল্কমুক্ত সুবিধা,’ লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
চিঠির ভাষ্য অনুসারে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশেই যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর সবচেয়ে কম হারে শুল্কারোপ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ও স্ক্র্যাপের (পুরোনো লোহা) ওপর শূন্য শুল্ক অব্যাহত রাখা হবে। গ্যাস টার্বাইন, সেমিকন্ডাক্টর, চিকিৎসাসামগ্রীর মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানো নিয়ে কাজ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি পণ্যের নন-ট্যারিফ বা অশুল্ক বাধা দূর করা হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজ করতে পণ্যের মান পরীক্ষা, লেবেলিং, সনদ ইত্যাদির বিষয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে-এ তথ্যও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান প্রধান উপদেষ্টা। চিঠিতে আরও বলা হয়, এমন উদ্যোগ বেসামরিক বিমান চলাচল, সামরিক খাতসহ অগ্রসর প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন যুগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়াবের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় চিঠি পঠিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসির উদ্দিন। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শুল্ক তালিকায় বর্তমানে ১৯০টি পণ্যের ওপর শুল্কহার শূন্য, অর্থাৎ কোনো শুল্ক নেই। আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে।
শুল্ক হ্রাসের বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের ওপর। ফলে সরকার পরিচালনায় রাজস্ব সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গৃহীত মার্কিন শুল্কসংক্রান্ত নীতির প্রভাব কী হবে? নোবেলবিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেছেন, বাড়িয়ে দেওয়া শুল্কহার যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করবে। এর ফলে মার্কিন ভোক্তাকুল অর্থনৈতিক কষ্টে নিপতিত হবে। প্রশ্ন হলো, আলোচ্য নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র কি আবার একটি ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রিতে পরিণত হবে? জবাব হলো, সে সম্ভাবনা সুদূরপরাহত। যেদিন গেছে, সেদিন কি আর ফিরে আসে? পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র একটি ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রি ছিল। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রি থাকা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বের একসময়ের অনুন্নত দেশগুলো এখন উন্নয়নের পর্যায়ে পৌঁছে ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন অতি উন্নতমানের সেবা খাতনির্ভর অর্থনীতি। এ সেবা খাতে ফিন্যান্স ও বিমান পরিবহণ সেবার মতো সেবাগুলো স্থান করে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এন্টারটেইনমেন্ট বা বিনোদন শিল্পও এখন বিশ্বসেরা। এছাড়া উচ্চ প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়া অন্য অনেক দেশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা, বিজ্ঞান গবেষণা ও সার্বিকভাবে জ্ঞান উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের সমকক্ষ হওয়া প্রতিযোগী অনেক রাষ্ট্রের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রের তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধাপ অনুযায়ী উন্নত সেবা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের ওপরই মনোযোগ বজায় রাখা উচিত হবে। এর অন্যথা কিছু করতে গেলে তা হবে কাউন্টার প্রোডাক্টিভ।
ট্রাম্প সাহেব এখন যা করছেন, তাতে বিশ্বায়নের কী হবে? সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, বিশ্ব বাণিজ্য প্রবাহ বেশকিছুটা স্তিমিত হয়ে আসবে। এমনকি বিশ্ব মন্দাও দেখা দিতে পারে। গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে বিশ্বায়নের পালে যে হাওয়া লেগেছিল, সে হাওয়া ঝিমিয়ে পড়বে। কার্ল মার্কস তার জীবদ্দশাতেই বিশ্বায়নের সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন এবং তিনি আরও বলেছিলেন, একপর্যায়ে পুঁজিবাদীরাই এর অগ্রগমনের ওপর বাধা সৃষ্টি করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে কাজটিই করছেন। তিনি এক ধরনের নব্য মার্কিন অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের স্লোগান তুলেছেন। এর পরিণতি কী হতে পারে, তা কি তিনি ভেবে দেখেছেন? মার্কিন জনগণ ইতোমধ্যেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। একজন ধ্রুপদি অর্থনীতিবিদ বলেছেন, বাণিজ্যের কাফেলা যদি থেমে যায়, তাহলে সৈন্যরা মার্চ করবে। বস্তুত বাণিজ্যিক সম্পর্ক যুদ্ধবিগ্রহ স্থগিত করে রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। ট্রাম্প বাণিজ্য প্রবাহ স্থবির করে দিয়ে সৈন্যদের মার্চ করার অজুহাত সৃষ্টি করছেন কি?
ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