
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ এএম

ড. মাহফুজ পারভেজ
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের গোলযোগপূর্ণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য আবার দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয়েছে; যে রাজ্যগুলো নানা দিক থেকে ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে আলাদা। এর তিন দিকে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের সীমান্ত। রাজ্যগুলো শুধু ভৌগোলিক দূরত্বের দিক থেকেই নয়, যোগাযোগের দিক থেকেও ভারতের মূল অংশের চেয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন এবং ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও বিশ্বাসের দিক থেকে মূল ভারতের চেয়ে স্বতন্ত্র।
নানা উপজাতির বসবাসস্থল সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলো জন্মের পর থেকে স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে। নিরাপত্তা, সংঘাত, বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার আন্দোলনের জন্য প্রসিদ্ধ সেভেন সিস্টার্সের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব সেখানকার জনগণের প্রত্যাশার প্রতি যত না মনোযোগী, তার চেয়ে বেশি আগ্রহী ভারতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লেজুড়বৃত্তি ও তাঁবেদারিতে। এ নেতৃত্ব উত্তর-পূর্ব ভারতের গণমুক্তি সংগ্রামের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দিল্লির প্রতিনিধি রূপে কাজ করছে। বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে অখুশি দিল্লিকে খুশি করার জন্য এবার এ নেতৃত্ব চীন সফরকালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য বিকৃত করে জলঘোলা করছে। এমনকি তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে সেখানকার একদল রাজনৈতিক নেতা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ও বিষোদগার করছেন। যদিও এসব নেতা দিল্লির বিরুদ্ধে সেভেন সিস্টার্সের জনতার ন্যায়সংগত মুক্তির লড়াইয়ের বিষয়ে বরাবর নীরব থাকেন, তথাপি তারাই অতি সরব হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে। অতএব, এহেন নেতাদের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে খোলাসা করে বলার দরকার পড়ে না। বাংলাদেশ চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক আর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চেয়েছেন যোগাযোগ বা কানেক্টিভিটির বিষয়টিকে তুলে ধরে পারস্পরিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে। পক্ষান্তরে তারা শুরু করেছেন হিংসাত্মক রাজনীতি ও বাংলাদেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা!
আসল সমস্যাটি বক্তব্য নয়, গাত্রদাহের কারণ বাংলাদেশ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অতীতে বাংলাদেশের কেউই ভারতের কোনো বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তেমনটি করেননি; যা সত্য ও বাস্তব, সেটা স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেন। সেভেন সিস্টার্স বাংলাদেশের সঙ্গে লাগোয়া প্রতিবেশী হওয়ায় ঢাকার দৃষ্টি এদিকে থাকাই স্বাভাবিক। ভীত ও নতজানু না হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাভাবিক কাজই করেছেন। সেভেন সিস্টার্স প্রসঙ্গে তিনি এই প্রথমবার বলেননি। তিনি ২০১২ সালে একই ধরনের কথা বলেছিলেন। ২০২৩ সালেও জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশকে একটা ভ্যালু চেইনে আবদ্ধ করার কথা বলেছিলেন এবং তিনি এ প্রসঙ্গে সিঙ্গেল ইকোনমিক জোনের (একক অর্থনৈতিক অঞ্চল) কথাও বলেছিলেন, যেটিকে ‘বিগ বি ইনিশিয়েটিভ’ হিসাবে গণ্য করা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন দ্রষ্টা ও স্বাপ্নিক। তিনি বাস্তববাদী ও বৈশ্বিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন। তিনি জানেন, কানেক্টিভিটি (যোগাযোগ) এ অঞ্চলের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বিশেষ করে যাদের জন্য সমুদ্রে অ্যাকসেস (প্রবেশ) পাওয়া খুব কঠিন। তিনি কিন্তু কাউকে কানেক্টিভিটি জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। কেউ যদি নেয় ভালো, আর না নিলে কিছু করার নেই। অত্যন্ত সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পথে প্রধান উপদেষ্টা কথাটি বলেছেন প্রকৃত বাস্তবতাকে তুলে ধরার স্বার্থে। বাংলাদেশ কানেক্টিভিটি সবার ইকুইটিফুল বেনিফিটের (সমান সুবিধা) জন্য দিতে আগ্রহী। কেউ নেবেন তো ভালো, না নিলে নেবেন না।
কে না জানে স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কানেক্টিভিটি প্রধান বিষয়। আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া সেটি এখন আর করা সম্ভব নয়। অতীতে বাংলাদেশে নতজানু ও অনুগত সরকারের মাধ্যমে নানা সুবিধা নেওয়া হলেও এখন যে সেটা আর মোটেও সম্ভব হচ্ছে না, এটাই হলো বাস্তবতা। কিছুদিন আগেই ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর হয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যে পণ্য বহনের জন্য মূলত নির্মিত হয়েছে রামগড় স্থলবন্দর। এ বন্দর ব্যবহার করে কীভাবে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে এবং কী ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যেতে পারে, তা নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি রামগড় বন্দরের সম্ভাব্য কার্যক্রম, যাত্রী পারাপারের সুযোগ এবং উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করবে।’ তিনি সোজা বাংলায় বলেছেন, ‘রামগড় স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে, তা দেখার বিষয় রয়েছে। এজন্য স্থলবন্দরের লাভ-ক্ষতি খতিয়ে দেখে করণীয় নিরূপণে একটি কমিটি গঠন হবে। কমিটিই সিদ্ধান্ত নেবে রামগড় স্থলবন্দর কবে চালু হবে।’ বর্তমান সরকারের এসব সিদ্ধান্ত কাদের গাত্রদাহের কারণ, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হয় না। আর এ কারণেই ভারতের কতিপয় নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের অন্যরকম ব্যাখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ ক্ষেত্রগুলোতে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে নিজেদের হীনমন্যতা ও ক্ষুদ্র-সংকীর্ণ মানসিকতাকেও প্রকাশ করছেন।
ড. ইউনূসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ভারতের কোনো কোনো নেতা বলেছেন, ‘উদ্ভাবনী এবং চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বদা আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সর্বদা ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরা, গারো, খাসি ও চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে। এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’
অথচ চীন সফরে ড. ইউনূস গুরুত্ব দিয়েছিলেন কানেক্টিভিটি (যোগাযোগ) বিষয়ে। বলেছিলেন, এ অঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে। এ প্রসঙ্গটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক এবং জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট। কারণ, উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য সম্পূর্ণভাবে স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। প্রাকৃতিক কারণেই তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই। সমুদ্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন করতে হলে যেতে হবে শত মাইল দূরের কলকাতা কিংবা হাজার মাইল দূরের মুম্বাই কিংবা গুজরাটের বন্দরে। ভারতের আদানি, আম্বানি করপোরেট ব্যবসায়ী চক্র তাদের পণ্য ও ব্যবসার ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতকে গুজরাট বা মহারাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী করে রাখতে চায়। সে ক্ষেত্রে কাছেই অবস্থিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সুবিধা নিতে পারলে উত্তর-পূর্ব ভারত যে বিশাল লাভবান হবে, এ সত্যটিই ড. ইউনূস পরোক্ষভাবে বোঝাতে চেয়েছেন। যেহেতু বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সমুদ্রের দেখভাল করে, সেহেতু তিনি এর যোগাযোগ ও অন্যবিধ সুবিধা প্রতিবেশী ও আশপাশের সবার জন্য উন্মুক্ত করে এ অঞ্চলে একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চেয়েছেন। এমনকি, তিনি আরেক প্রতিবেশী চীনের যোগাযোগ ও অর্থনীতির সম্প্রসারণের মাধ্যমে পারস্পরিক কল্যাণ বার্তাও দিয়েছেন। বলেছেন, পণ্য তৈরি করা, উৎপাদন করা, বিপণন করা এবং তা আবার চীনে নিয়ে যাওয়া এবং বাকি বিশ্বেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ হতে পারে এখানে। তার বক্তব্যে অর্থনৈতিক গতি, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষ ও দেশগুলোর উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনাই উপস্থাপিত হয়েছে।
বাস্তবতা হলো, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চীন সফরের সময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে সম্ভাবনা ও সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য সম্পূর্ণরূপে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত)। সমুদ্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের কোনো উপায় নেই। আমরাই এ অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’ ফলে অঞ্চলের প্রতিবেশীদের সুযোগ দেওয়া ও ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নেতার উদার, সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাব ভারত সহজভাবে না নিয়ে বিকৃত ও কুৎসিতভাবে অপব্যাখ্যা করেছে এবং চরম ঘৃণ্য ও অগ্রহণযোগ্য পন্থায় বাংলাদেশবিরোধী মনোবৃত্তি প্রকাশ করেছে।
ড. ইউনূসের জনহিতকর ও বাস্তবসম্মত সত্যভাষণের পরই দিল্লি থেকে আগরতলা পর্যন্ত ভারতের নেতারা, নীতিনির্ধারক ও মিডিয়ার মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ড. ইউনূসের এ বক্তব্যকে হুমকি হিসাবে পাঠ করছেন তারা। দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. ইউনূসের বক্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ প্রফুল্ল বকশি ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দাবি করেন, ‘আমরা বাংলাদেশ তৈরি করেছি। বাংলাদেশ তৈরির সময় আমরা কোনো মানচিত্রগত সুবিধা নিইনি। বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান সম্প্রতি চিকেনস নেক (শিলিগুড়ি করিডর) এবং ভারতের গলা চেপে ধরে সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে কথা বলছে। এখন বাংলাদেশ বলছে, চীনের সাহায্য করা উচিত এবং শিলিগুড়ি করিডরের ওপর নির্ভরশীল সাতটি ল্যান্ডলকড রাজ্যে প্রবেশ করা উচিত।’
ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস, তার বক্তব্যকে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ‘খুব বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে এবং অভিযোগ করেছে, কেন্দ্র সরকার মণিপুরসহ এ অঞ্চলের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে কংগ্রেসের গণমাধ্যম ও প্রচার বিভাগের প্রধান পবন খেরা বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতকে ঘিরে ফেলতে চীনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এ মনোভাব আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক। সরকার মণিপুরের যত্ন নিচ্ছে না এবং চীন ইতোমধ্যেই অরুণাচলে গ্রাম স্থাপন করেছে।’
সেভেন সিস্টার্স প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের বক্তব্যে ভারতের প্রতিক্রিয়াগুলো নজরুলের অবিস্মরণীয় কবিতার একটি সুদূরপ্রসারী লাইন মনে করিয়ে দেয়: ‘ও তুই উলটা বুঝলি রাম/আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম’। আর এসব ভারতীয় প্রতিক্রিয়া প্রকারান্তরে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর-পূর্ব ভারত, বঙ্গোপসাগর তথা বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, ভূরাজনীতি, কৌশলগত দিক, ক্ষমতার ভারসাম্য ও পালাবদলের নানা মাত্রা তুলে ধরেছে, যা থেকে প্রয়োজনীয় পাঠ গ্রহণ করে বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত প্রস্তুতি ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার আছে।
প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ : চেয়ারম্যান, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়