বাইফোকাল লেন্স
পিলখানা হত্যাকাণ্ড : দুঃসহ সেই স্মৃতি

একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আগামীকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০০৯ সালের এ দিনেই ইতিহাসের জঘন্যতম পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। বছর ঘুরে এ দিবসটি এলেই মনে কিছু দুঃসহ স্মৃতি এবং প্রশ্ন ভর করে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার মতো অনেকেই যারা বিডিআরের ভয়াবহ নাশকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন, তাদের কেউ জানতেন না, ওই পরিস্থিতিতে কে বেঁচে যাবেন, আর কে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন। সে ঘটনার প্রতিটি মুহূর্তে ছিল মৃত্যুর ইশারা।
সেই দুর্বিষহ ঘটনা আজও আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। হত্যাকাণ্ডের সেই বীভৎস দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলেই বুকের ভেতর হাহাকার করে ওঠে; অজস্র যন্ত্রণা অনুভব করি। প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, অথচ এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা দেশের মানুষ আজও জানতে পারেনি। ঘটনার ভুক্তভোগী হিসাবে আমার আজও জানতে ইচ্ছে করে, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনায় সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যার কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা? এ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে কারা ছিলেন? নেতৃত্বদানে সেদিন যাদের নাম শোনা গিয়েছিল, তারাই কি মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন; নাকি তাদের পেছনে অন্য কোনো শক্তি কাজ করেছিল? এত বছর পরও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যচারীদের কেন চিহ্নিত করা গেল না? ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার সঙ্গে বিডিআর সৈনিকরা যে ব্যবহার করেছিল, তা বর্ণনাতীত। আমরা আজও যারা বেঁচে আছি, তারা কীভাবে সেদিন ঘাতকের বুলেটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম, তা কেবল আমরাই বলতে পারি। সবাই জানে, বিডিআর হত্যাকাণ্ড মানেই শুধু পিলখানার ঘটনা। কিন্তু ঢাকার বাইরের বিডিআর ব্যাটালিয়ানগুলোতে সেদিন কী মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল, তা দেশবাসীর কাছে অজানাই রয়ে গেছে। সেসব ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমগুলোও আগ্রহ দেখায়নি। আমি তখন সাতক্ষীরায়, ৪১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নিয়মমাফিক আমার দায়িত্বে থাকা এলাকার একটি বর্ডার আউট পোস্ট বা বিওপিতে রাতযাপন শেষে ভোরে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সে ফিরে আসার সময়, সেলফোনে যশোরে অবস্থিত ২৫ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তৎকালীন লে. কর্নেল হাফিজের কাছ থেকে প্রথম পিলখানার ঘটনার কথা জানতে পারি।
সীমান্ত এলাকা থেকে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ফিরে এসে আমি উপস্থিত কর্মকর্তা, সুবেদার মেজরসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা জ্যেষ্ঠ বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পিলখানায় যে ঘটনা ঘটে চলেছে, তা বোঝার চেষ্টা করি এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয় আলোচনা করি। সুবেদার মেজর সাত্তার সাহেব ব্যাটালিয়নের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন। বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার সঙ্গে অফিসিয়াল যোগাযোগ বন্ধ। এ মুহূর্তে সরকারি কোনো দিকনির্দেশনা পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই; যা কিছু করার নিজ থেকেই করতে হবে। ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে তখন প্রায় আড়াইশ’র ওপর সৈনিক উপস্থিত ছিল। আড়াইশ সৈনিকের বিপরীতে আমরা মাত্র তিনজন কর্মকর্তা ছিলাম। আমি, আমার উপঅধিনায়ক এবং রেজিমেন্টাল মেডিকেল অফিসার। আমার অ্যাডজুটেন্ট/অপারেশন অফিসার সেসময় ছুটিতে ছিলেন। আমার এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত বরাবর ১৯টি বিওপি ছিল। আমি বিওপি কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করি এবং সীমান্ত এলাকা কড়া নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেই। ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্সের সৈনিকদের সঙ্গেও কথা বলে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। এ ছাড়া পিলখানার সঙ্গে ওয়ারলেস যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই, যেন কোনো ধরনের প্ররোচনায় আমার সৈনিকরা বিভ্রান্ত না হয়। কিন্তু বিচ্ছিন্ন করলে কী হবে; বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনিয়ন্ত্রিত প্রচারণা ঢাকার বাইরের বিডিআর ব্যাটালিয়নের সৈনিকদের ধীরে ধীরে উত্তেজিত করে তুলছিল। বিশেষ করে এটিএন টেলিভিশনের মুন্নি সাহা সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পিলখানার সৈনিকদের উসকানিমূলক বক্তব্য সরাসরি প্রচার করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বেলা তখন মধ্যাহ্ন। এমন সময় ব্যাটালিয়ন সুবেদার মেজর আমার অফিসে প্রবেশ করে অনুযোগের স্বরে বলে ওঠেন, ‘স্যার টেলিভিশনে পিলখানার সৈনিকরা যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে, তাতে সৈনিকদের ভেতর উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এরকম চলতে থাকলে সৈনিকদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। সুবেদার মেজরের কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমি অফিসের টেলিভিশন অন করে দেখি ঘটনা সত্য! আমি অবাক হয়ে লক্ষ করি, মুন্নি সাহা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে হত্যাকারীদের উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং কিছু নির্দিষ্ট প্রশ্ন করে উত্তেজিত করে তুলছেন। ফলে দুষ্কৃতকারীদের অশুভ বার্তাগুলো সহজেই ঢাকার বাইরের সৈনিকদের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে, বিডিআরে কর্মরত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। আমি সুবেদার মেজরকে বললাম, আপনি ব্যারাকে গিয়ে সৈনিকদের বুঝিয়ে বলেন, তারা যেন এসব বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত না হয়। তাদের যদি কিছু জানার থাকে, আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে পারে। প্রয়োজনে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব। সেদিন শুধু মুন্নি সাহা নয়, এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ঢাকার বেসরকারি টেলিভিশনগুলো খুবই নেগেটিভ রোল পালন করেছিল। ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পরে টেলিভিশনের টকশোগুলো ছিল আরও মারাত্মক। জ ই মামুন ও নূরুল কবীরের মতো মুখ চেনা কিছু বক্তা, প্রকৃত ঘটনা যাচাই না করেই হত্যাকারীদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে সেনা কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এ নেতিবাচক বক্তব্যের প্রভাব গিয়ে পড়েছিল ঢাকার বাইরের বিডিআর ব্যাটালিয়নগুলোতে। ফলে পিলখানার অপকর্মের চেইন রিঅ্যাকশন আমরা ধীরে ধীরে টের পেতে শুরু করি। রাত যত গভীর হয়েছে, ঢাকার বাইরের বিডিআর সৈনিকদের মনোভাব আরও হিংস্র হয়েছে। রাত আনুমানিক এগারোটার পর থেকে একে একে বাইরের সব ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহে শামিল হয়। বিডিআর সৈনিকরা সেনা কর্মকর্তাদের যেভাবে অপমান, অসম্মান ও চরমভাবে লাঞ্ছিত করেছে, তা ভাষায় প্রকাশেরও অযোগ্য। আবার কিছু জায়গায় কর্মকর্তাদের গুলি করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে।
আমার অধীনস্থ ব্যাটালিয়নকে রাতভর নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে, একপর্যায়ে তা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সিলেট সেনানিবাস থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনিসুর রহমান (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) সেলফোনে আমাকে কল দেন। কর্নেল আনিস তখন সিলেটে অবস্থিত ১৫ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক ছিলেন। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। কল রিসিভ করতেই আমি কোথায় আছি কর্নেল আনিস জিজ্ঞেস করেন। আমি ব্যাটালিয়নেই আছি জেনে তিনি বলে ওঠেন-‘স্যার আপনি এখনো ব্যাটালিয়নের ভেতরে কেন? ঢাকার বাইরের ব্যাটালিয়নগুলোর পরিস্থিতি জানেন না? প্রায় সব বিডিআর ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। দু-একটি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে ওরা আটক করে রেখেছে। স্যার আপনি এ মুহূর্তে ব্যাটালিয়ন থেকে বের হয়ে যান। পরিস্থিতি ভালো নয়। যে কোনো সময় কিছু ঘটে যেতে পারে। বলা যায় না, ওরা হয়তো আপনাকে মেরে ফেলতেও পারে। স্যার, আমার আরেকটি অনুরোধ, আপনি ব্যাটালিয়ন থেকে বের হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত সেলফোনের লাইন কাটবেন না।’ আনিস একটানা কথাগুলো বলে গেলেন।
