
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট তেলিয়াপাড়া

কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
১৯৭১ সালের ৪ ও ১০ এপ্রিল যদি জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুঃসাহসী ও দেশপ্রেমিক তরুণ বাঙালি অফিসাররা সম্মিলিত হয়ে তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে বৈঠক করতে না পারতেন, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পুরো নেতৃত্ব হয়তো ভারতীয় আর্মির হাতে চলে যেত, এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছাড়া ভারতের পক্ষে পাকিস্তানি বাহিনীকে পর্যুদস্ত করা এত সহজসাধ্য কখনো হতো না। দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে একসময় ধৈর্যহারা হয়ে যে কোনো পক্ষ রণে ভঙ্গ হয়ে পিছপা হতো এবং জাতি হিসাবে আমরা কোন অবস্থায় থাকতাম, তা কেবল সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানবেন। তাই আমাদের অগ্রজ দুঃসাহসী, নির্ভীক, নিখাঁদ দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের প্রতি জানাই অজস্র শ্রদ্ধা, সম্মান, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
রাজনৈতিক আন্দোলন যেমন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্র ও রাজনীতিকরা, সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি বেগবান করছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা, যার নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ ইশফাকুল মজিদ ও কর্নেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। এ দুজন পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন খবর গোপনে জানতে পারছিলেন পাকিস্তানে অবস্থানরত সিনিয়র বাঙালি জেনারেল খাঁজা ওয়াসিউদ্দিনের কাছ থেকে। তারা গোপনে বহু বৈঠক করে যাচ্ছিলেন এবং অবসরপ্রাপ্তদের ঐক্যবদ্ধ করতে শুরু করেছিলেন সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য। এরপর পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন জেনারেল ইশফাকুল মজিদ। কোনো রকমে গ্রেফতার এড়িয়ে ২৫ মার্চ রাতে ওসমানী পালিয়ে গেলেন কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় এবং সেখান থেকে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে আগরতলা।
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহ ঘোষণা : ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে আক্রমণ চালায় নিরীহ জনগণের ওপর এবং শুরু করে নির্বিচারে গণহত্যা। এ সময় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৮টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে ৩টি ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও করাচিতে, বাকি ৫টির অবস্থান ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। এ ৫টি ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়কদের মধ্যে দুজন ছিলেন বাঙালি। বাকি তিনজন অবাঙালি। বাকি দুই ব্যাটালিয়নের দুই অধিনায়কই পাকিস্তানিদের কাছে প্রচণ্ড চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করেন এবং বহু সদস্য পাকিস্তানিদের হাতে শহিদ হন। কিন্তু বাকি বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের নিয়ে এ ৫টি ব্যাটালিয়নই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল, জয়দেবপুরে ২য় ইস্ট বেঙ্গল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল, ২৮ মার্চ সৈয়দপুরে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল গণহত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং প্রতিরোধ সংগ্রামে লিপ্ত হয়। চট্টগ্রামে ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান বীর উত্তম (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি) কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ৫টি ইউনিট পাঁচ স্থানে। যুদ্ধের ময়দানে তখন পাঁচটি ইউনিটের কমান্ডই ছিল মেজর ও ক্যাপ্টেনদের হাতে। জেনারেল ইশফাকুল মজিদ গ্রেফতার হওয়ার ফলে তখন সর্বজ্যেষ্ঠ সামরিক অফিসার ছিলেন কর্নেল ওসমানী, যিনি ২য় বিশ্বযুদ্ধ, কাশ্মীরযুদ্ধ এবং ’৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কমান্ডার। তিনি এবং অন্য অফিসাররা একটি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ৪ এপ্রিল একত্রিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তেলিয়াপাড়ার ঐতিহাসিক দিন : ২৫ মার্চের কালরিত্রের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল ৪ এপ্রিল ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল তেলিয়াপাড়া। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট। সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) মাধবপুর থানার অন্তর্গত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক কিংবা তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা স্থানে অবস্থিত তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলো। এ বাংলোয় প্রথম বৈঠক মুক্তিযুদ্ধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে উপস্থিত হন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন বীর সেনানী, যারা ছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধের সংগঠক অকুতোভয় সিপাহসালার। এ সভা অনুষ্ঠিত না হলে এবং জেনারেল ওসমানীকে সর্বাধিনায়ক ও প্রবাসী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে মুক্তিযুদ্ধ একটি বিশৃঙ্খল যুদ্ধে পরিণত হতো নিঃসন্দেহে।
৪র্থ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশারফ তার সদর দপ্তর প্রথমে মাধবপুর ডাকবাংলোয় স্থাপন করেন। ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ঐতিহাসিক ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কর্নেল ওসমানী, লে. কর্নেল (অব.) এমএ রব, লে. কর্নেল সালাউদ্দীন মোহাম্মদ রেজা, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর কাজী মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, ক্যাপ্টেন নাসিম, ক্যাপ্টেন আব্দুল মতিন, ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভূঁইয়া, লে. হেলাল মোর্শেদ খান, লে. নাসিরউদ্দিন, লে. মাহবুব, লে. আনিস, লে. সেলিম, লে. সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিদ্রোহী মহুকুমা প্রশাসক কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ (পরবর্তীকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার)। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভিসি পান্ডে, ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী এবং আগরতলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওমেস সায়গল। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা আসাদ আলী এমএনএ, মোস্তফা আলী এমএনএ, মানিক চৌধুরী এমএনএ, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমএনএ।
সভার কার্যক্রম শুরু হলে এর লক্ষ্য ও বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ। ঐতিহাসিক এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলো ছিল-১. অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ, ২. সীমান্তবর্তী ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি, ৩. সর্বাধিনায়ক হিসাবে কর্নেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে নির্বাচিত ও একক কমান্ড চ্যানেল প্রতিষ্ঠা, ৪. মুক্তিযুদ্ধ মনিটরিং সেল গঠন, ৫. চারটি সামরিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ৬. কমান্ডার নিয়োগ ও দায়িত্ব বণ্টন, ৭. জিয়াউর রহমানের সৈন্য বৃদ্ধি, ৮. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠনের প্রস্তাব, ৯. কর্নেল ওসমানীকে রাজনৈতিক সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ, ১০. পরবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্ত ১০ এপ্রিল।
এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ সরকার গঠনের আগে। তাই অতীতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার উদাহরণ বিশ্লেষণ করে সভার লিখিতাকারে কোনো সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করা হয়নি। মৌখিকভাবে বাহিনীর সংগঠন, নেতৃত্ব ও যুদ্ধ পরিচালনার যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পরবর্তী সময়ে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পায়। ১১ এপ্রিল নবগঠিত বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বেতার ভাষণে এ সভার সিদ্ধান্তের কিছু অংশ উচ্চারিত হয়েছিল। পরে এ সভার সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজনের মাধ্যমে আরও সময়োপযোগী করে তোলা হয়। এ সভা আমাদের বাহিনীকে সাংগঠনিক ধারণা দেয় এবং তা মুক্তিবাহিনী পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করে।
ওই বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। দেশকে স্বাধীন করার শপথবাক্যও সবাইকে পাঠ করান তিনি। এ সভাতেই একটি রাজনৈতিক সরকার গঠনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২১ জুনের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেড কোয়ার্টার সরিয়ে নেওয়া হয়।
তেলিয়াপাড়ায় দ্বিতীয় সেনা বৈঠক : ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ এপ্রিল তেলিয়াপাড়ায় ২য় সেনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১ম সভায় উপস্থিত প্রায় সবাই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। এ সভাটি ১ম সভার সিদ্ধান্ত মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। সভার শুরুতেই কর্নেল এম এ জি ওসমানীর কাছে গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে তিনি কতদূর অগ্রসর হয়েছেন, তা জানাতে অনুরোধ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি নিয়ে সীমান্ত অতিক্রমকারী বেশ কয়েকজন এমএনএ ও এমপিএ’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশ গণপ্রতিনিধিই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছেন। জনাব তাজউদ্দীন আহমদ শিগগিরই একটি বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঘোষণা দেবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেছেন।
বিক্ষিপ্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধটিকে সমন্বিত অ্যাকশনে রূপ দেওয়া এবং কমান্ড চ্যানেলে আনার লক্ষ্যে এদিন পুরো দেশটিকে ৪টির স্থলে ৬টি সামরিক অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন দুটি সামরিক অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত অঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ উদ্দিনকে। বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা ও বগুড়া জেলা নিয়ে গঠিত অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর নাজমুল হককে। ৬টি অঞ্চলের কমান্ডারদের তাদের নিজ নিজ এলাকার বিদ্রোহী বাহিনীর সদস্যদের একটি কমান্ড চ্যানেলে এনে সমন্বিত অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
সভায় ভারতীয় প্রতিনিধিরা জানান, এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্র ও যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেছে। তাদের জন্য ইতোমধ্যেই অস্থায়ীভাবে বেশকিছু ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। শরণার্থীদের জন্যও ক্যাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিএসএফের কাছ থেকে এরই মধ্যে মুক্তিবাহিনীকে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের বিষয়টিও ওই দিনের আলোচনায় ছিল। এ ব্যাপারে ভারতীয় প্রচারমাধ্যমগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
চরম দুর্দশাগ্রস্ত দেশের ক্রান্তিকালে তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে অনুষ্ঠিত এ সভা দুটি কেবল বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রথম সমন্বয় সভাই নয়, বরং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক ভিত রচনার ক্ষেত্রে প্রথম মাইলফলক হিসাবেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক, পিএসসি : সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
hoque2515@gmail.com