অফিস এলাকায় সে মুহূর্তে আমি একাই ছিলাম। ২৬ ফেব্রুয়ারি খুব ভোরেই ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর হাবিব ও মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন বেলালকে আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাটালিয়নের বাইরে রেখে আসার জন্য আবাসিক এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আনিসের কথা শুনে আমি কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ি। ব্যাটালিয়ন ছেড়ে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত অফিস থেকে বেরিয়ে আবাসিক এলাকায় চলে আসি। সুবেদার মেজর সাত্তার সাহেবও আমার পিছু পিছু আসেন। আমার সিদ্ধান্তের কথা শুনে সাত্তার সাহেব বললেন, ‘স্যার আপনাদের চলে যাওয়াই ভালো। ব্যারাক লাইনের অবস্থা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অবস্থা এমন, সৈনিকরা যে কোনো সময় অস্ত্রাগার ভেঙে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে পারে। সাত্তার সাহেবের কথা শুনে এক মুহূর্ত দেরি না করে উপঅধিনায়ক ও মেডিকেল অফিসারকে পরিবারসহ বিদায় দিয়ে আমি ব্যাটালিয়নের মেইন গেটের দিকে ছুটে যাই। মেইন গেটে পৌঁছে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকি; কিন্তু সৈনিকরা গ্যারেজ এলাকাতেই গাড়ি আটকে দেয়। সুতরাং সরকারি গাড়ি আর পাওয়া যাবে না। সময় দ্রুত গড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যাটালিয়নের অভ্যন্তর এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চারদিকে সৈনিকদের চিৎকার-চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে। উত্তেজিত সৈনিকরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে যত্রতত্র গুলিবর্ষণ শুরু করে দিয়েছে। মেইন গেট থেকে খই ফোটার মতো গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। গুলির শব্দে আশপাশের বেসামরিক এলাকায়ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মুহূর্তে আমার ওয়্যারলেস অপারেটর এসে জানাল, কিছুসংখ্যক সৈনিক অস্ত্রসহ মেইন গেটের দিকে ছুটে আসছে। এমন অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে মেইন রোডে বেসামরিক গাড়িও পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই মুহূর্তে নিজেকে বেশ অসহায় মনে হচ্ছিল। কী করব, কোথায় যাব? এ পরিস্থিতিতে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। এমন সময় হঠাৎ দেখি আনুমানিক একশ গজ দূরে একটা দোতলা বিল্ডিংয়ের সামনে মোটরসাইকেল এসে থামল, আমি সেদিকেই ছুটে গেলাম। আমাকে শহরে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেল আরোহীকে অনুরোধ করলে তিনি রাজি হলেন না। ওদিকে গুলিবর্ষণের আওয়াজ মেইন গেটের দিকে ঘন হয়ে আসছিল। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেল আরোহীকে আমি আবারও অনুরোধ করি; এবার তিনি রাজি হয়ে গেলেন। তাকে আমি সাতক্ষীরা কোতোয়ালি থানায় আমাকে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করি। আনিস তখনো সেলফোনের লাইনে থেকে আমাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে অস্ত্রধারী সৈনিকরা মেইন গেটে চলে এসেছে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে যে মুহূর্তে আমরা রওনা দিয়েছি, ঠিক সে মুহূর্তেই মোটরসাইকেলটি যেখানে ছিল, সেই বরাবর বিল্ডিংয়ের জানালায় বেশ কয়েক রাউন্ড বুলেট এসে আঘাত করে। আমরা আর এক মুহূর্ত দেরি করলে এ বুলেটগুলো হয়তো আমাদের গায়ে এসে আঘাত করতে পারত। শেষ পর্যন্ত আনিসকে আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেলফোন বন্ধ করে দেই এবং নিরাপদেই কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পৌঁছি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবেই ঘটেছে; তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষোভ থেকে নয়। সেনা কর্মকর্তাদের লাশের সঙ্গে যে অসম্মান ও পৈশাচিকতা দেখানো হয়েছে, কোনো সাধারণ জওয়ানের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। এগুলো করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রতিশোধস্পৃহা থেকে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করি, তদন্ত কমিশন সঠিকভাবেই এ ঘটনার নেপথ্য নায়কদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে। তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন, সে তথ্য উদ্ঘাটন করবে। এছাড়া এ ঘটনার পেছনে যদি কোনো বিদেশি শক্তি জড়িত থাকে এবং সে বিদেশি শক্তিটি যদি ভারতও হয়, তদন্ত কমিশন নিশ্চয়ই তাদের সম্পৃক্ততার তথ্যও উন্মোচন করবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল